চেহারার দিকে তাকালেই বোঝা যাচ্ছে বয়স বাড়ছে। কারণ বয়সের ছাপ (Age impression) লুকোনো সহজ নয়। বাজারচলতি প্রসাধনীর ব্যবহার থেকে ঘরোয়া টোটকা, বয়স ধরে রাখতে চেষ্টার কমতি রাখেন না কেউই। তাতেও যে সুফল মেলে, তা কিন্তু নয়। বরং ৩০ পেরোতেই বাহ্যিক নানা পরিবর্তন আসতে শুরু করে। বয়স ধরে রাখতে তাই তখন থেকেই যত্ন নেওয়া শুরু করতে হবে নিজের। বাইরে থেকে নয়, বরং ভিতর থেকে শরীরের দেখাশোনা করতে হবে। বদল আনতে হবে খাদ্যাভ্যাসেও। কোন খাবারগুলি নিয়মিত খেলে বয়স (Age) ধরে রাখা সহজ হবে?
বয়সের ছাপ দূর করে যেসব খাবার
১। বেরি
ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, ক্র্যানবেরিতে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট (Anti-oxidant)। নিয়ম করে যদি বেরিজাতীয় ফলের কোনও একটি খাওয়া যায়, তা হলে স্ট্রেস হরমোন নামে পরিচিত অক্সিডেটিভ হরমোন ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে। এই হরমোন ক্ষরণের ফলে মানসিক অবসাদ আসে। বয়স ধরে রাখতে মানসিক স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখতে হবে।
২। সবুজ শাকসবজি
সবুজ শাকসবজি (Vegetable) যদি রোজের ডায়েটে রাখা যায়, তা হলে ৫০-এ পৌঁছেও ধরে রাখা যাবে তারুণ্য। শাকসবজিতে থাকা নানা স্বাস্থ্যকর উপাদান ভিতর থেকে যত্নে রাখে শরীর। চেহারায় বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। সবজি যে শুধু শরীরের খেয়াল রাখে, তা-ই নয়, একসঙ্গে যত্নে রাখে ত্বকও।
৩। দারুচিনি
উপকারী মসলা দারুচিনি। এটি সাধারণত রান্নার স্বাদ ও গন্ধ বাড়াতে ব্যবহার করা হয়। তবে দারুচিনির রয়েছে আরও অনেক কার্যকারিতা। কারণ এটি পলিফেনল সমৃদ্ধ। ত্বকের জন্য স্বাস্থ্যকর কোষ উৎপাদনকে দ্রুত বাড়িয়ে দেয় এই মসলা। তাই নিয়মিত দারুচিনি (Cinnamon) খেতে পারেন। এতে ত্বকে বয়সের ছাপ সহজে পড়বে না।
৪। আদা ও মধু
আদা ও মধু (Honey) দুটোই বেশ উপকারী। আদায় থাকে জিঞ্জেরেল যার রয়েছে প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট্য। এটি ত্বকের ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে সাহায্য করে। আদার রস যদি মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খান তবে সেটি বার্ধক্য ঠেকাতে দারুণভাবে কাজ করে। এটি পরিণত হয় প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল (Antibacterial) এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল দ্রবণে। তাই বলিরেখা রোধ করা সহজ হয়।
৫। মাশরুম
মাশরুম খাওয়ার অনেকগুলো উপকারিতার একটি হলো, এটি ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া রোধ করে। কারণ মাশরুমে থাকে প্রচুর কপার। এটি ত্বকে প্রাকৃতিকভাবে উপস্থিত প্রোটিন (Protein), কোলাজেন এবং ইলাস্টিনকে সংশ্লেষিত এবং স্থিতিশীল করতে সহায়তা করে। তাই ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দিতে না চাইলে নিয়মিত মাশরুম খান।
৬। টক দই
শরীরের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান হল প্রোবায়োটিক। পেটের খেয়াল রাখতে প্রোবায়োটিকের জুড়ি মেলা ভার। পেটের স্বাস্থ্য ভাল থাকলে সুস্থ থাকবে শরীর। অকাল বার্ধক্যের ঝুঁকি কমাতে টক দইয়ের ভূমিকা অনবদ্য। নিয়ম করে তাই টক দই খাওয়া জরুরি।
৭। ড্রাই ফ্রুটস
আখরোট, কাজু, কিশমিশ (Raisin), কাঠবাদাম শুধু ওজন কমাতেই নয়, বয়স ধরে রাখতেও দারুণ কার্যকরী। ড্রাই ফ্রুটসে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ফাইবার, স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি। এই উপাদানগুলি বয়স ধরে রাখে। চেহারায় বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং আপনার যদি কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে শেয়ার করুন। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।