আপনার মাংসে এলার্জি আছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে। মাংস (Meat) খেতে ভালোবাসেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। বাঙালি মৎস্যপ্রেমী হলেও গরু বা খাসির মাংসের প্রতি ভালবাসা কম নেই। তাই তো দু’দিন পরপর মাংস না হলে অনেকের মুখেই খাবার রুচে না। আর যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারা ডায়েটে মুরগির মাংস খেতেই বেশি পছন্দ করেন। আসলে মাংসে প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। তাই শরীরে ফিট (Fit) রাখতে সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন মাংস খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। তবে মাংসে স্বাস্থ্যকর উপাদান থাকলেও অনেক সময় অ্যালার্জির কারণ হয়ে উঠতে পারে।
আপনার মাংসে এলার্জি আছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
ডিম ও দুগ্ধজাত খাবারে অ্যালার্জি (Allergy) আছে অনেকেরই। তবে মাংসে অ্যালার্জির কথা খুব কমই শোনা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক খাওয়ার পর কোন লক্ষণগুলো দেখে বুঝবেন মাংসে অ্যালার্জি আছে আপনার-
বাদাম (Nuts), ডিমে অ্যালার্জি থাকলে সঙ্গে সঙ্গেই তা প্রকাশ পায়। কিন্তু মাংসের ক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা। মাংস খাওয়ার পরেই সব সময় অ্যালার্জির লক্ষণ ফুটে ওঠে না। অনেক পরে শারীরিক অস্বস্তি হতে শুরু করে। আর ঠিক সেই কারণেই মাংস খাওয়ার ফলেই শরীর খারাপ লাগছে সেটা বোঝা যায় না। তবে মাংস-ভাত খেয়ে এক ঘুম দিয়ে ওঠার পরেও যদি অস্বস্তি থেকে যায়, তা হলে বিষয়টিতে এক বার নজর দেওয়া জরুরি।
মাংসে অ্যালার্জির অন্যতম একটি লক্ষণ হলো গ্যাস্ট্রিকের (Gastric) সমস্যায় ভোগা। পরিমাণমতো মাংস খেলে এ সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে ২-৩ টুকরো মাংস খেয়েও যদি পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, গ্যাস হয়, সেক্ষেত্রে অ্যালার্জির কারণে এমন হতে পারে। এছাড়া মাংস খাওয়ার পরে যদি দেখেন ত্বকে লাল চাকা চাকা দাগ বেরিয়েছে, চুলকানি হচ্ছে, ত্বক (Skin) অতিরিক্ত ঘেমে যাচ্ছে তা হলে অ্যালার্জির বিষয়টি একেবারেই অবহেলা করা যাবে না।
আরও কিছু লক্ষণ আছে, যেগুলো দেখা দিলেও সতর্ক হতে হবে যেমন- মাথাব্যথা, হাঁচি, সর্দি, চোখ জ্বালাপোড়া, হৃদস্পন্দন (Heartbeat) বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বিরল ক্ষেত্রে মাংসের অ্যালার্জি (Allergy) জীবন-হুমকির কারণ হতে পারে, যা অ্যানাফিল্যাক্সিস নামে পরিচিত। এমন ক্ষেত্রে অবিলম্বে চিকিত্সা ছাড়া, অ্যানাফিল্যাক্সিসের কারণে অজ্ঞান, কোমা, শক, কার্ডিয়াক বা শ্বাসযন্ত্রের ব্যর্থতা এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। মাংস খাওয়ার পরপরই যদি আপনি উপরোক্ত লক্ষণ বা উপসর্গগুলো অনুভব করেন, তাহলে রোগ নির্ণয়ের জন্য একজন অ্যালার্জিস্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং আপনার যদি কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে শেয়ার করুন। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
