Home / স্বাস্থ্য টিপস / জেনে নিন যে সকল কারণে পেটে মেদ জমে

জেনে নিন যে সকল কারণে পেটে মেদ জমে

আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আপনাদের মাঝে অরেকটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আজ আপনাদের জানাবো যে সকল কারণে পেটে মেদ(Fat) জমে সে সব কথা নিয়ে। গড়নে মোটা মানুষের পেটে মেদ জমলে ততটা দুঃখ হয় না, যতটা চিকন মানুষের পেটে মেদ জমলে হয়। সারা শরীর(Body) টিঙটিঙে কিন্তু পেটের কাছে পোটলার মতো মেদ! পেটে ফ্যাট জমার স্পষ্ট কতগুলো কারণ আছে। তাই আক্ষেপ কিংবা মন খারাপ না করে নজর দিন এর কারণগুলোর দিকে।পেটে মেদ

জেনে নিন যে সকল কারণে পেটে মেদ জমে

ডায়েট আর এক্সারসাইজের নিয়মকানুন মেনে ওজন(Weight) কমাতে আরম্ভ করলে আপনার পেটের ফ্যাটও কমবে। যারা চিকন গড়ন নিয়েও পেটে চর্বির পরত জমিয়ে ফেলেছেন, তারাও ডায়েটিং(Dieting) আর ব্যায়ামের মতো বিষয়গুলোকে সিরিয়াসভাবে নিন। তা না হলে সমস্যা দিন দিন বাড়বে।

ট্রান্স ফ্যাট: পেটের মেদ(Fat) বৃদ্ধির একটি কারণ হলো আপনি যা খাচ্ছেন, তার মধ্যে ট্রান্স ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। মানে, প্যাকেটের চিড়াভাজা, মাফিন, চিপস(Chips), বেকড খাবার- সবকিছুর মধ্যেই ট্রান্স ফ্যাট থাকে। থাকে বিস্কুট আর কুকিজেও। অতিরিক্ত প্রসেসড চিজ ইত্যাদি থেকেও দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে।

খাবারে অতিরিক্ত চিনি: প্রতিদিন মিষ্টি না খেলেও আপনার খাদ্যতালিকায়(Food list) বড়সড় সমস্যা আছে। খুঁটিয়ে দেখুন কোথায় সমস্যা। রোজ ফ্রুট জুস খেলে, ক্ষুধা পেলেই বিস্কুটের দিকে হাত বাড়ালে, মুড়ির সঙ্গে একটু চানাচুর মিশিয়ে খেলে, ব্রেকফাস্টে প্রসেসড কর্ন বা হুইট ফ্লেক্স খেলে সেসব বন্ধ করতে হবে। আপনার খাদ্যতালিকার অতিরিক্ত চিনিই(Sugar) সব সমস্যার কারণ।

যথেষ্ট প্রোটিন ও ফাইবার না থাকা: আপনি আমিষ খান বা নিরামিষ, প্রোটিনের(Protein) পরিমাণে ঘাটতি হওয়ার কোনো কারণ নেই। নিরামিষভোজীরা বেশি করে ডাল, ছানা, সোয়াবিন ইত্যাদি খান। যারা আমিষ পছন্দ করেন, তারা মাছ(Fish), ডিম, চিকেনের উপর আস্থা রাখুন। প্রোটিন আপনার পেট ভরিয়ে রাখবে বেশিক্ষণ, অল্পতেই ক্ষুধা পাবে না। সেইসঙ্গে বাড়াতে হবে ফল-শাকসবজি(Vegetables) খাওয়া। তাতে যথেষ্ট ফাইবার মিলবে।

পাচনতন্ত্রে অপকারি ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বেশি: আপনার পাচনতন্ত্রে, বিশেষ করে কোলনে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া(Bacteria) থাকে, তার পোশাকি নাম হচ্ছে ‘গাট ফ্লোরা’ বা ‘মাইক্রোবায়োম’। পাচনতন্ত্রে উপকারি ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বেশি না হলে পেটে মেদ জমতে পারে। খাদ্যতালিকায় প্রোবায়োটিকের পরিমাণ বাড়িয়ে ও সুষম খাবার(Food) খেলে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে।

ঘুম কম হওয়া: দিনে অন্তত ছয়-সাত ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে, তার চেয়ে কম বিশ্রাম(Rest) পেলে কিন্তু পেটে মেদ(Fat) জমতে বাধ্য। রোজ নির্দিষ্ট সময় ঘুমোতে যাওয়া ও ঘুম(Sleep) থেকে ওঠার অভ্যাস তৈরি করুন।

ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Check Also

অ্যাসিডিটি

ওষুধ ছাড়াই অ্যাসিডিটি কমানোর ‍ঘরোয়া উপায়

গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির (Acidity) সমস্যায় ভোগেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াই কঠিন। সব বয়সীদেরই এই ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *