Home / চুলের যত্ন / চুলে রং করুন ঘরে বসেই

চুলে রং করুন ঘরে বসেই

আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আপনাদের মাঝে অরেকটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আজ আপনাদের জানাবো কিভাবে ঘরে বসেই চুলে রং(Color) করা যায়। চুল(Hair) রাঙাতে সাধারণত সৌন্দর্য চর্চাকেন্দ্রেই যাওয়া হতো। তবে এই সময়ে জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে না যাওয়া নিরাপদ। আর বেশির ভাগ সৌন্দর্য চর্চাকেন্দ্রই বন্ধ। ঘরে বসে নিজেই রাঙিয়ে নিতে পারেন নিজের চুল(Hair)। সতর্কতা অবলম্বন করলেই হবে।চুলে রং

চুলে রং করুন ঘরে বসেই

ঘরে নিজে নিজে চুল(Hair) রং করার বেলায় খুব বেশি পরীক্ষামূলক নকশা বা রং বেছে নেওয়া ঠিক হবে না। সাদা বা কালো চুল রঙিন করার সময় খেয়াল রাখতে হবে রং যেন চুলের স্বাভাবিক রঙের কাছাকাছিই হয়। যাঁদের কোঁকড়া বা রুক্ষ চুল(Hair), তাঁদের জন্য উষ্ণ রং(Color) ভালো। সিল্কি বা সোজা চুলের জন্য ঠান্ডা ধাঁচের রং—এমন মতই দিলেন সৌন্দর্যচর্চাকেন্দ্র পারসোনার পরিচালক নুজহাত খান। এ ছাড়া অনেকেই হয়তো প্রথমবার নিজ হাতে চুলে রং(Hair color) করবেন, তাই তিনি দিয়েছেন আরও কিছু পরামর্শ।

উষ্ণ রঙের মধ্যে পড়ে লাল(Red), কমলা, তামা, সোনালি রং। ঠান্ডা ধাঁচের রং(Color) হলো বেইজ, নীল(Blue), বাদামি, ছাই। চুলে(Hair) রং করার আগে কিছু উপকরণ রাখতে হবে হাতের কাছে। দুই বাক্স চুলের রং, পরার পুরোনো কাপড়, দুই জোড়া দস্তানা (গ্লাভস), চিরুনি, কিছু কাগজ, ক্লিপ, কাচ বা প্লাস্টিকের বড় দুটি বাটি, ড্রাই ব্রাশ।

রং করার আগে

প্যাকেটের ওপর রঙিন চুলের যে ছবি থাকে, আপনার চুলে ঠিক তেমন রং না-ও আসতে পারে। কারণ চুলের ধরনের ওপর নির্ভর করে কেমন রং(Color) হবে। তাই কোন চুলে এর ফলাফল কেমন আসবে, তার ছবিসহ তালিকাটি দেখে কেনা উচিত।

রং কেনার সময় অবশ্যই দুই বাক্স কিনতে হবে।

রং(Color) কেনার পর পেছনে দেওয়া নির্দেশিকা পড়ে বুঝে নিতে হবে।

কিছুটা ময়লা চুলে রং বসে দ্রুত। তাই চুল রঙিন করার দুই দিন আগে শ্যাম্পু(Shampoo) করতে হবে।

চুলে রং করার সময় এক জোড়া দস্তানা পরে নিন। অন্য জোড়া চুল(Hair) ধোয়ার সময়। তা না হলে হাতে রং লেগে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

ভিন্নধর্মী রং ব্যবহারের আগে কানের পেছনের পাশের চুলে একটু লাগিয়ে দেখে নেওয়া উচিত।

চুলে পছন্দমতো রং না এলে দু-তিনবার রং(Color) ব্যবহার করবেন না। এতে চুলের ক্ষতি হয়।

পছন্দমতো রং পেতে প্যাকেটে দেওয়া সময় মেনে চুলে রং রাখতে হবে।

যাঁরা চুলের সাদা গোড়া রং(Color) করতে চান, তাঁরা অবশ্যই চুলের মাঝামাঝি থেকে নারকেল তেল(Coconut oil) ব্যবহার করবেন। এতে চুল(Hair) ধোয়ার সময় বাকি চুলে রং বসবে না।

রং করার আগে প্রথমে চুলকে চার ভাগে ভাগ করে নিন। কপাল ও কানের দিকে পেট্রোলিয়াম জেলি(Petroleum jelly) ব্যবহার করুন এর পরের ধাপে।

চুলের ওপরের দিক থেকে রং করে নিচের দিকে নামতে হবে।

আগার চুলে শেষ তিন-চার মিনিট রং রাখা ভালো। রঙের সঙ্গে অবশ্যই একটু শ্যাম্পু(Shampoo) মিশিয়ে নিতে হবে। যেহেতু চুলের গোড়ায় রং গাঢ় হয়, তাই এভাবে ব্যবহার করলে কিছুটা হালকা হবে।

পুরো চুলে রং লাগানোর পর রঙের প্যাকেটে লেখা সময় পর্যন্ত রাখতে হবে, এরপর ধুতে হবে। তা না হলে শেষের দিকের চুলে ভালো রং(Color) আসবে না।

রং করা শেষে চুল(Hair) খোঁপা করা যাবে না।

চুল(Hair) ধোয়ার সময় শ্যাম্পু ব্যবহার না করে পরিষ্কার পানি দিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট ধুয়ে নিন। খেয়াল রাখুন রং(Color) যেন না থাকে।

কন্ডিশনার অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। তা না হলে চুলের রং(Hair color) শুকানোর পর আরও গাঢ় হয়ে যাবে।

আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Check Also

চুল

চুল অনুযায়ী হেয়ার প্যাক ব্যবহার

চৈত্রের খর আবহাওয়ায় চুল রুক্ষ হয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়ে। ঝলমলে চুলের জন্য তাই বাড়তি যত্নও ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *