আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আপনাদের মাঝে অরেকটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আজ আপনাদের জানাবো এক নতুন তথ্য। আমাদের জীবনে এরকম অনেক ঘটনাই ঘটে যার সঠিক কোনো ব্যখ্যা নেই। প্রায়ই খবরের কাগজে বা নেট দুনিয়ায় এরম অনেক খবর(News) আসে যা শুনলে অবাকই হতে হয়। এরকমই চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশিত হয়েছিল কয়েকদিন আগে। আপনি কি খুব ভোরে ঘুম(Sleep) থেকে ওঠেন ? আপনার কি বিয়ে হয়ে গেছে ? তাহলে আপনার জন্য রয়েছে এই চাঞ্চল্যকর খবর।
ঘুম থেকে উঠে ভোরে মিলন কমায় হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা
খবরে বলা হয়েছে ঘুম(Sleep) থেকে উঠে ভোরবেলা যদি আপনি মিলনে লিপ্ত হতে পারেন তাহলে আপনার হার্টঅ্যাটাকের(Heart attack) সম্ভবনা কমবে। কি শুনতে অবাক লাগছে তো ? কিন্তু গবেষণা এরকমই তথ্য দিচ্ছে যে ভোরে ঘুম থেকে উঠে যৌন(Sexual) সম্পর্কে লিপ্ত হলে তা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা(Immunity) ও এনার্জি বাড়িয়ে তুলতে মিলন যে অনস্বিকার্জ এমনটাই দ্বাবি করেছেন গবেষকরা। ভোরে রক্ত চলাচল খুব ভালো হয় আর যৌনমিলনের সময় রক্ত(Blood) সরবারহ ভালো হয়, তাই এমন ধারনা করা হচ্ছে।
যৌন মিলন(Sexual intercourse) শরীরের জন্য উপকারী এমনটাই বলা হচ্ছে। যৌন মিলন দুশ্চিন্তা(Anxiety) রোধ করে। এমনকি রক্তচাপ(Blood pressure) নিয়ন্ত্রন করতে সহায়তা করে। নিয়মিত যৌনমিলন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়াও যৌনমিলন দুশ্চিন্তা রোধে সহায়তা করে।
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে ২৪ জন পুরুষ ও ২২ জন মহিলাকে যাদের স্বাভাবিকের তুলানায় বেশি ঝামেলার কাজ দেওয়া হয় এবং তারা শারীরিক মিলনের সময় অনেক বেশি দুশ্চিন্তামুক্ত ছিল। দেখা গেছে সপ্তাহে একবার বা দুবার যৌনমিলন(Sex) করলে অ্যান্টিবডির স্তর বৃদ্ধি হয় যা ঠান্ডা লাগা রোধ করে।
যৌনমিলনে হার্টঅ্যাটাকের(Heart attack) আশঙ্কা কমে। একাধিক গবেষণায় প্রমানিত হয়েছে নিয়মিত শারীরিক মিলনে লিপ্ত হলে হার্টঅ্যাটাক ও স্ট্রোকের আশঙ্কা হ্রাস পায়। গবেষণাপত্রে দেখা গেছে যারা সপ্তাহে ৩ বার মিলন করেন তাদের হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় আর মস্তিস্কে রক্ত(Blood) সরবারহ বেড়ে যাওয়ার জন্য স্ট্রোকের সম্ভবনা হ্রাস পায়।
এছাড়াও ভোরে উঠে মিলন আপনার পার্টনারের সাথে একটা ভালো দিন শুরু করার ক্ষেত্রে কাজে আসবে। আপনি সকালে উঠে মুড(Mood) চাঙ্গা করার জন্য হালকা মিউসিক চালিয়ে এই কাজটি করতেই পারেন। এতে আপনি শারীরিকভাবে স্ট্রং হবেন আর আপনার দিনটিও ভালো যাবে।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
