সঠিক উপায় ও মাপের হিল জুতা(Heel shoe) পরা না হলে তা হতে পারে পা ব্যথার কারণ। হিল জুতা পরা বেশ আকর্ষণীয়। তাছাড়া হিল পরা অনেকের ক্ষেত্রেই আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে। ফেমিনা ডটইন’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতীয় লাইফস্টাইল ব্লগার দিব্যা সিং’য়ের দেওয়া পরামর্শগুলো অবলম্বনে জানানো হল সাবলিলভাবে হিল জুতা পরার পন্থা।
ব্যথা ছাড়া হিল পরার উপায় জেনে নিন
গোড়ালি আর্দ্র রাখা
জুতা পরার আগে ভালো মতো গোড়ালি ময়েশ্চারাইজ(Moisturize) করে নিতে হবে। এতে পা ফাঁটা দূর হবে ও জুতা পরা দেখতেও সুন্দর লাগবে।
পায়ের সঠিক মাপ জানা
নিজের পায়ের সঠিক মাপ(Exact size) জানা উচিত। জুতা কেনার আগে এ সম্পর্কে ভালো মতো নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে। পায়ের মাপে পরিবর্তন আসতে পারে। তাই প্রতিবারই জুতা কেনার সময় এদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বছরে অন্তত দুবার পায়ের মাপ দেখে নেওয়া উচিত।
পায়ের আকৃতির দিকে খেয়াল রাখা
অনেকের পা বেশ সরু আকৃতির। অনেকের আবার কিছুটা প্রসারিত হয়ে থাকে। পায়ের ধরন বুঝে তাই জুতা নির্বাচন করা উচিত। যাদের পা প্রসারিত তাদের আঁটসাঁট জুতা না পরাই ভালো। বরং পেছনে আটকানো এবং সামনের অংশ প্রসারিত এমন জুতা বাছাই করা উচিত।
যাদের গোড়ালি ছোট তাদের সামনে আবদ্ধ থাকে এমন জুতা পরা উচিত। সামনে চোখা জুতা পরা গোড়ালি ব্যথা(Pain) হওয়ার অন্যতম কারণ। তাছাড়া এই ধরনের জুতা খুলে ফেলার পরেও পায়ে অনেকক্ষণ ব্যথা থেকে যায়।
ব্লক হিল বা প্ল্যাটফর্ম
ব্লক হিল ও প্ল্যাটফর্স সুঁচালো হিল জুতার চেয়ে পায়ের জন্য বেশি আরামদায়ক। পেন্সিল হিলের সঙ্গে তুলনা না করে নকশা করা বা ভিন্ন আকৃতির জুতা পরা যেতে পারে। এগুলো দেখতে বেশ সুন্দর ও ট্রেন্ডিও।
পাতলা সোলের ক্ষেত্রে সতর্করা
পাতলা সোলের জুতা পরা পা ব্যথা সৃষ্টি করে। কিছুটা কুশনসহ সোল বাইরের ঝুঁকি শোষণ করে গোড়ালিকে নিরাপদ রাখে। পা ব্যথা থেকে বাঁচতে একটা হিল জুতা(Heel shoe) না পরাই ভালো। পা বিশ্রাম দেওয়ার জন্য হিল পরার মাঝে দুএক দিন বিরতি রাখা প্রয়োজন।
সুরক্ষিত জুতা পরা
উঁচু জুতা পরার সময় ওপরের অংশটা বেশি ঢেকে থাকে বা গোড়ালিতে আটকে থাকে অথবা দুই দিকেই সুরক্ষা দিচ্ছে এমন জুতা(Shoe) পরা ভালো। এতে পা সুরক্ষিত থাকে।
সাবধানতা
জুতা খোলার পরে পায়ের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। পায়ে ব্যাথা হলে তা কমাতে বরফের প্যাক(Ice pack) গোড়ালিতে ব্যবহার করা উপকারী। এছাড়াও সপ্তাহে একবার পায়ে মালিশ করলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।