ত্বকের সম্পূর্ণ যত্নের তিনটি প্রাথমিক ধাপ হল ক্লেনজিং(Cleansing)-টোনিং-ময়শ্চারাইজিং। কিন্তু সত্যি কথা বলুন, আমরা কতজন নিয়মিত এই নিয়ম মেনে চলি? মুখটা পরিষ্কার করি, ময়শ্চারাইজ়ারও মাখি, কিন্তু প্রায়ই বাদ চলে যায় মাঝের ধাপটা, অর্থাৎ টোনিং। অথচ টোনার বাদ দিয়ে ত্বকের(Skin) সম্পূর্ণ পরিচর্যা সম্ভবই নয়!
শসা আর অ্যালোভেরার প্রাকৃতিক টোনারের গুণে ত্বক হবে তুলুন সতেজ, উজ্জ্বল
মুখ ধোওয়ার সময় ত্বকের রোমছিদ্রগুলো প্রসারিত হয়ে যায় আর টোনারের কাজ সেই বড়ো হয়ে যাওয়া রোমছিদ্র ফের সংকুচিত করা। টোনার ব্যবহার না করে ময়শ্চারাইজ়ার মাখলে তা ত্বকের রোমছিদ্রে ঢুকে যায়, তা ছাড়া তেলময়লাও ঢুকে জমে যেতে পারে যা থেকে ব্রণ হয়। কাজেই টোনার বাদ দেওয়া মানে জীবনে ব্রণ(Acne)-ফুসকুড়িকে সাধ করে ডেকে আনা!
শুধু রোমছিদ্র সংকুচিত করাই নয়, টোনার ত্বকের পিএইচ ব্যালান্স(PH balance) বজায় রাখতেও সাহায্য করে। তা ছাড়া ময়শ্চারাইজ়ার বা অন্য স্কিনকেয়ার প্রডাক্ট যাতে ত্বকের গভীরে গিয়ে কাজ করতে পারে, তার জন্য ত্বককে প্রস্তুত করে দেয় টোনার। পরিবেশের দূষণ, ধুলোবালি যাতে সরাসরি ত্বকে প্রভাব ফেলতে না পারে, তার জন্য একটা সুরক্ষা বলয়ও তৈরি করে টোনার।
কাজেই বুঝতেই পারছেন, টোনার বাদ দিলে আপনার ত্বক(Skin) পরিচর্যা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে! দোকানে নানারকম টোনার পাওয়া যায়। তবে ইচ্ছে করলে নিজের টোনার নিজেও বানিয়ে নিতে পারেন আপনি। শসা(Cucumber) আর অ্যালো ভেরার গুণে ভরা প্রাকৃতিক টোনার আপনার ত্বককে রাখবে তরতাজা আর ঝলমলে।
কীভাবে বানাবেন শসা অ্যালোভেরার টোনার
আপনার দরকার একটা মাঝারি আকারের শসা আর তিন থেকে চার টেবিলচামচ টাটকা অ্যালো ভেরা জেল(Aloe vera gel)। একটা পরিষ্কার স্প্রে বোতলও রাখবেন সঙ্গে। বাটিতে কুরোনো শসা আর অ্যালো ভেরা জেলটা দিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। একটা পাতলা তরল মিশ্রণ তৈরি হবে। এই মিশ্রণটা স্প্রে বোতলে ভরে রেখে দিন। আপনার টোনার তৈরি হয়ে গেছে। প্রতিবার মুখ ধোওয়ার পর স্প্রে করে নিন মুখে আর দেখুন কীভাবে তরতাজা হয়ে ওঠে ত্বক(Skin)!
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।