Home / লাইফস্টাইল / মাতৃত্বের ক্লান্তি দূর করার উপায় জেনে নিন

মাতৃত্বের ক্লান্তি দূর করার উপায় জেনে নিন

মা(Mother) হওয়া মোটেও সহজ বিষয় নয়। দীর্ঘ প্রায় ৯ মাস সযত্নে গর্ভে ধারণ করতে হয় সন্তানকে। এরপর সেই সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়ে গেলেই কিন্তু মায়ের দায়িত্ব শেষ নয়, বরং দায়িত্ব শুরু সেখান থেকেই। নবজাতককে দুধ(Milk) পান করানো, রাতভর জেগে তার ভেজা ডায়াপার বদলে দেওয়া, এক নাগাড়ে কেঁদে চলা সন্তানকে ধৈর্য সহকারে শান্ত করা এসবও মায়ের বড় দায়িত্ব।মাতৃত্বের ক্লান্তি

মাতৃত্বের ক্লান্তি দূর করার উপায় জেনে নিন

আর এসব দায়িত্ব(Responsibility) পালন করতে গিয়ে দেখা যায় প্রতি রাতেই মায়ের পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। ফলে একটা সময় ক্লান্তি, অবসাদ(Exhaustion) দেখা দেয় তার শরীর ও মনে। এই অবস্থায় নিজেকে সুস্থ রাখতে হলে মায়েদের কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত।

যে কারণে মাতৃত্বের ক্লান্তি

পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাব, অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা(Anemia), হাইপোথাইরয়েডিজম, সন্তান জন্ম দেওয়াসহ আনুসঙ্গিক নানা কারণে হতাশা দেখা দিলে মাতৃত্বকালীন ক্লান্তি বা অবসাদ দেখা দেয়।

মাতৃত্বের ক্লান্তি দূর করতে যা করবেন

১. নবজাতককে সব সময় খেয়াল রাখতে হয় বলে এই সময়ে মায়েদের ঘুম ও বিশ্রাম(Rest) নেওয়া বেশ কঠিন। তবে যখন আপনার সন্তান ঘুমিয়ে পড়ে তখন অথবা যখন সে দুধ(Milk) পান করে, সে সময় আপনিও চোখ বন্ধ করে ঘুমানোর চেষ্টা করুন।

২. মাতৃত্বের সময়ে খাবার নিয়ে অবহেলা করা মোটেও ঠিক না। সন্তান গর্ভে থাকাকালে যেমন পুষ্টিকর খাবার(Nutritious food) খাওয়া প্রয়োজন, তেমনি সন্তান জন্মের পরও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। নবজাতককে সুস্থ রাখতে যেমন খেয়াল রাখছেন আপনি, তেমনি নিজেকে সুস্থ, সবল রাখতে পুষ্টিকর সব খাবার খেতে ভুলবেন না।

৩.দিনে যতটুকু সম্ভব পানি(Water) পান করুন। এতে আপনি সুস্থ বোধ করবেন সব সময়। নিয়মিত ফলের জুস(Fruit juice) পানও শক্তি জোগাবে।

৪.নিজেই সব দায়িত্ব নেবেন না। যেহেতু প্রতিটা মুহূর্তেই নবজাতকের খেয়াল রাখতে হচ্ছে আপনাকে, তাই সংসারের সব দায়িত্ব নিয়ে নিজের উপর বোঝা চাপাবেন না। এক্ষেত্রে কিছু দায়িত্ব আপনার স্বামীর সাথে ভাগ করে নিন।

৫.মাতৃত্বকালীন সময়টা বেশ জটিলই বলা চলে। আপনি নিজে পুরোপুরি সুস্থ না, শিশুর সুস্বাস্থ্যও এ সময় বজায় রাখতে হয়। তাই আপনার কাজে সহায়তা করতে স্বজনদের কাউকে সঙ্গে রাখতে পারেন কিছুদিনের জন্য।

৬.মাতৃত্বকালীন সময়ে নিজেকে যতটা সম্ভব শান্ত রাখার চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে যোগব্যায়াম(Yoga) বা মেডিটেশন আপনার জন্য উপকারী হতে পারে।

সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Check Also

তরমুজ

মিষ্টি তরমুজ চেনার কিছু টিপস শিখে নিন

গ্রীষ্ম মানেই বিভিন্ন সুমিষ্ট আর রসালো ফলের সমাহার। কেবল ফলের স্বাদ নেওয়ার জন্যই বছরের এই ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *