Home / স্বাস্থ্য টিপস / এই গরমে পানিশূন্যতা হচ্ছে কি না বুঝবেন কীভাবে

এই গরমে পানিশূন্যতা হচ্ছে কি না বুঝবেন কীভাবে

তীব্র গরমে পানিশূন্যতা (Dehydration) দেখা দিতে পারে। গরমে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে বের হয়ে যায় প্রয়োজনীয় লবণ যেমন সোডিয়াম, পটাশিয়াম। তাই পানিশূন্যতা হচ্ছে কি না, সঠিক সময়ে বুঝতে না পারলে বিপদ। শরীরে যখন পর্যাপ্ত পানি (Water) বা তরল থাকে না, তখন দেখা যায় কিছু লক্ষণ।পানিশূন্যতা

এই গরমে পানিশূন্যতা হচ্ছে কি না বুঝবেন কীভাবে

১। প্রস্রাবের রঙের পরিবর্তন
প্রস্রাবের রং হালকা হলুদ থেকে গাঢ় হলুদ হয়ে যাওয়া এবং তাতে তীব্র দুর্গন্ধ পানিশূন্যতা (Dehydration) নির্দেশ করে। পরে প্রস্রাব করার সময় জ্বালাপোড়া করে।

২। কোষ্ঠকাঠিন্য
কোষ্ঠকাঠিন্য, বুক জ্বালাপোড়া ও বদহজমের মতো পরিপাকতন্ত্রের নানা সমস্যা পানিশূন্যতার লক্ষণ।

৩। মুখে দুর্গন্ধ হওয়া
শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে মুখে লালা তৈরি কমে যাবে। এতে করে মুখের ভেতরের ব্যাকটেরিয়া (Bacteria) বেশি তৈরি হওয়ার পরিবেশ পায় যা মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে।

৪। অবসন্ন বা দুর্বল ভাব
পানিশূন্যতা (Dehydration) দেখা দিলে শরীরে অবসন্ন ভাব চলে আসে। কোনো কিছুতেই ঠিকমতো মনোযোগ বসে না।

৫। মাথাব্যথা
পানিশূন্যতা হলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন ও রক্তপ্রবাহ (Blood flow) কমে যায়। এ থেকে শুরু হয় মাথাব্যথা।

৬। শুষ্ক রুক্ষ ত্বক
পানিশূন্যতা শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বকের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী। মুখে ব্রণ বা গরমে ঠোঁট ফাটা, এমনকি মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে বেশি খুশকি (Dandruff) হওয়াও পানিশূন্যতার লক্ষণ।

৭। শরীরে লবণের ঘাটতি
অধিক পানিশূন্যতায় দেহে লবণের ঘাটতিজনিত লক্ষণ প্রকট হয়ে ওঠে। যেমন ভারসাম্য হারানো, হাত–পায়ের দুর্বলতা, মাথা ঘোরানো, অস্বস্তিবোধ হওয়া বা শ্বাসপ্রশ্বাসের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া।

শিশুদের ক্ষেত্রে
প্রস্রাব স্বাভাবিকের চেয়ে কম হওয়া, খেলাধুলা কম করা, বেশি বেশি শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়া, অল্পতেই হাঁপিয়ে ওঠা, বারবার পানি খেতে চাওয়া, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া, জিহ্বা শুকনো মনে হওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেওয়া।

প্রতিরোধের উপায়

১। দিনে কমপক্ষে দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করতে হবে, হিসাব করে খেলে সাধারণ গ্লাসের ৮-৯ গ্লাস পানি।

২। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পানি পান করতে হবে। এটি বদহজম (Indigestion) কমাতে বেশ ভালো কাজ করে।

৩। ব্যাগে সব সময় পানির বোতল রাখা আপনাকে পর্যাপ্ত পানি খেতে খানিকটা উৎসাহ দেবে।

৪। খাদ্যতালিকায় পানিজাতীয় সবজি ও ফল রাখা যেতে পারে। যেমন শসা, তরমুজ (Watermelon), টমেটো ইত্যাদি।

৫। সম্ভব হলে সপ্তাহে অন্তত ৩-৪টি ওরস্যালাইন সঠিক নিয়মে গুলিয়ে খেলে পানিশূন্যতার সঙ্গে সঙ্গে লবণের পরিমাণও ঠিক রাখতে সাহায্য করবে।

৬। কিডনিজনিত রোগে যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের জন্য দৈনিক পানির পরিমাণ কতটুকু হবে, তার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং আপনার যদি কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে শেয়ার করুন। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Check Also

খাবার

গরমের তীব্রতা প্রতিরোধে যেসব খাবার খাবেন

দেশেজুড়ে চলছে হিট অ্যালার্ট (Hit alert)। এই দাবদাহে প্রায় সবার জীবনই ওষ্ঠাগত! পানিশূন্যতা (Dehydration), ইলেকট্রোলাইট ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *