Home / স্বাস্থ্য টিপস / জেনে নিন খেজুর খেলে যেসব রোগ দূরে থাকে

জেনে নিন খেজুর খেলে যেসব রোগ দূরে থাকে

আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আপনাদের মাঝে অরেকটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আজ আপনাদের জানাবো খেজুর(Dates) খাওয়ার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে। অতি প্রাচীনকাল থেকেই খেজুর অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খাবার(Food)। প্রায় সবাই এটি খেতে অনেক পছন্দ করে। কারণ খেজুর(Dates) অত্যন্ত সুস্বাদু ও রুচিশীল একটি ফল যা ফ্রুকটোজ ও গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ। খেজুরে রয়েছে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা(Immunity)। খেজুর রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়। খেজুর(Dates) ফলকে চিনির বিকল্প হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। এতে রয়েছে উপকারী তেল, ক্যালসিয়াম(Calcium), সালফার, আয়রন, পটাশিয়াম, ফসফরাস, কপার এবং আরও নানাবিধ খনিজ। রয়েছে উপকারী ভিটামিনও।খেজুর

জেনে নিন খেজুর খেলে যেসব রোগ দূরে থাকে

খেজুরের পুষ্টি(Nutrition) উপাদান সম্পর্কে বলা হয়- চারটি বা ৩০ গ্রাম পরিমাণ খেজুরে আছে ৯০ ক্যালোরি, এক গ্রাম প্রোটিন(Protein), ১৩ মিলি গ্রাম ক্যালসিয়াম, ২.৮ গ্রাম ফাইবার এবং আরও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। খেজুর(Dates) শক্তির একটি ভালো উৎস। তাই খেজুর খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শরীরের ক্লান্তি(tired) ভাব দূর হয়। আছে প্রচুর ভিটামিন বি, যা ভিটামিন বিসিক্স মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। খেজুরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা(Immunity) বাড়ায়। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন খেজুর।

প্রতিটি খেজুরে রয়েছে ২০ থেকে ২৫ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, যা উচ্চ রক্তচাপ(Blood pressure) কমাতে সাহায্য করে। রক্তস্বল্পতায় ভোগা রোগীরা প্রতিদিন খেজুর(Dates) খেতে পারেন। একজন সুস্থ মানুষের শরীরে যতটুকু আয়রন প্রয়োজন, তার প্রায় ১১ ভাগ থাকে খেজুরে। যারা চিনি খান না তারা খেজুর(Dates) খেতে পারেন। চিনির বিকল্প খেজুরের রস ও গুড়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় রাতে জলে খেজুর ভিজিয়ে রাখুন। পর দিন সকালে খেজুর ভেজানো পানি(Water)খান। দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্য। খেজুরে থাকা নানা খনিজ হৃদস্পন্দনের হার ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া খেজুর(Dates) বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের হাত থেকে রক্ষা করে:

এনার্জির ঘাটতি দূর করে
এই ফলটিতে থাকা প্রাকৃতিক সুগার রক্তে মেশার পর এমন মাত্রায় শক্তি(Power) জোগায় যা শরীর একেবারে চনমনে হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে মানসিক ক্লান্তি দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়
খেজুর(Dates) খাওয়ার পাশাপাশি যদি নিয়মিত এই ফলটির পাতা খাওয়া যায়, তাহলে শরীরের এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে যে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে চোকে পরার মতো! সেই সঙ্গে নাইট ব্লাইন্ডনেসসহ অন্যান্য চোখের রোগের প্রকোপ কমতেও সময় লাগে না।

হার্টের ক্ষমতা বাড়ে
ডায়াটারি ফাইবারে সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে নিয়মিত খেজুর(Dates) খেলে শরীরে “এল ডি এল” বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক(Heart attack) এবং স্ট্রোকের আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে এতে উপস্থিত পটাশিয়াম আরও সব হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমায়।

পেটের রোগের প্রকোপ কমায়
প্রচুর পরিমাণ ফাইবার(Fiber)থাকার কারণে নিয়মিত এই ফলটি খেলে বাওয়েল মুভমেন্টে মারাত্মক উন্নতি ঘটে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কোনও ধরনের পেটের রোগই আর মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে না। প্রতিদিন ৩টি করে খেজুর(Dates) খেলে শরীরে উপকারি ব্যাকটেরিয়ায় মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে বদহজম(Indigestion), কোলাইটিস এবং হেমোরয়েডের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে
খেজুরে উপস্থিত খনিজ এবং ভিটামিন(Vitamin) হাড়কে এতটাই শক্তপোক্ত করে দেয় যে বয়স্কালে অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে কমে যায়। এই ফলটিতে উপস্থিত সেলেনিয়াম, ম্য়াঙ্গানিজ, কপার এবং ম্যাগনেসিয়াম এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

অ্যালার্জির প্রকোপ কমায়
খেজুরে সালফার কম্পাউন্ড অ্যালার্জির(Allergies)মতো রোগ থেকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। যারা সারা বছরই এই রোগে ভুগে থাকেন, তাদের রোজের ডায়েটে এই ফলটি অবশ্যই রাখবেন।

অ্যানিমিয়ার মতো রোগকে দূরে রাখে
শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিলেই মূলত এই ধরনের রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। শরীরে যাতে এই খনিজটির ঘাটতি কোনও সময় দেখা না দেয়, সেদিকে খেয়াল রাখা একান্ত প্রয়োজন। এই ছোট্ট ফলটি আয়রণ(Iron) সমৃদ্ধি। অ্যানিমিয়ার মতো রোগকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয়।

সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আরো স্বাস্থ্য বিষয়ক টিপস এবং পরামর্শ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Check Also

অ্যাসিডিটি

ওষুধ ছাড়াই অ্যাসিডিটি কমানোর ‍ঘরোয়া উপায়

গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির (Acidity) সমস্যায় ভোগেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াই কঠিন। সব বয়সীদেরই এই ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *