মাথার চুলকানি দূর করার উপায়। বিভিন্ন কারণে মাথার ত্বক চুলকায়। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মাথার ত্বকে সোরিয়াসিস ও ফাঙ্গাল ইনফেকশন। বিশেষ কোনো কেমিক্যালের প্রভাবে অ্যালার্জি (Allergy) হতে পারে। এসব সমস্যা এড়াতে নিচের পদ্ধতিগুলো ট্রাই করতে পারেন।
মাথার চুলকানি দূর করার উপায় জেনে নিন
১। আপেল সিডার ভিনিগার
আপেল সিডার ভিনিগার হচ্ছে অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টি ইনফ্লামেটারি ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণসমৃদ্ধ। ত্বকের শুষ্কতাই যদি আপনার মাথা চুলকানোর কারণ হয়, তা হলে আপেল সিডার ভিনিগার (Apple cider vinegar) আর পানির মিশ্রণ দিয়ে নিয়মিত মাথা পরিষ্কার করলেই উপকার পাবেন। সেই সঙ্গে পানি পানের পরিমাণও বাড়াতে হবে। সপ্তাহে দুই দিন শ্যাম্পুর পর এক কাপ পানিতে এক টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে মাথার তালুতে ভালো করে লাগান। তারপর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
২। টি ট্রি অয়েল
টি ট্রি অয়েলও অ্যান্টি ফাঙ্গাল, অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল, অ্যান্টিসেপটিক গুণসমৃদ্ধ। এটা প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে। তবে সরাসরি টি ট্রি অয়েল (Tea Tree Oil) মাথায় লাগাবেন না। হেয়ার মাস্কে ১০ থেকে ১২ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করুন। চাইলে শ্যাম্পুর মধ্যেও মেশাতে পারবেন। চুলকানি কমাতে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করুন।
৩। অ্যালোভেরা জেল
অ্যালোভেরার পাতার মাঝের নরম শাঁসটুকু বের করে নিন। আঙুল দিয়ে মাথায় ভালো করে ম্যাসাজ করে আধা ঘণ্টা রাখুন। তারপর ঠান্ডা পানিতে মাথা ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দুইবার এই ট্রিটমেন্ট করতে পারেন।
৪। লেবুর রস
মাথায় যে তেলটা ব্যবহার করেন তাতে লেবুর রস (Lemon juice) মিশিয়ে নিয়ে ব্যবহার করুন। চাইলে হেয়ার মাস্ক বা প্যাকেও মিশিয়ে নিতে পারেন। এটা মাথায় লাগানো যায় সপ্তাহে দুই-তিনবার। ব্যবহারের পর অবশ্যই শ্যাম্পু করে নেবেন।
৫। পরিচ্ছন্নতা
মাথার ত্বকের সমস্যা ঠেকাতে চাইলে নিয়ম করে নিজের বালিশের কভার, চিরুনি, তোয়ালে পরিষ্কার করুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিনের বেশি শ্যাম্পু করার প্রয়োজন নেই। ডায়েটের দিকে নজর দিন। খাদ্য তালিকায় যেন প্রোটিন (Protein) আর ক্যালশিয়ামের অভাব না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। বারবার ব্লো ড্রাই বা হিট স্টাইলিং করলে কিন্তু এই সমস্যা আরও বাড়বে। গরম পানিতে গোসল করবেন না। নতুন কোনো হেয়ারকেয়ার প্রোডাক্ট বা ডাই ব্যবহার করার আগে সতর্ক থাকবেন অবশ্যই। এগুলো থেকেও অ্যালার্জি হতে পারে।
আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং আপনার যদি কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে শেয়ার করুন। সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন।