Home / রান্না ঘর / মুগ ডাল দিয়ে রেস্টুরেন্ট স্টাইলে খাসির মাংস

মুগ ডাল দিয়ে রেস্টুরেন্ট স্টাইলে খাসির মাংস

সকালের নাস্তায় রুটি কিংবা পরোটার সঙ্গে মুগ ডাল দিয়ে রান্না করা খাসির মাংস যেন অসাধারণ এক খাবার। বাংলাদেশ জার্নালের আজকের আয়োজনে থাকছে মুগ ডাল দিয়ে খাসির মাংসের রেসিপি। দেখে নিন রেস্টুরেন্ট স্টাইলের এই রেসিপিটি।খাসির মাংস

মুগ ডাল দিয়ে রেস্টুরেন্ট স্টাইলে খাসির মাংস

যা যা লাগছে:
খাসির মাংস ৭৫০ গ্রাম, মুগ ডাল ১ কাপ, পেঁয়াজ(Onion) কুঁচি ১ কাপ, টমেটো কুঁচি ১/২ কাপ, দারুচিনি ২/৩ টি (ভেজে দিতে হবে), এলাচ ৪/৫ টি, লবঙ্গ ৫/৬ টি, গোলমরিচ ৫ টি, কাঁচা মরিচ ১ টি (ছেঁচে নেয়া), আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, রসুন(Garlic) বাটা ১ টেবিল চামচ, গরম মশলা বাটা (দারুচিনি ১ টুকরা, এলাচ ২ টি, লবঙ্গ ২ টি, তেজপাতা ১ টির অর্ধেক সব একসাথে বেটে নেয়া) হলুদ ১ চা চামচ, ধনিয়া গুঁড়া ১ চা চামচ, টালা জিরা গুঁড়া ১ ১/২ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া(Chilli powder) ২ চা চামচ, তেল ৪ টেবিল চামচ।

প্রণালী:
প্রথমে ডাল শুকনা প্যানে টেলে নিয়ে ভাল করে ধুয়ে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এবার চুলায় প্যান বসিয়ে তেল গরম করুন। তেল গরম হলে পেঁয়াজ(Onion) কুচি দিয়ে দিন। সোনালি রং হয়ে গেলে লবঙ্গ, দারুচিনি, সাদা এলাচ, কালো এলাচ, জিরা ও শুকনা মরিচ দিয়ে দিন। নেড়েচেড়ে হলুদ ও মরিচের গুঁড়া দিয়ে দিন। এবার আদা ও রসুন(Garlic) বাটা দিয়ে দিন।

সব মসলা কষিয়ে সামান্য একটু পানি দিন। এবার স্বাদ মতো লবণ ও গুঁড়া মসলা দিন। ৪ থেকে ৫ মিনিট ধরে কষিয়ে নিন মসলা। পানি শুকিয়ে গেলে অল্প অল্প করে পানি দিয়ে নাড়ুন। মসলার উপরে তেল ভেসে উঠলে তেজপাতা(Bay leaf) দিয়ে তারপর মাংস দিয়ে দিন। ৩ থেকে ৪ মিনিট কষিয়ে নিন। এক কাপ পানি দিয়ে প্যান ঢেকে দিন ঢাকনা দিয়ে। চুলার আঁচ মিডিয়াম করে অপেক্ষা করুন মাংস সেদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত।

মাঝে মাঝে ঢাকনা খুলে নেড়ে মাংস নেড়ে দিতে হবে। মাংস সেদ্ধ হয়ে গেলে ডাল দিয়ে নাড়ুন কয়েক মিনিট। খানিকটা লবণ(Salt) দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে দিন। আধা কাপ পানি দিন খানিকটা ঝোল রাখার জন্য। এতে কয়েকটা আস্ত কাঁচামরিচ ছেড়ে দিয়ে চুলার জ্বাল একদম কমিয়ে প্যান ঢেকে দিন। ৫ থেকে ৭ মিনিট রান্না করুন মৃদু আঁচে। খানিকটা ঝোল থাকতে থাকতে নামিয়ে ফেলুন, কারণ নামানোর পর ঝোল টেনে নেবে ডাল। ভাজা জিরার গুঁড়া ও গরম মসলার গুঁড়া দিয়ে নেড়ে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Check Also

ফিরনি

বিয়ে বাড়ির ফিরনি তৈরি করুন এবার বাড়িতেই

খাওয়ার শেষে পাতে একটু মিষ্টি দেওয়া হলে পূর্ণতা মেলে। ফিরনি, মিষ্টি, জর্দা ইত্যাদি নানা পদের ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *