Home / স্বাস্থ্য টিপস / শিশুর দাঁতে ক্যাভিটি প্রতিরোধের উপায় জেনে নিন

শিশুর দাঁতে ক্যাভিটি প্রতিরোধের উপায় জেনে নিন

আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আপনাদের মাঝে অরেকটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আজ আপনাদের জানাবো শিশুর(Baby) দাঁতে ক্যাভিটি(Cavity) প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে। ক্যাভিটির সমস্যা কমবেশি সবারই দেখা দেয়। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে একটু বেশি দেখা দেয় এই সমস্যা। কয়েকটি কারণে এটি হতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম তিনটি কারণ হচ্ছে- ব্যাকটেরিয়া, সুগার ও সময়।দাঁতে ক্যাভিটি

শিশুর দাঁতে ক্যাভিটি প্রতিরোধের উপায় জেনে নিন

আমাদের মুখের মধ্যে ব্যাকটেরিয়া(Bacteria) সব সময় উপস্থিত। সেটাকে পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব নয়। তবে বাকি দুটোকে কিন্তু নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। শিশুদের ক্ষেত্রেও এই সমস্যা(Problem) প্রতিরোধ করা সম্ভব। একটু বাড়তি নজরদারি আর সচেতনতাই এই সমস্যা দূর করতে পারে।

যেভাবে প্রতিরোধ করবেন-

> আপনার শিশু কতটা মিষ্টি জাতীয় খাবার(Food) খাচ্ছে। কতক্ষণ ধরে খাচ্ছে বা খাওয়ার কত পরে মুখ ধুচ্ছে এগুলো খেয়াল রাখুন।

> অনেক সময় শিশুরা চকলেট খেতে খেতেই ঘুমিয়ে(Asleep) যায়। খেয়াল রাখতে হবে বাচ্চা যেন কোনো মিষ্টি খাবার মুখে নিয়ে না ঘুমায়।

> দুই বেলা ব্রাশ করা জরুরি। বাচ্চারা বড়দের দেখেই শেখে। তাই নিজের সঙ্গে বাচ্চাকে নিয়ে দুই বেলা ব্রাশ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

> এছাড়াও যেকোনো মিষ্টি খাবার খাওয়ার পর ভালোভাবে দাঁত(Teeth) ব্রাশ করিয়ে নিন। অন্য খাবারগুলো খাওয়ার পর কুলকুচি করার অভ্যাস করান।

> দুই থেকে ১২ বছর বয়সে ছয় ও সাত নম্বর পার্মানেন্ট দাঁতের গর্তে ক্ষয় বেশি হয়। আর ছয় ও সাত নম্বর দাঁত যেহেতু খুব জরুরি, তাই এই ক্ষয় প্রতিরোধ(Resistance) করা অত্যন্ত প্রয়োজন।

> বাচ্চাদের জন্য ফ্লোরিডেটেড টুথপেস্ট খুব একটা উপযুক্ত নয়। অনেক ক্ষেত্রে ডেন্টিস্টরা ৬ বছর ও ১২ বছর বয়সে দাঁতে ফ্লোরাইড অ্যাপ্লিকেশনের পরামর্শ দেন।

> নিয়মিত দাঁত পরীক্ষা করান। শুধু দাঁতে ব্যথা হলেই ডেন্টিস্টের পরামর্শ নেবেন এই চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসুন। শারীরিক(Physical) সমস্যায় যেমন নিয়মিত ডাক্তারের(Doctor) কাছে পরামর্শ নিতে হয়। তেমনি দাঁতের চেকআপ করাতে পারেন ৩ মাস অন্তর অন্তর।

> ক্যাভিটির(Cavity) লক্ষণ বোঝা যায় বিভিন্ন কারণ থেকে। দাঁতে কালো কালো দাগ হয়। দাঁতের কিছুটা অংশ ভেঙে যেতে পারে। দাঁতে ব্যথা হয়। জ্বর(Fever) আসতে পারে মিষ্টি খাবার খেলে দাঁত শিরশির করে। ঠান্ডা-গরমেও দাঁতে ব্যথা হয়। দাঁত ও মাড়ির মধ্যে ব্যাকটেরিয়া থেকে শরীর(Body) খারাপ লাগতে পারে।

> অনেক সময় ক্যাভিটির সময়মতো চিকিৎসা(Treatment) না হলে দাঁতের পাল্প ইনফেকটেড হয়ে যেতে পারে। মাড়ির(Gums) নিচে অ্যালভিওলার বোনে অ্যাবসেস বা পুঁজ জমে যেতে পারে। গাল ফুলে যেতে পারে। জ্বর হয়। এতে দাঁত তুলে ফেলা ছাড়া কোনো উপায় থাকে না।

> দাঁতে ব্যথা(Pain) হলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। একটি দাঁতে ক্যাভিটি(Cavity) হলে খুব তাড়াতাড়ি বাকি দাঁতে হতে পারে। বড়দের মতো বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও ফিলিং ক্রাউনিং ক্যাভিটি(Cavity) সারাবার সবচেয়ে ভালো উপায়।

> হেলদি এনামেলের(Enamel) জন্য দাঁত ওঠার আগে থেকেই বাচ্চাকে ভিটামিন ‘এ’, ‘ডি’, ‘সি’ ক্যালসিয়াম, ফসফরাস সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে পারেন। দই, দুধ(Milk), ড্রাই ফ্রুট, স্ট্রবেরি, পেয়ারা, ব্রকোলি, লেটুস এগুলোতে বাচ্চার দাঁতের উপকার হয়।

আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Check Also

বেলের শরবত

ইফতারে বেলের শরবত পানের উপকারিতা

ইফতারে কোনো না কোনো শরবত তো থাকেই। তবে আমাদের মধ্যে বেশিরভাগই ইফতারে কেমিক্যালযুক্ত শরবত খেতে ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *