টাকা বা অর্থ জমানোর ইচ্ছা সবারই থাকে। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই তা জমাতে পারে না। অর্থ (Money) জমাতে হলে খরচ করার সময় কিছুটা সতর্ক হতে হয়। এক্ষেত্রে নানা কৌশল প্রয়োগ করা যেতে পারে। বর্তমান বাজারে টাকা জমাতে না শিখলে, প্রয়োজনে টাকা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এছাড়া আর্থিক দুশ্চিন্তার কারণে বিভিন্ন ধরনের হতাশা এবং বিষন্নতা ঘিরে ধরে। তাই মানুষের কথায় কান না দিয়ে প্রতিমাসে এবং প্রতিদিন টাকা জমানোর চেষ্টা করতে হবে।
টাকা জমানোর কিছু কৌশল জেনে নিন
১। পরিকল্পনা
দৈনন্দিন খরচের হিসাব চিন্তা করে বের করতে হবে। সেখান থেকে সামান্য কিছু খরচ কমিয়ে জমানো শুরু করতে হবে। এজন্য আগামী ১ বছর ও ৫ বছর মেয়াদী একটি ছোট পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেলতে হবে। এসময়ে কত টাকা জমানো যেতে পারে, তা হিসাব করার পাশাপাশি বড় কোনো খরচের প্রয়োজন পড়লে কীভাবে সামাল দেয়া যেতে পারে তা চিন্তা করতে হবে।
২। ঋণ পরিশোধের মানসিকতা
টাকা জমানোর অন্যতম বড় বাধা ঋণে (Loan) থাকা। তাই আগে ঋণে পরিশোধে মনোযোগ দিতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব ঋণমুক্ত হয়ে টাকা জমানো শুরু করতে হবে।
৩। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ব্যবহার
টাকা থাকলেই যদি খরচ করতে ইচ্ছা করে, তবে ব্যাংক একাউন্ট (Bank account) খুলে টাকা জমানো শুরু করতে হবে। প্রতি মাসের প্রয়োজন মিটিয়ে এই জমানোর পরিমাণ বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে।
৪। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সতর্কতা
ক্রেডিট কার্ড (Credit card) ব্যবহারে সব সময় ঋণ বাড়ানোর মানসিকতা তৈরি করে। তাই এই কার্ড অযথা ব্যবহার করা যাবে না। খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এড়িয়ে চলতে হবে। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কেনাকাটায় বেশিরভাগ সময় সুদ দিতে হয়, যা পকেট থেকে অহেতুক টাকা বের করে নেয়ার মতো। তাই নগদ টাকায় শপিং বা কেনাকাটার মানসিকতা তৈরি করা প্রয়োজন।
৫। কেনাকাটার আগে ভাবতে হবে
যেকোনো পছন্দের জিনিস কেনার আগে ভাবা উচিত; সেটা না কিনলে কোনো সমস্যা হবে কিনা। কিংবা এটি যে কাজে ব্যবহার করা হবে, সেই কাজ অন্য কোনো উপায় করা যায় কিনা। যদি না কিনে পারা যায়, তাহলে অহেতুক পয়সা খরচ করা উচিত হবে না এসময়ে। পৃথিবীতে পছন্দের শেষ নেই। তাই পছন্দ হলেই সব কিছু কেনা যাবে না।
৬। বীমা বা ডিপোজিট
বীমা বা ডিপোজিট (Deposit) স্কিম শুরু করা যেতে পারে। সেটা সাধ্যমতো করলেই ভালো। পরিমাণ যত ছোটই হোক না কেন, এটি সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান বেছে নিতে হবে।
৭। বাইরে খাওয়া ছাড়তে হবে
বর্তমানে বাইরে খেতে যাওয়া একটি ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। টাকা জমাতে বা ভবিষ্যতে আর্থিক স্বাধীনতা লাভ করতে হলে এ অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে। তাছাড়া বাইরের এসব খাবার-দাবার শরীরের জন্যও ক্ষতিকর।
৮। ফ্যাশনে খরচ কমাতে হবে
পোশাক এবং ফ্যাশনের (Fashion) ক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকা খরচ করা যাবে না। মনে রাখতে হবে, জীবনে সফল হতে পারলে ছেঁড়া লুঙ্গিও জাদুঘরে ঠাঁই পায়। আর ব্যর্থ হলে কোনো নামিদামি স্যুট প্যান্টের মূল্য থাকবে না। তাছাড়া বাইরে চলাফেরার ক্ষেত্রে অযথা রাইডভিত্তিক শেয়ার ব্যবহারের মাধ্যমে অতিরিক্ত খরচ মাস শেষে ভোগাবে।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং আপনার যদি কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে শেয়ার করুন। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।