Home / চুলের যত্ন / জেনে নিন খুশকি প্রতিরোধে ঘরোয়া সমাধান

জেনে নিন খুশকি প্রতিরোধে ঘরোয়া সমাধান

নারী-পুরুষনির্বিশেষে অনেকে প্রায়ই খুশকির সমস্যায়(Dandruff problem) ভুগে থাকেন। রোদ, ধুলা-ময়লা, দূষণ, ঘাম মিলেমিশে খুশকির উপদ্রব ঘটায়। কখনো কখনো তা মারাত্মক হয় ওঠে। খুশকি(Dandruff) থেকে বাঁচতে প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করাই শ্রেয়। হাতের কাছে থাকা এমন কিছু উপকরণ দিয়েই এর প্রতিকার করা যায়। তেমন কিছু সহজ রেমেডি বা টোটকা সম্পর্কে জানানো হলো।খুশকি

জেনে নিন খুশকি প্রতিরোধে ঘরোয়া সমাধান

আপেল সাইডার ভিনেগার
বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিনেগার। আপেল সাইডার ভিনেগার(Apple cider vinegar) মাথার ত্বকের বা স্ক্যাল্প থেকেই সহজেই মৃত কোষ সরাতে পারে। বলে রাখি, এই মৃত কোষও কিন্তু হিজাব পরিহিত নারীদের খুশকির জন্য বেশ খানিকটা দায়ী। এ ছাড়া এসিভি একটি অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান। এটি স্ক্যাল্প ও চুলে ফাঙ্গাসের বৃদ্ধি হ্রাস করে। এসিভি খুশকির জন্য হওয়া চুলকানি কমাতে পারে। এটি মাথার ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্স বজায় রাখে। দেড় কাপ পানির সঙ্গে আধা কাপ আপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে চুল(Hair) পরিষ্কার করার পর মাথার ত্বকে ভালোভাবে লাগাতে হবে। এই রেমেডি লাগানোর জন্য স্প্রে বোতল ব্যবহার করলেই সুবিধা হয়।

টি ট্রি অয়েল
কিছুদিন আগেও আমাদের দেশে অনেকেই টি ট্রি অয়েল(Tea Tree Oil) সম্পর্কে জানতেন না। যাঁরা সৌন্দর্যচর্চার নিত্যনতুন উপাদান নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন, তাঁদের কাছে এখন বেশ পরিচিত একটা জিনিস এটি। একে জাদুকরি এসেনশিয়াল অয়েল বলা হয়। টি ট্রি অয়েল প্রাকৃতিক ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাসনাশক। চুলের খুশকি(Dandruff) দূর করতে অনেক কার্যকর। দুই টেবিল চামচ যেকোনো ক্যারিয়ার অয়েলের (নারিকেল, আমন্ড, জলপাই তেল) সঙ্গে মাত্র কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে চুলে ম্যাসাজ(Massage) করলে কয়েক দিনের মধ্যে খুশকির প্রকোপ কমে আসে। এটি শ্যাম্পুর সঙ্গে মিশিয়েও ব্যবহার করা যায়।

লেবু
খুশকি(Dandruff) দূর করতে সবচেয়ে প্রাচীন এবং জনপ্রিয় রেমেডি। লেবুর সাইট্রিক অ্যাসিড দারুণ এক্সফোলিয়েটর। সেই সঙ্গে এটি স্ক্যাল্পের চুলকানি কমিয়ে থাকে এবং এর পিএইচ ব্যালেন্স বজায় রাখে। লেবু(Lemon) মাথার ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করতে পারে। দুই টেবিল চামচ লেবুর রসের সঙ্গে এক টেবিল চামচ পানি বা নারিকেল তেল(Coconut oil) মিশিয়ে ভালোভাবে মাথার তালুতে ম্যাসাজ(Massage) করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। ভালো ফল পেতে সপ্তাহে অন্তত দুই দিন ব্যবহার করুন।

ওটস
ওটসে আছে সাপোনিন, যা একটি প্রাকৃতিক ক্লিনজার(Cleanser)। মাথার ত্বকে থাকা তেলচিটচিটে ভাব দূর করার সঙ্গে সঙ্গে তাড়াতে পারে মৃত কোষ। এর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান খুশকি(Dandruff) ও চুলকানির সমস্যা সমাধানে বেশ সহায়তা করে। লিপিড আর প্রোটিনে সমৃদ্ধ বলে ওটস মাথার ত্বকে পুষ্টি(Nutrition) জুগিয়ে একে ময়শ্চারাইজ করে।

ওটস চুলে পেস্ট করে লাগানো যায়। আবার ওট মিল্ক বানিয়ে ব্যবহার করা যায়। ওটসের সাধারণ মাস্কটি চুলে শ্যাম্পু(Shampoo) দেওয়ার আগে লাগাতে হয় আর ওট মিল্ক মাস্ক শ্যাম্পু দিয়ে চুল(Hair) ধোয়ার পর। এটি বানাতে এক কাপ ওটসের সঙ্গে দুই কাপ পানি মিশিয়ে ব্লেন্ড করলেই হবে। ওট মিল্ক লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর ভালোভাবে ধুতে হবে, যাতে চুলের গোড়ায় এটি লেগে না থাকে।

সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Check Also

চুল

চুল অনুযায়ী হেয়ার প্যাক ব্যবহার

চৈত্রের খর আবহাওয়ায় চুল রুক্ষ হয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়ে। ঝলমলে চুলের জন্য তাই বাড়তি যত্নও ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *