প্রেমের শুরুটা দু’জন মিলে হলেও বিরহ একান্তই নিজের। ব্রেকআপ (Breakup) বা বিচ্ছেদের পরের বেদনাটুকু তাই নিজেকেই বহন করতে হয়। সবার মন একইরকম সহিষ্ণু হয় না। কেউ কেউ ধ্বংসস্তুপ থেকে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেন, কেউ আবার অল্পতেই ভেঙে পড়েন। মানুষটা জীবন থেকে হারিয়ে গেলেও থেকে যায় তার অসংখ্য স্মৃতি। সেসব ভুলে নতুন করে জীবনটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দৃঢ় মনোবল প্রয়োজন। ব্রেকআপের পরে কষ্ট তো হবেই, জেনে নিতে হবে তা ভুলে থাকার উপায়ও-
ব্রেকআপের কষ্ট ভোলার সহজ উপায় জেনে নিন
১। সময়ের হাতে ছেড়ে দিন
একথা তো আমরা সবাই জানি যে সময় অনেককিছুই ঠিক করে দেয়। পৃথিবীর কোনো সুখ কিংবা দুঃখই চিরস্থায়ী নয়। তাই বেশি বেশি না ভেবে সময়ের হাতে ছেড়ে দিন। নিজের স্বাভাবিক রুটিন বজায় রাখার চেষ্টা করুন। আলাদা করে ভুলে থাকার চেষ্টা করলেই বরং বেশি বেশি মনে পড়বে। এর বদলে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করলে ভুলে থাকা সহজ হবে। সময় আপনাকে অনেককিছুই ভুলিয়ে দেবে। দেখবেন একদিন ঠিকই আপনি আবার আগের মতো মন খুলে হাসতে পারছেন!
২। দূরে কোথাও বেড়িয়ে আসুন
প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটান, সমুদ্রের ঢেউ এবং পানির প্রশান্তিময় শব্দ উপভোগ করুন, বন্ধু এবং পরিবারের সঙ্গে সিনেমা উপভোগ করুন, ঘাসের উপর খালি পায়ে হাঁটুন এবং আত্ম-প্রতিফলনের জন্য সময় নিন। আপনার অনুভূতিগুলোর মূল্যায়ণ করুন এবং আবেগগুলোকে দমন করার পরিবর্তে লিখে রাখুন। কারণ আবেগ চেপে রাখলে তা আপনার শারীরিক (Physical) ও মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো নিজের কষ্টকে মেনে নেওয়া।
৩। বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান
স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য বন্ধু এবং পরিবারের সঙ্গে মন খুলে কথা বলুন। বন্ধুদের সঙ্গে গল্প, আড্ডা আপনাকে চনমনে করে তুলতে পারে। ভুলিয়ে দিতে পারে অনেক দুঃখই। তবে যদি দীর্ঘ সময় ধরে মন খারাপ লেগেই থাকে এবং আপনি বিষণ্ণ (Depressed) বোধ করেন তবে পেশাদার সহায়তা নিন। তিনি আপনাকে এই পদক্ষেপগুলো ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠতে এবং কষ্ট ভুলে থাকতে পরামর্শ দেবেন।
৪। দ্রুত নতুন সম্পর্কে জড়াবেন না
ব্রেকআপের পরে নতুন সম্পর্কে জড়ানোর ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করা এড়িয়ে চলুন, কারণ রিবাউন্ড বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। কেউ একটু মিষ্টি করে কথা বললেই গলে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ পরবর্তীতে তা আপনার অনুশোচনার কারণ হতে পারে। এর পরিবর্তে সময়গুলো নিজেকে উন্নত করার কাজে লাগান। নতুন সম্পর্ক (Relationship) হয়তো তৈরি হবে, তবে তার আগে নিজেকে আরও ভালোভাবে তৈরি করতে হবে।
৫। নিজের যত্ন নিন
নিজের যত্ন (Self care) নিন এবং নিজের খেয়াল রাখুন। নিজেকে কখনো দুর্বল ভাববেন না। নিজেকে ভালো রাখার দায়িত্ব অন্য কারও হাতে দেবেন না। যখন আপনি নিজেকে ভালোবাসতে শিখবেন তখন বাকিরা ভালো না বাসলেও আর মন খারাপ হবে না। নিজের জন্য আনন্দদায়ক কাজগুলোই করুন। এতে কষ্ট ভুলে থাকা সহজ হবে।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং আপনার যদি কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে শেয়ার করুন। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।