নারীরা সাধারণ নিজের প্রতি খুবই যত্নশীল হয়। চুল, ত্বক (Skin) ভাল রাখতে রূপচর্চা ও স্লিম থাকেন ব্যায়ামও করে থাকেন। তবে অনেক নারী পিরিয়ডের সময় ও এমনি সময়গুলোতে যোনির তেমন যত্ন নেন না। মনে রাখবেন এটি নারী দেহের বিশেষ একটি অঙ্গ।যোনি সংক্রমণের জেরে নারীরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। আসুন জেনে নেই কীভাবে যোনির যত্ন (Vaginal care) নেবেন।
নারীর যোনির যত্ন নেবেন যেভাবে
১। পরিষ্কার রাখুন
প্রতিদিন গোসল করার সময় ভাল করে যোনি ধুয়ে নিন। পরিষ্কার পানি ব্যবহার করবেন। চাইলে ভি-ওয়াশ জাতীয় লোশন ব্যবহার করতে পারেন। পরে নরম তোয়ালে বা টিস্যু দিয়ে মুছে নেবেন। খসখসে কাপড় ব্যবহার করবেন না।
২। সুতির অন্তর্বাস
গরমে যোনি খুব ঘামে। ঘাম জমে ব্যাকটেরিয়ার (Bacteria) জন্ম হয় এবং যোনিতে সংক্রমণ হওয়ার ভয় থাকে। এই সমস্যা এড়াতে সুতির অন্তর্বাস ব্যবহার করতে পারেন।
৩। বডি স্প্রে
যোনির স্বাভাবিক একটা গন্ধ আছে। এই গন্ধ ঢাকতে ডিও বা বডি স্প্রে ব্যবহার করবেন না। এর ফলে যোনির ত্বক লাল হয়ে ফুলে উঠতে পারে এবং চুলকুনি হতে পারে।
৪। খাবার
আপেল, অ্যামন্ড, অ্যাভোকাডো, দই ইত্যাদি খেলে যোনিতে সংক্রমণ কম হয়। পাশাপাশি, সারাদিনে প্রচুর পরিমাণ পানি (Water) পান করতে হবে। ভাজাভুজি, বাইরের মশলাদার খাবার, জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলুন।
৫। ডিসচার্জ
যোনি থেকে সাদা পানির মতো বা হালকা হলুদ রঙের ডিসচার্জ হওয়া স্বাভাবিক। যোনির ভিতর জমে থাকা জীবাণু (Germ) এই উপায়ে শরীর বাইরে বের করে দেয়। কিন্তু, যদি অন্য রঙের ডিসচার্জ হয়, যদি তা ঘন আঠার মতো চটচটে হয়, সঙ্গে তীব্র দুর্গন্ধ থাকে কিংবা যন্ত্রণা হয়, তা হলে অবশ্যই ডাক্তার দেখান।
৬। শারীরিক সম্পর্ক
শরীরিক সম্পর্কের সময় কনডম ব্যবহার করা ভালো। কনডম বিভিন্ন যৌনরোগও প্রতিরোধ করে। এছাড়া শরীরিক সম্পর্কের পরবর্তী সময়ে যোনি (Vagina) পরিষ্কার রাখুন।
৭। প্যাড বদলান
পিরিয়ডের সময় দিনে অন্তত তিন থেকে চারবার প্যাড বদলান। পিরিয়ডের সময় ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ভয় বেশি থাকে। সারাদিন একটা প্যাড পরে থাকলে ভিজে জায়গায় ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে।
৮। ট্রিম বা শেভ করুন
যোনির চুল বড় হয়ে গেলে ট্রিম (Trim) করে ফেলুন বা শেভ করুন। এর ফলে যোনি পরিষ্কার রাখতে সুবিধা হবে, সংক্রমণের আশঙ্কাও কমবে। কিন্তু, এখানে কোনও হেয়ার রিমুভিং ক্রিম ব্যবহার করবেন না।
অনেকদিন ধরে যোনিতে চুলকানি বা ব্যথা হলে, ঘন আঠার মতো চটচটে ডিসচার্জ বেরোলে, কোনও স্ফীতি দেখা দিলে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং আপনার যদি কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে শেয়ার করুন। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।