Home / লাইফস্টাইল / জীবনে খারাপ সময় আসবেই, ভেঙে না পড়ে এই ১০টি কথা মনে রাখুন কাজে লাগবে

জীবনে খারাপ সময় আসবেই, ভেঙে না পড়ে এই ১০টি কথা মনে রাখুন কাজে লাগবে

সাফল্য অর্জনের দুর্গম পথ পাড়ি দেওয়ার সময় আমরা এমন অবস্থার সম্মুখীনও হই যখন আমাদের সাথে সব কিছু খারাপ হয়। অবস্থাটা খানিকটা এমন “অভাগা যেদিকে চায় সাগর শুকিয়ে যায়!” আর জীবনের এই কঠিন সময়টাতে আপনি যদি নিজেকে সামলে রাখতে না পারেন তাহলে এই অবস্থার মধ্য থেকে কখনোই বের হয়ে আসতে পারবেন না। তাই আজ আপনাদের বলবো আপনার সাথে যখন সব কিছু খারাপ আর ভুল হয় তখন যে বিষয়গুলো সব সময় মনে রাখবেন।জীবনে খারাপ সময়

জীবনে খারাপ সময় আসবেই, ভেঙে না পড়ে এই ১০টি কথা মনে রাখুন কাজে লাগবে

১. জীবনে সবকিছু সাময়িক: বৃষ্টি ঝরতে তো সবাই দেখেছেন। কখনো কি এমনটা দেখেছেন আজীবনের জন্য বৃষ্টি ঝরা শুরু হয়েছে? ঠিক একইভাবে জীবনে কোনকিছুই দীর্ঘস্থায়ী হয়না। তাই আপনার জীবনের খারাপ সময়গুলোতে দিশেহারা হবেন না। বিশ্বাস করুন যে এই সময়ের শেষও আছে।

২. দুশ্চিন্তা ও দোষারোপ কোনটাই কিছু বদলাতে পারেনা: এমন অনেকেই আছেন যে তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটলেই তারা ঠিক কাউকে বা নিজেকে দোষারোপ করবে। কিংবা দুশ্চিন্তা করে খারাপ সময় আরও খারাপ করে তুলবে। কথা হচ্ছে আপনি একটি বারও কি ভেবে দেখেছেন আপনার এই আচরণ আপনার সমস্যা সমাধানে কতটুকু সাহায্য করেছে? তাই আর দোষারোপ বা দুশ্চিন্তা নয় বরং এই অবস্থায় নিজেকে সামলে রাখুন।

৩. কিছু জিনিস ঠিকই সঠিক হচ্ছে: অন্ধকারের শেষে যেমন আলো লুকায়িত থাকে একইভাবে আপনার খারাপ সময়গুলোর পেছনে নিশ্চয় সঠিক কিছু ঘটছে। এখানে আপনাকে শুধু একটু আপনার সহ্যশক্তি বাড়াতে হবে। আর তাই এমন সময়ে শুধুমাত্র খারাপ জিনিসের প্রতি লক্ষ্য না করে দেখুন কি ভালো ঘটছে আপনার জন্য সেটা সামান্য পরিমাণই হোক না কেন।

৪. আপনি এটা সামলাতে পারেন: সময় যত খারাপই হোক না কেন আপনি সব সময় এটি বিশ্বাস করুন যে আপনি এটা সামলাতে পারেন। জীবন আপনার আর সমস্যাও আপনার তাই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসার উপায়ও আপনাকেই জানতে হবে। তাই নিজের প্রতি বিশ্বাস কখনো হারাবেন না।

৫. আপনার নিজের প্রতি যত্নবান হতে হবে: যখন সবকিছু আপনার সাথে খারাপ হয় তখন নিজের প্রতি যত্নবান হন। কেননা এই খারাপ সময়ের সবটা আপনাকেই অতিক্রম করতে হবে। আর নিজেই যদি ঠিক না থাকেন তাহলে এই সময় শেষ হওয়ার আগেই হয়তো আপনি নিজেই শেষ হয়ে যাবেন। তাই ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করার পাশাপাশি বিশ্রাম করুন ও আপনার প্রিয় মানুষগুলোর সাথে সময় অতিবাহিত করুন।

৬. আবেগ ধরে রাখবেন না: বিশেষ করে পুরুষদের মধ্যে নিজের আবেগ লুকানোর প্রবণতাটা বেশি দেখা যায়। যত কষ্টই আসুক তা তারা নিজের মধ্যেই চেপে রাখেন। এর ফল হয় মারাত্মক। মানসিক অসুস্থতা থেকে শুরু করে আত্মহত্যা পর্যন্ত গড়ায় এর পরিণতি। তাই কঠিন সময়গুলোতে নিজের আবেগ চেপে রাখবেন না। পরিবার বা কাছের বন্ধুদের সাহায্য নিন। সময় বয়ে যাওয়ার সাথে সাথে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে উঠবেন আপনি।

৭. খারাপ সময়কে মেনে নিন, এগিয়ে চলুন সামনে: মানুষের জীবনে ভাল এবং খারাপ দু’রকম সময়ই আসে। তাই ভালর পাশাপাশি খারাপকেও মেনে নিতে শিখুন। ভেঙ্গে না পড়ে সামনে এগিয়ে যান। যত তাড়াতাড়ি আপনি নিজের খারাপ সময়টিকে মেনে নিতে পারবেন, তা থেকে মুক্তি পাওয়া ততই সহজ হবে।

৮. ইতিবাচক চিন্তা করুন: ইতিবাচক চিন্তা জীবনের দুঃসময় পার করার অন্যতম হাতিয়ার। কখনোই আশা হারাবেন না। চাকরি চলে গেলে নিজেকে বোঝান নিশ্চয় এর চেয়ে ভাল চাকরি আপনার জন্য অপেক্ষা করছে, প্রিয়জন ছেড়ে চলে গেলে নিজেকে জানান, আপনার জন্য আসলেই উপযুক্ত এমন কারো দিকে এক পা এগিয়ে গেছেন।

৯. ভুলগুলো নিয়ে না ভেবে সঠিক পরিকল্পনা করুন: আপনি কি হারিয়েছেন, কেন হারিয়েছেন, সেসব থাকলে কত ভালো হত এসব চিন্তা না করে ভবিষ্যতে আপনার কি কি অর্জন করার সম্ভাবনা আছে তা ভাবুন এবং সে অনুযায়ী নিজে তৈরি করুন। যা হারিয়েছেন তার জন্য অভিযোগ না করে পুনরায় ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করুন।

১০. শিক্ষা নিন কঠিন সময়গুলো থেকে: জীবনের কঠিন মুহূর্তগুলো থেকে শিক্ষা নিন। চাকরি হারানো, আর্থিক সমস্যা, শারীরিক অসুস্থতার সময়গুলোতেই বোঝা যায় আসলেই কে আপনার আপনজন আর কে আপনার সাথে এতদিন অভিনয় করছিলো। এ শিক্ষা আপনাকে আজীবন সঠিক পথে চলতে সাহায্য করবে। তাই জীবনের কঠিন সময়গুলোকে অভিশাপ নয় বরং আশীর্বাদ হিসেবে দেখুন।

সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Check Also

মেয়ে পটানোর

পছন্দের মেয়ে পটানোর ১০টি উপায় জেনে নিন

পছন্দের মেয়ে পটানোর ১০টি উপায় জেনে নিন। জীবনে একজন সঙ্গী কে না চায়! অনেক সময় ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *