Home / স্বাস্থ্য টিপস / শরীরে যে ১১টি লক্ষণ দেখা দিলে সাবধান হওয়া জরুরি

শরীরে যে ১১টি লক্ষণ দেখা দিলে সাবধান হওয়া জরুরি

মানব শরীরে(body) ছোট থেকে বড় নানা রোগই বাসা বাঁধে। তবে সব রোগই শরীরে(body) কোনো না কোনো উপসর্গ প্রকাশ করে। অনেকেই এসব উপসর্গ(Symptoms) বুঝতে পারেন না। ফলে সেগুলোকে গুরুত্বও দেন না। একসময় যা কঠিন বিপদ ডেকে আনে। তাই জেনে রাখা জরুরি এমন কিছু উপসর্গ বা শরীরে(body) কিছু বদল সম্পর্কে, যার পরিণতি ভয়ংকর হতে পারে। চলুন জেনে নেয়া যাক শরীরের ১১ লক্ষণ, যা জানা থাকলে আগে থেকেই সাবধান(careful) থাকা সম্ভব হবে।শরীরে

শরীরে যে ১১টি লক্ষণ দেখা দিলে সাবধান হওয়া জরুরি

১ঃ ঠোঁট ফাটা
যদি প্রায়ই ঠোঁট(Lip) ফেটে থাকে তবে এর কারণ জানা জরুরি। মূলত ভিটামিন বি–এর অভাবে এমনটা হতে পারে। এছাড়া ভিটামিন বি(vitamin B) এর অভাব থাকলে রক্তশূন্যতাও হতে পারে। এক্ষেত্রে পপকর্ন, লবণ, অলিভ ওয়েল(Olive oil), ঝাল লাল মরিচ খেলে বি ভিটামিনের(vitamin) ঘাটতি পূরণ হতে পারে।

২ঃ বুকে ব্যথা
জানলে অবাক হবেন, ৩০ কারণে বুকে ব্যথা(Chest pain) হয়। সাধারণত বুকে ব্যথা হলে অ্যাসিডিটি(acidity) ভেবে থাকেন অনেকেই। তবে এই ব্যথা হৃদরোগেরও লক্ষণ হতে পারে। হতে পারে। তাই অবহেলা নয়। শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি, শীতকালেও ঘাম, নাড়ির অনিয়মিত বা দ্রুত স্পন্দন থাকলে দ্রুত চিকিৎসা নিন।

৩ঃ তিল ও আঁচিল
শরীরে (body)হঠাৎ কোনো দাগ দেখতে পেলে সাবধান। শরীরে (body)হঠাৎ করে তিল বা আঁচিলের সংখ্যা বেড়ে গেলেও নজরদারি দরকার। তিল বা আঁচিল(mole) ক্ষতিকর নয়। তবে তিল বা আঁচিলের বদল থেকে বড় সমস্যা হতে পারে।

৪ঃ চুল পাতলা হয়ে যাওয়া
নারীদের ক্ষেত্রে চুলের ঘনত্ব কমে যাওয়াটা ভয়ংকর। যদি খুব বেশি চুল(Hair) পড়ে যেতে থাকে তাহলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া দরকার। পুষ্টিহীনতা বা কোনো অসুখ থেকে এমনটা হতে পারে।

৫ঃ নাক ডাকা
হৃদরোগ, ক্লান্তি নাক ডাকার কারণ হতে পারে। শরীর(body)যথেষ্ট অক্সিজেন না পেলেও এমনটা হতে পারে। ওজন (weight) কমালে নাক(Nose) ডাকা কমতে পারে। তবে সমস্যাটি নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া ভালো।

৬ঃ ত্বকের সমস্যা
ত্বক শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ত্বকে(skin) র‌্যাশ, একজিমা, সংক্রমণও শরীরের (body) একধরনের বার্তা। শরীর এ রকম পরিস্থিতিতে কোনো গোলযোগের সংকেত দেয়। পুষ্টির অভাব, অ্যালার্জি(Allergies) থেকেও এমনটা হতে পারে।

৭ঃ পিপাসা
দৈনিক দুই লিটার পানি(Water) পান করা শরীরের (body) জন্য ভালো। এর চেয়ে বেশি পানি পান করলে বা অনিয়মিত পানি পান করলে জটিল সমস্যা হতে পারে। বারবার পানি পিপাসা হৃদরোগ(Heart disease) বা কিডনিসংক্রান্ত জটিলতার কারণ হতে পারে। টাইপ ২ ডায়বেটিসের লক্ষণও হতে পারে। তাই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করাটা জরুরি।

৮ঃ ক্লান্তি
আপনি দিনের যে কোনো সময় ক্লান্তিবোধ(Feeling tired) করতে পারেন। খুব বেশি কাজের চাপ না পড়লেও যদি আপনি প্রায়ই ক্লান্ত হয়ে পড়েন, তাহলে সতর্ক হওয়া দরকার। অপুষ্টি বা থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যার কারণে এমনটি হতে পারে।

৯ঃ মাথাব্যথা
মাথাব্যথার মাধ্যমে শরীর (body) আপনাকে কিছু একটা জানাতে চায়। অনেকেই ব্যথানাশক ওষুধ দিয়ে সাময়িক উপশম পেতে চেষ্টা করেন। তবে মাথাব্যথার কারণটা আরো গভীর হতে পারে। যদি প্রচুর পানি(Water) পান ও মুক্ত পরিবেশে থাকার পরও সমস্যার সমাধান না হয়, তাহলে পানিশূন্যতার কারণে মাথাব্যথা হতে পারে। পুষ্টিহীনতা, ঘুমের স্বল্পতা অথবা মানসিক চাপ থেকেও কিন্তু এমন ব্যথা(Pain) হতে পারে।

১০ঃ পেটের গোলমাল
পাকস্থলী প্রতিদিন পরিষ্কার রাখাটা খুব জরুরি। প্রত্যেক মানুষের শরীরের(body) আলাদা ধরন রয়েছে। তাই অভ্যাসগুলোও আলাদা। তবে যদি পেটের গোলমাল খুব বেশি হয়, তাহলে চিকিৎসা প্রয়োজন। দিনে কয়েকবার প্রসাধন কক্ষে যেতে হলে, পেটের বর্জ্যে পরিবর্তন দেখা দিলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি।

১১ঃ ওজন কমে যাওয়া
হঠাৎ ওজন(weight) কমে যাওয়া মারাত্মক একটি লক্ষণ। এ রকম হলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি। ডায়বেটিস(Diabetes), ক্যানসার, ভাইরাসের সংক্রমণ, পেটের অসুখ, হতাশাসহ নানা অসুখের কারণে ওজন কমে যেতে পারে। যত দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাবেন তত দ্রুত উপকার পাবেন।

Check Also

অ্যাসিডিটি

ওষুধ ছাড়াই অ্যাসিডিটি কমানোর ‍ঘরোয়া উপায়

গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির (Acidity) সমস্যায় ভোগেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াই কঠিন। সব বয়সীদেরই এই ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *