অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান বাড়িয়ে রোগের আক্রমণ ঠেকাতে চাইলে সকালে রোজ এক কাপ হলদি চায়ে(Turmeric Tea) চুমুক দিন। আর্য যুগ থেকে হলুদ আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের অন্যতম উপাদান। হলুদ ভারতীয় সমস্ত রান্নায় ব্যবহৃত হয়। কারণ, এর অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা(Immunity) বাড়ায়। তাই অনেকে সকালে খালিপেটে কাঁচা হলুদ চিবিয়ে খান। অনেকে গরম দুধে একচিমটে হলুদ মিশিয়ে খেতে ভালোবাসেন। হলুদ যেমন রোগের আক্রমণ ঠেকায় তেমনি প্রদাহ কমায়। ব্যথা কমায় আর্থ্রারাইটিসেরও। অনেকে ব্যথা পেলে সেখানে গরম চুন-হলুদের প্রলেপ লাগান। তেমনই আরেক স্বাস্থ্যকর পানীয় হলদি চা(Turmeric Tea)। সোনার চা নামে পরিচিত, এই পানীয়টি কেউ কেউ আদা, গোলমরিচ, দারচিনি মিশিয়েও খেতে পছন্দ করেন। রেলসে যার প্রতিটি উপাদান প্রাকৃতিক ভাবে শরীরকে করে মজবুত। ভিটামিন, মিনারেলসে করে পূর্ণ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চান? হলদি চা রোজ সকালে
কীভাবে বানাবেন হলদি চা:
হলুদ, আদা, দারচিনি(Cinnamon), লবঙ্গ, গোলমরিচের পরিমাণ থাকবে ৩:৩:২:২:১ অনুপাতে।
জেনে নিন রেসিপি:
উপকরণ:
- হলুদ গুঁড়ো – ৩ টেবিল চামচ
- আদা(Ginger) গুঁড়ো – ৩ টেবিল চামচ
- দারচিনি চামচ – ২ টেবিল চামচ
- লবঙ্গ(Clove) – ২ টেবিল চামচ
- গোলমরিচ গুঁড়ো – ১ টেবিল চামচ
- বন্ধমুখের পাত্র – ১টি
উপকরণ:
প্রথম ধাপ- জল ছাড়া সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে নিন।
দ্বিতীয় ধাপ- বন্ধ মুখ কাচের পাত্রে রাখুন।
তৃতীয় ধাপ – এভাবে ৬ মাস পর্যন্ত রাখতে পারবেন।
কীভাবে হলদি চা বানাবেন:
তৈরি উপকরণ দিয়ে ব্ল্যাক, দুধ(Milk) মেশানো বা গ্রিন টি-ও বানাতে পারেন।
প্রথম ধাপ- কোন ধরনের চা(Tea) বানাবেন ঠিক করুন।
দ্বিতীয় ধাপ- তাতে এক চামচ আগে তৈরি মিশ্রণ মেশান।
ধাপ তিন- মিষ্টি স্বাদ আনতে গুড়(Molasses) মেশাতে পারেন।