বিয়ের বিষয়ে খুব সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার। তাইতো সারা জীবন সুখে থাকার জন্য সৌন্দর্য নয়, দেখুন এমন কিছু গুণ যা আপনাদের সংসারে সুখ(Happiness) বয়ে আনবে। বিয়ে মানেই সারা জীবনের জন্য একজন মানুষের সঙ্গে সঙ্গী হয়ে পথচলা। তার খারাপ কিংবা ভালো মুহূর্তে ছায়ার মতো পাশে থাকা। তার সুখ-দুঃখের অংশীদার হওয়া। তাইতো জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটি(Decision) নেয়ার আগে এক বার নয় হাজার বার চিন্তা করা জরুরি।
বিয়ের আগে সঙ্গী সম্পর্কে ৭ কারণ না জানলে পস্তাবেন
জীবনসঙ্গী হিসেবে আপনি যে মেয়েটিকে বেছে নিচ্ছেন, তার সম্পর্কে অবশ্যই আপনার খুব ভালোভাবে জানা প্রয়োজন। কারণ বিয়ের পর নানা ধরণের অশান্তি(Unrest) লেগেই থাকে।
এমন দৃশ্য আমাদের সমাজে প্রায়ই দেখা যায়। অনেকের সংসারে সুখ নামক শব্দটির কোনো জায়গাই থাকে না। বিয়ের পর আসলে এসব মেনে নেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। তাই যা করার বিয়ের আগেই করতে হবে।
চলুন জেনে নেয়া যাক এমন কিছু বৈশিষ্ট্যের কথা, যা একজন মেয়ে সম্পর্কে আপনার জানা জরুরি। এবং এসব বৈশিষ্ট্য ওই মেয়ের মধ্যে থাকলে তবেই আপনি সুখী হবেন-
১. যাকে বিয়ে করছেন সে কথায় কাজে ঠিক আছে তো? হ্যাঁ, যেসব মেয়ে তাদের কথায় কাজে সৎ এবং কথা দিয়ে কথা রাখে এই রূপ মেয়েকে বিয়ের জন্য বেছে নিন।
২. বিয়ের জন্য শান্ত স্বভাবের মেয়ে বেছে নিন। অর্থাৎ, যেসব মেয়েদের মধ্যে নিরবতা এবং কোমলতা বা যারা বেশিরভাগ সময় নিরব ও চুপচাপ(Silence) থাকে, অনেক আস্তে আস্তে কথা বলে, অনেক নরম স্বভাবের এমন মেয়ে পছন্দ করুন।
৩. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি থাকা মানুষকে সবাই পছন্দ করে। তাই এমন মেয়েকেই বিয়ের জন্য বেছে নিন যে অপরিষ্কার নয়।
৪. একটু সরল ও ধার্মিক প্রকৃতির মেয়েকে বিয়ে করুন। কারণ এই ধরণের মেয়েরা একটু নরম স্বভাবের হয়ে থাকে এবং স্বামীর প্রতি অনুগত থাকে। আর সে আপনাকে সুখী করার জন্য যথেষ্ট চেষ্টাও করবে।
৫. সৎ এবং চরিত্রবান মেয়েকে বিয়ে করুন। কারণ আপনার ঘরের বউ যদি সৎ ও চরিত্রবান না হয় হবে সেই সংসারে কখনোই সুখ আসবে না।
৬. সুশিক্ষায় যে শিক্ষিত(Educated) তাকে বিয়ে করুন। তাহলে আপনার সংসার হবে সৃজনশীল। নইলে যাবে রসাতলে।
৭. বিয়ের জন্য দায়িত্ববান মেয়েকে বেছে নিন। যে সবার প্রতি সমানভাবে খেয়াল রাখবে। তবেই সংসার(Family) সুখে হবে।
আর এই সাতটি বৈশিষ্ট যে মেয়ের মধ্যে থাকবে সে অবশ্যই একজন ভালো মানুষ। এই রূপ মানুষকে বিয়ে করলে সুখি হওয়ার সম্ভবনা শতভাগ। তাই সময় থাকতেই সঠিক মানুষটিকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিন।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।