হুট করেই কি অতিরিক্ত চুল (Hair) ঝরতে শুরু করেছে? এমনটি হলে সবার আগে খুঁজে বের করতে হবে এর কারণ। সঠিক কারণ জানতে পারলে তবেই চুল পড়া রোধ করা সম্ভব হবে। জেনে নিন চুল ঝরে পড়ার সম্ভাব্য কারণ কোনগুলো।
চুল পড়ে যাওয়ার সম্ভাব্য ৭টি কারণ জেনে নিন
১। বংশগত
চুল পড়ার পারিবারিক ইতিহাস অ্যান্ড্রোজেনেটিক অ্যালোপেসিয়া নামে পরিচিত। বংশগত কারণে টাক পড়ে যেতে পারে তরুণ বয়সেই। জেনেটিক্স পরিবর্তন করতে না পারলেও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু ওষুধ খেয়ে বংশগত চু`ল পড়াকে ধীর করতে পারেন।
২। হরমোনের পরিবর্তন
মেনোপজের সময় হরমোনের ওঠানামা একটি কারণ হতে পারে চু`ল পড়ে যাওয়ার। মেনোপজের সময় এবং পরে চুলের ফলিকল কমে যায়। এছাড়া ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের মাত্রা হ্রাসের ফলে অ্যান্ড্রোজেন বা পুরুষ হরমোনের প্রভাব বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে চিকিৎসার মাধ্যমে হরমোন (Hormone) নিয়ন্ত্রণ করা এবং সুষম খাদ্য নিশ্চিত করা যেতে পারে।
৩। পুষ্টির ঘাটতি
বায়োটিনের অপর্যাপ্ত মাত্রার কারণে চু`ল ভেঙে যায় এবং ঝরে পড়ে। আপনি যদি পর্যাপ্ত ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল এবং শাকসবজি (Vegetable) না খান, তবে শরীরের জন্য আয়রন শোষণ করা আরও কঠিন হয়ে পড়ে। আয়রনের ঘাটতি চুল পড়ার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খেয়ে বা সম্পূরক গ্রহণ করে কমাতে পারেন চু`ল পড়ার হার।
৪। মানসিক চাপ
মানসিক এবং শারীরিক চাপ টেলোজেন এফ্লুভিয়াম নামক একটি অবস্থাকে বাড়িয়ে চুল পড়ার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। যথেষ্ট পরিমাণ স্ট্রেস টেলোজেন এফ্লুভিয়ামে প্রচুর সংখ্যক চুলের ফলিকলকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। ধ্যান, নিয়মিত ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর জীবনের ভারসাম্য নিশ্চিত করার মাধ্যমে স্ট্রেস (Stress) কমাতে পারেন এক্ষেত্রে।
৫। নির্দিষ্ট ওষুধ এবং চিকিৎসার কারণে
বিটা-ব্লকার, ব্লাড থিনার, অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টস, কোলেস্টেরল (Cholesterol) কমানোর ওষুধ, কিছু ননস্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগস, থাইরয়েডের ওষুধ, হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি বা স্টেরয়েডের মতো হরমোন-সম্পর্কিত ওষুধগুলোসহ কিছু ওষুধের ফলাফল হতে পারে চুল পড়ে যাওয়া। যদিও এ ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তুলনামূলক বিরল। তবুও যদি আপনি সন্দেহ করেন যে কোনও ওষুধ চুলের ক্ষতির কারণ হচ্ছে, তবে বিকল্প ওষুধ বা সমাধান খুঁজতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৬। সঠিক যত্নের অভাব
স্টাইলিং সরঞ্জামের অত্যধিক ব্যবহার এবং আঁটসাঁট চুলের স্টাইল চুলের ক্ষতির কারণ হতে পারে। এসব কারণে চুল ঝরে যেতে পারে। চু`ল যত্নে রাখতে তাপ প্রদানকারী যন্ত্র কম ব্যবহার করুন ও চুলের ধরন অনুযায়ী উপযুক্ত পণ্য ব্যবহার করুন।
৭। নির্দিষ্ট রোগের কারণে
অ্যালোপেসিয়া অ্যারেটা নামে পরিচিত অবস্থাটি চুলের ফলিকলকে আক্রমণ করে, যার ফলে চুল পড়ে। যদিও রোগটি শরীরের যে কোনও জায়গায় চুল (Hair) পড়ার কারণ হতে পারে।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং আপনার যদি কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে শেয়ার করুন। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।