আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আপনাদের মাঝে অরেকটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আজ আপনাদের জানাবো ঘরে বস হারবাল ড্রাই ফেস ওয়াশ(Face wash) তৈরির উপায়। ত্বকের যত্নে আমরা কত ধরনের ফেস ওয়াশ ব্যাবহার করি। ফেস ওয়াশ(Face wash) সাধারণত তরল হয়ে থাকে। আজ থাকছে ড্রাই ফেস ওয়াশ তৈরির পদ্ধতি। আসুন জেনে নেই কিভাবে বানাবেন এই ঘরোয়া হারবাল ড্রাই ফেস ওয়াশ(Face wash)।
ঘরে তৈরি হারবাল ড্রাই ফেস ওয়াশ
হারবাল ড্রাই ফেস ওয়াশ তৈরীর উপকরণঃ
• বেসন -দেড় কাপ
• আতপ চালের গুঁড়া-১/৪ কাপ
• মিল্ক পাউডার-১/৪ কাপ
• হলুদ গুঁড়া-১ চা চামচ
• গ্লুকোজ পাউডার-১/৮ কাপ
• লাল আটা বা ময়দা-১/২ কাপ
• কাঠ বাদাম গুঁড়া-২ টেবিল চামচ (না দিলেও চলবে)
• নিমপাতা গুঁড়া-১ টেবিল চামচ (যাদের ব্রণের সমস্যা আছে শুধু তারা ব্যবহার করবেন)
• পরিষ্কার এয়ার টাইট পাত্র।
প্রণালীঃ
⇒ যে সব উপকরণের কথা বলা হয়েছে সেগুলো আলাদা আলাদা পাত্রে রাখুন। সব উপাদান যেন মিহি ও পরিষ্কার হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
⇒ তারপর একটা বড় পাত্রে সব গুলো উপকরণ ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন।
⇒ তারপর এয়ার টাইট পাত্রে সংগ্রহ করুন। খেয়াল রাখবেন বাতাস ও পানির সংস্পর্শে যেন না আসে, শুকনো জায়াগার রেখে দিন।
⇒ প্রতিদিন মুখ ধোয়ার সময় পানি/গোলাপ পানি (তৈলাক্ত ত্বক হলে) অথবা কাঁচা দুধ (শুষ্ক ত্বক হলে) দিয়ে গুলিয়ে ফেস ওয়াশের মত ম্যাসাজ(Massage) করে ধুয়ে ফেলুন। ফেস প্যা্কের মত লাগিয়ে রাখার দরকার নাই।
⇒ এর পর পানির ঝাপটা দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, আর দেখুন প্রকৃতির কারিশমা।
বিঃদ্রঃ ১ মাসের মত ভালো থাকবে এ ফেইসওয়াশ(Face wash) । আপনি চাইলে বেশি করে বানিয়ে রেফ্রিজারেটরেও রেখে দিতে পারেন। রেফ্রিজারেটরে ৬ মাসেরও বেশি সময় ভালো থাকবে।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।