রঙিন চুল(Colored hair) বা চুল রঙ করা খুবই জনপ্রিয়, আকর্ষণীয় এবং ফ্যাশনেবল। আজকাল অনেক মেয়েই চুল বর্ণিল রঙে সাজাতে পছন্দ করে। ছোট-বড়, স্ট্রেট-কার্লি… সব ধরনের চুলের জন্যেই রয়েছে রঙিন সমাধান। নিজেকে স্মার্ট ও আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে তাই রাঙিয়ে নিন আপনার সুন্দর চুল(Hair) গুলো।
রঙিন চুল! কেমন ধরনের হেয়ার কালার করলে ভালো হয়?
রঙিন চুল পেতে কিভাবে কালার চুজ করবেন?
১) সুন্দর চুলের স্টাইল আপনাকে অন্য সবার থেকে আলাদা করে তোলে। তবে সঠিক রং বাছাই করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ গায়ের রং, পোশাক, মেকআপ(Makeup) এবং সর্বপরি চেহারার সাথে সামঞ্জস্যতা রেখে চুলের রং বাছাই না করলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
২) এমন একটি রঙ বেছে নিন যা ন্যাচারাল (natural) এবং আপনার ত্বকের সাথে মানানসই। প্রাকৃতিক রং হিসেবে ব্রাউন (brown), ব্লন্ড (blond), ব্রাউনিশ ব্ল্যাক (brownish black) এবং সান-কিসড (sun kissed) খুব জনপ্রিয়। এগুলো মোটামুটি যেকোন ধরনের ত্বকের টোনের সাথেও মানিয়ে যায়।
রঙিন চুল পাওয়ার পদ্ধতি
রঙিন চুল(Colored hair) পাওয়ার পদ্ধতি দু’টো- স্থায়ী পদ্ধতি এবং অস্থায়ী পদ্ধতি।
১. স্থায়ী পদ্ধতি (Permanent color)
শ্যাম্পু, কন্ডিশনার(Conditioner) যাই ব্যবহার করুন না কেন স্থায়ী রং চুল থেকে কখনও যাবে না। কিন্তু যেহেতু আমাদের চুল(Hair) অনবরত বাড়তে থাকে তাই ক্রমবর্ধমানতার কারণে রঙ্গিন চুলগুলো ধীরে ধীরে নিচের দিকে নামতে থাকে। আর নিয়মিত চুল কাটার ফলে একসময় রঙিন চুল(Colored hair) হারিয়ে যায়। কিন্তু এটা অনেক সময়ের ব্যাপার।
২. অস্থায়ী পদ্ধতি (One time color)
অস্থায়ী রং সাধারণত চুলের বাইরের দিকে কাজ করে এবং একটা নির্দিষ্ট সময় পর চলে যায়। সাধারণত চার থেকে ছয় সপ্তাহ মধ্যে। অর্থাৎ চুল(Hair) তার আসল রং আবার ফিরে পায়। অস্থায়ী চুলের রং এমন একটি পদ্ধতি যা সাধারণত শ্যাম্পু(Shampoo) করার পর চুলে প্রয়োগ করা হয় এবং পরবর্তীতে আবার চুল ধুলেই এই রং চলে যায়। তবে অস্থায়ী রং বাবরার চুলে ব্যবহার না করাই ভাল।
রঙিন চুল পেতে হেয়ার কালার কিভাবে কাজ করে?
হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ উদ্ভিদ ও খনিজ পদার্থ(Minerals) ব্যবহার করে চুলে রং করে আসছে। এই সব প্রাকৃতিক উপাদানগুলো কিছু পিগমেনট (pigment) ধারণ করে, যার উপস্থিতে অথবা নানা প্রতিক্রিয়ার কারণে চুলের রং পরিবর্তন হয়। আর চুলের রং রাসায়নিক(Chemical) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়। এটা চুলের অণুর মধ্যে সিরিজ রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফসল। ইউমেলানিন (Eumelanin) এবং ফিওমেলানিন (Phaeomelanin) দুটি ভিন্ন প্রোটিনের অনুপাত এবং এদের সঠিক পরিমাণ চুলের স্বাভাবিক রং নির্ধারণ করে। ইউমেলানিন বাদামী থেকে কালো চুলের জন্য দায়ী, আর ফিওমেলানিন সোনালী, বাদামী এবং লাল রঙের চুলের জন্য দায়ী। মেলানিন- এর অনুপস্থিতি ধূসর/সাদা চুল(Hair) তৈরি করে।
রাসায়নিক(Chemical) বিক্রিয়ার কথা শুনে আবার কেউ ভয় পাবেন না কারণ এতে আমাদের চুলের কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে একটু ভালো মানের পার্লার থেকে ভালো রং ব্যবহার করুন।