Home / বিউটি টিপস / ত্বকের পরিচর্যায় যষ্টিমধু বা লিকোরিস পাউডারের কার্যকরী ৩টি ফেইস মাস্ক

ত্বকের পরিচর্যায় যষ্টিমধু বা লিকোরিস পাউডারের কার্যকরী ৩টি ফেইস মাস্ক

সুন্দর ও উজ্জ্বল ত্বক(Bright skin) পাওয়ার জন্য ঠিকঠাকভাবে স্কিনকেয়ার রুটিন তো মেনে চলছেন। কিন্তু অবহেলা কিংবা ব্যস্ততার অজুহাতে ফেইস প্যাক(Face pack) লাগানো বাদ যাচ্ছে না তো? কেমিক্যাল প্রোডাক্টের পাশাপাশি প্রাকৃতিক উপাদানও স্কিনকেয়ারে রাখা উচিত, সেটা আমরা কমবেশি সবাই জানি। প্রকৃতির অবদানকে আসলে অস্বীকার করার উপায় নেই! ত্বকের পরিচর্যায় যষ্টিমধু(Licorice) বা লিকোরিস পাউডারের ব্যবহার সম্পর্কে শুনেছেন নিশ্চয়। অনেকেরই হয়তো যষ্টিমধুর(Licorice) গুনাগুণ নিয়ে বেশি কিছু জানা নেই। চলুন, ত্বকের পরিচর্যায় যষ্টিমধু বা লিকোরিস পাউডারের কার্যকরী ৩টি ফেইস মাস্ক(Face mask) সম্বন্ধে জেনে নেই। নিদাগ, চকচকে ও সুন্দর স্কিন পেতে এই উপাদানটি কী অবদান রাখে সেটাও জানা হয়ে যাবে!ত্বকের

ত্বকের পরিচর্যায় যষ্টিমধু বা লিকোরিস পাউডারের কার্যকরী ৩টি ফেইস মাস্ক

আপনার ত্বক সম্পর্কে আগে জেনে নিন
যেকোনো উপাদান বা প্রোডাক্ট ত্বকে(Skin) অ্যাপ্লাই করার আগে আপনাকে জেনে নিতে হবে সেটি আপনার ত্বকের জন্য উপযোগী কি না! ত্বকের ধরন ও সমস্যা অনুযায়ী স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট(Skin care products) আলাদা আলাদা হতে পারে। আবার সেনসিটিভিটির প্রশ্নও থেকে যায়। প্যাক বানানোর সময় এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে। প্রাকৃতিক উপাদানের কোনো সাইড ইফেক্ট(Side effects) নেই। বিশুদ্ধ ও অরগানিক উপাদানের প্যাক দিয়ে ত্বকের যত্ন নিতে পারলে সেটার থেকে ভালো আর কিছু হতে পারে না! নতুন কোনো প্রোডাক্ট স্কিন কেয়াররুটিনে যোগ করার আগে প্যাচ টেস্ট করতে ভুলবেন না।

যষ্টিমধু বা লিকোরিস পাউডার
স্কিনের টাইপ ও সমস্যা অনুযায়ী যখন সঠিকভাবে পরিচর্যা করা হয়, তখনই ত্বক(Skin) হায়েস্ট বেনিফিট পায় এবং ধীরে ধীরে সুন্দর হয়ে ওঠে। যষ্টিমধু বা লিকোরিস পাউডারের উপকারিতা সম্বন্ধে জানা আছে কি? যষ্টিমধু(Licorice) বহুবর্ষজীবী গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। এটি মূলত গাছের শিকড়। রুপচর্চায় এর কার্যকারিতা সম্পর্কে আগে জেনে নেই চলুন!

যষ্টিমধু বা লিকোরিস পাউডারের উপকারিতা
এটি সান ট্যান ও পিগমেনটেশন কমাতে সাহায্য করে
স্কিনের ন্যাচারাল গ্লো ধরে রেখে ফ্রেশ লুক দেয়
ডেড সেল ও ডার্ট রিমুভ করে এক্সফোলিয়েটরের কাজ করে

ত্বকের পরিচর্যায় যষ্টিমধু লিকোরিস পাউডারের ৩টি ফেইস মাস্ক(Face mask)

সান ড্যামেজ রিপেয়ার ফেইস মাস্ক বা ফেইস প্যাক
লিকোরিস পাউডারের সাথে অ্যালোভেরা জেল, শসার রস(Cucumber juice) ও টকদই দিয়ে স্মুথ পেস্ট বানিয়ে মুখে ও গলায় লাগিয়ে রাখুন মিনিট ১৫ এর জন্য। এরপর পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ বার এভাবে প্যাক লাগিয়ে নিলে সান ট্যান ও পিগমেন্টেশন(Pigmentation) অনেকটাই কমে যাবে।

স্কিন ব্রাইটনেস ফেইস মাস্ক
যষ্টিমধু বা লিকোরিস পাউডারের সাথে গোলাপ জল(Rose water), চন্দন গুঁড়ো, সামান্য কমলা বা লেবুর রস(Lemon juice) ও টকদই(Sour yogurt)মিশিয়ে ফেইসে লাগিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিটের জন্য। সপ্তাহে অন্তত ১ বার এই ফেইস মাস্কটি ব্যবহার করলে ত্বক(Skin) হবে উজ্জ্বল ও সুন্দর।

স্কিন হাইড্রেটিং ফেইস মাস্ক
নিষ্প্রাণ ও শুষ্ক ত্বকের সমাধানে যষ্টিমধু বা লিকোরিস পাউডারের সঙ্গে পরিমাণমতো দুধ(Milk), অ্যালোভেরা জেল, গোলাপের পাপড়ি গুঁড়ো ও টকদই(Sour yogurt) মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে। এই প্যাকটি সপ্তাহে ১-২ দিন ব্যবহার করলে ত্বকের খসখসে ভাব কমে গিয়ে ত্বক(Skin) থাকবে হাইড্রেটেড ও সফট। এই প্যাকগুলো গলায়, হাতে, পায়েও ব্যবহার করা যায়।

Check Also

মেকআপ

দ্রুত মেকআপ করার ৮টি সহজ পদ্ধতি

রমজানে পুরো মাসব্যাপী রোজা রাখার পর শরীর থাকে ক্লান্ত। এরপর আসে ঈদ। আর সেখানে কর্মব্যস্ত ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *