Home / চুলের যত্ন / গরমে চুল ভালো রাখার সহজ ৪টি উপায়

গরমে চুল ভালো রাখার সহজ ৪টি উপায়

ঘরে-বাইরে সবখানেই রোদের তাপ। সঙ্গে আছে ধুলাবালুও। আবহাওয়ার এই চরম অবস্থার প্রভাব পড়ছে আমাদের চুলে। দেখা দেয় খুশকি, র‍্যাশ বা ফুসকুড়ি। চুল দেখায় রুক্ষ ও নিষ্প্রাণ। তবে মাত্র চারটি উপায় মেনে চুলের যত্ন (Hair Care) নিলেই এ সমস্যাগুলো এড়ানো সম্ভব। রোদের তাপ দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর সঙ্গে আছে ধুলাবালু ও দূষণের প্রকোপ। আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব থেকে রক্ষা পায় না আমাদের চুল। কারণ, যেখানে তাপ, সেখানেই ঘাম। ঘামের সঙ্গে যোগ হয় স্ক্যাল্পের প্রাকৃতিক তেল। এই তেল চিটচিটে ঘাম এবং বাতাসের ধুলাবালু মিশে চুলে ব্যাকটেরিয়া (Bacteria) ও ফাঙ্গাসের সংক্রমণ হয়। এ পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে চুলের বিশেষ পরিচর্যার বিকল্প নেই। তবে এ জন্য অত কাঠখড় পোড়ানোর দরকার নেই। মাত্র চারটি সহজ উপায় মেনে চললে যথেষ্ট।চুল

গরমে চুল ভালো রাখার সহজ ৪টি উপায়

শ্যাম্পু ও অন্যান্য
এ পরিচর্যার প্রথম ধাপ চুল পরিষ্কার রাখা। এ জন্য ঘরে থাকলে সপ্তাহে অন্তত চার দিন চুল (Hair) শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। আর বাইরে গেলে অবশ্যই প্রতিদিন শ্যাম্পু দিতে হবে। মাথার ত্বকের ধরন এবং চুলের কোনো সমস্যার ওপর নির্ভর করে এটি বাছাই করা উচিত। চাইলে প্রাকৃতিক ক্লিনজিং উপাদান দিয়ে চুল পরিষ্কার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো রিঠা ও শিকাকাই। আগেকার দিনে যখন শ্যাম্পু ছিল না, তখন সবাই এ দুটি ফল দিয়ে চু‘ল পরিষ্কার করত। এতে চুল (Hair) পরিষ্কার তো হয়ই; সঙ্গে খুশকি, উকুন এবং চুল পড়াও কমে যায়। গজায় নতুন চুল। রিঠা আর শিকাকাই শ্যাম্পু বানানো খুব সহজ। ১৫-২০টি রিঠার সঙ্গে ৫ বা ৭টি শিকাকাই কয়েক ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর এই ভেজানো পানির সঙ্গে আরও কিছু পানি মিশিয়ে চুলায় অল্প তাপে ১৫ থেকে ২০ মিনিট জ্বাল দিলে তৈরি হবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন প্রাকৃতিক শ্যাম্পু। এ শ্যাম্পু এক সপ্তাহ ফ্রিজে রেখে ব্যবহার করা যাবে।

রিঠা-শিকাকাই শ্যাম্পু ছাড়াও চুল পরিষ্কার করতে ওট মিল্ক অনেক কার্যকর। এক কাপ ওটসের সঙ্গে দুই কাপ পানি মিশিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করলেই তৈরি। পানি দিয়ে চু‘ল ধুয়ে ওট মিল্ক লাগিয়ে পাঁচ মিনিট স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করতে হবে। এরপর ১০ মিনিট রেখে দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। ওটসে আছে সাপোনিন নামের প্রাকৃতিক ক্লিনজিং (Cleansing) উপাদান, যা স্ক্যাল্পের অবাঞ্ছিত ফ্লেকস ও মৃত কোষ দূর করে। এর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান খুশকি প্রতিরোধ ও প্রতিকার করতে পারে সহজে।

চুল শুকানো
চুল পরিষ্কার করার সঙ্গে সঙ্গে শুকিয়ে ফেলতে হবে। শুকানোর জন্য ফ্যানের ঠান্ডা বাতাস সবচেয়ে বেশি ভালো। শুধু পানিতে ভেজা চুল নয়, ঘামে ভেজা চু‘ল যত দ্রুত সম্ভব শুকিয়ে ফেলতে হবে। কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই ফ্যানের বাতাসে সময় নিয়ে চুল শুকানোকে ঝামেলা মনে করেন। তাই হেয়ার ড্রায়ার (Hair dryer) দিয়ে কাজ চালিয়ে নিতে চান। এর গরম বাতাস চুল ড্যামেজ করে থাকে। হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করতে চাইলে কোল্ড এয়ার অপশন দেখে কিনতে পারেন।

চুলে তেল
এ যুগের বেশির ভাগ মেয়েদের চুলে তেল দেওয়াতে অনীহার শেষ নেই। কিন্তু চুলের সুস্বাস্থ্যের জন্য সবার উচিত সপ্তাহে অন্তত এক দিন তেল দেওয়া। নারকেল, জলপাই ও আমন্ড তেল চুলের জন্য অনেক ভালো। এর বাড়তি পুষ্টি ও সুরক্ষার জন্য মেশাতে পারেন লেবু, আমলকীর রস, পেঁয়াজের রস (Onion juice) বা মধু। সব সময় গোসলের আগে তেল দিতে হয়। ৩০ থেকে ৪০ মিনিটই যথেষ্ট মাথার ত্বকের গভীরে তেল পৌঁছানোর জন্য। তেল দিয়ে ১০ মিনিট স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করতে হবে। এতে এর রক্তসঞ্চালন বাড়বে। এটি চু‘ল বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। ভালো ম্যাসাজ স্ট্রেস কমাতে পারে।

চুল ঢাকুন ছাতা বা স্কার্ফে
ঘর থেকে বের হতে হলে মুখ ঢাকার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকুন চুলও। তাহলে বাইরের ধুলাবালু এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সূর্যের মারাত্মক ইউভি রশ্মি থেকে চুল (Hair) বাঁচানো যাবে।

সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং আপনার যদি কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে শেয়ার করুন। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Check Also

চুল

চুল অনুযায়ী হেয়ার প্যাক ব্যবহার

চৈত্রের খর আবহাওয়ায় চুল রুক্ষ হয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়ে। ঝলমলে চুলের জন্য তাই বাড়তি যত্নও ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *