আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আপনাদের মাঝে অরেকটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আজ আপনাদের জানাবো অর্জুন গাছের উপকারিতা সম্পর্কে। অর্জুন একটি বৃহৎ গাছ(Trees); ৫০/৬০ ফুট পর্যন্ত উঁচু হয়, পাতাগুলির আকার একটু বড় হলেও মানুষের জিভের মত কিন’ পাতার ধারগুলি খুব সরু দাঁত করাতের মত কিন’ মাংসল নয়, শক্ত। সমগ্র উপমহাদেশে কম-বেশী। এ গাছ(Trees) দেখা যায়।
অর্জুন গাছের উপকারিতা জেনে নিন
এবার আসুন দেখে নেওয়া যাক অর্জুনের কিছু গুনাবলি :
⇒ হৃদরোগ(Heart disease) উপশমে অর্জুন ছাল ব্যবহৃত হয় । বর্তমানে বাজারে(Market) এর অনেক ওষুধ পাওয়া যায় । অর্জুন ছাল ভালোভাবে পেষণ করে চিনি(Sugar) ও গরুর দুধের সাথে প্রত্যহ সকালে খেলে হৃদরোগ এবং ধড়ফড় কমে যায় ।
⇒ রক্তে(Blood) নিম্ন চাপ থাকলে অর্জুনের ছালের রস সেবনে উপকার হয়।
⇒ রক্তক্ষরলে ৫-৬ গ্রাম ছাল রাতে পানি ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেকে পানি(Water) খেলে আরোগ্য হয়।
⇒ শ্বেত বা রক্ত প্রদরে ছাল ভিজানো পানি আধ চামচ কাচা হলুদের রস মিশিয়ে খেলে রোগের উপশম হয়।
⇒ ক্ষয়কাশে অর্জুনের ছালের গুড়া বাসক পাতার রসে ভিজিয়ে ঘি, মধু(Honey) মিশিয়ৈ খেলে উপকার পাওয়া যায়।
⇒ হাপানিতে অর্জুন ফল করে তামাকের মত ধোয়া টানলে উপকার হয়।
⇒ হানিযাতে অর্জুন ফল কোমরে বেধে রাখলে উপকার পাওয়া যায় । কাচা পাতার রস সেবনে আমাশয়(Dysentery) রোগ ভাল হয়।
⇒ হৃদপিন্ডের দুর্বলতা(Weakness) ও সাধারণ দুর্বলতায় ৩-৪ গ্রাম অর্জুন ছাল চূর্ন্য প্রত্যহ দুবার এক গ্লাস পারিমাণ দুধসহ সেব্য। এক মাস নিয়মিত সেবনে করে যাওয় আবশ্যক।
⇒ কাচা অজুনের ছাল ৫ গ্রাম পরিমান নিয়ে ভালোভাবে পিষে ঠান্ডা পানিসহ দুবার খেলে রক্ত আমাশয়ে বিশেষ উপকারী।
⇒ বিচূর্ণ্ ফল রক্তচাপ(Blood pressure) কমায়, মূত্রবর্ধ্ক ডিমেবে কাজ করে এবং লিভার সিরোসিস টনিক হিসেবে কাজ করে।
⇒ এর ছাল মুখ, জিহ্বা(Tongue) ও মাড়ির প্রদাহের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, এটি মাড়ির রক্তপাত বন্ধ করে।
⇒ এটি সংকোচন ও জ্বর(Fever) রোধক হিসেবেও কাজ করে।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।