শুধু প্রসাধনী ব্যবহার করে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখাটা প্রায় অসম্ভব। এজন্য স্বাস্থ্যকর কিছু অভ্যাস রপ্ত করা জরুরি। বিশেষ করে বয়স ত্রিশ পার হওয়ার পর। কারণ এ সময়ের পর থেকে ধীরে ধীরে ত্বকে থাকা প্রাকৃতিক তেলের উৎপাদন কমতে শুরু করে। এর ফলে শুষ্কতা এবং বলিরেখার সমস্যা বেড়ে যায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের কোলাজেন এবং ইলাস্টিন ফাইবারগুলোও ভাঙতে শুরু করে। আবার ধুলাবালি, সূর্যের তাপ, স্ট্রেস- সবকিছুই প্রভাব ফেলে ত্বকে। ফলে ত্বক দ্রুত বুড়িয়ে যায়। বলিরেখাহীন টানটান ত্বকের জন্য কোন কোন অভ্যাস আয়ত্ত করবেন জেনে নিন।
ত্বকের বয়স ধরে রাখতে আয়ত্ত করুন এই ১০টি অভ্যাস
১। ত্বকের যত্ন নিতে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা জরুরি। সকালে উঠেই এক গ্লাস পানি খান। এই অভ্যাস ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল রাখবে।
২। সকালে ত্বক পরিষ্কার করার পর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ অ্যালকোহল ফ্রি টোনার ব্যবহার করুন। এটি ত্বককে সুস্থ এবং পুনরুজ্জীবিত করে তুলতে বিশেষভাবে সহায়তা করবে।
৩। সূর্যের ক্ষতিকর ইউভি রশ্মির কারণে দ্রুত ত্বক বুড়িয়ে যায়। কমপক্ষে এসপিএফ ৩০ রয়েছে এমন সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন রোদে বের হওয়ার আগে।
৪। ধূমপান খুব দ্রুত ত্বকের বয়স বাড়ায়। এটি বলিরেখা সৃষ্টি করে এবং ত্বককে নিস্তেজ করে দেয়। তাই ধূমপানের অভ্যাস থাকলে সেটি ত্যাগ করুন।
৫। প্রতিদিন সকালে শরীরচর্চা করলে শুধু শরীর ভালো থাকে না, ভালো থাকে ত্বকও। অ্যারোবিক এক্সারসাইজ ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করে।
৬। টানটান ত্বকের জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের বিকল্প নেই। সুষম খাবার খান। কিছু গবেষণার ফলাফল থেকে জানা যায় যে প্রচুর তাজা ফল এবং শাকসবজি খাওয়া ত্বকের ক্ষতি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে। অতিরিক্ত চিনি খাওয়া বা অন্যান্য পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার ত্বকের বার্ধক্যকে ত্বরান্বিত করতে পারে।
৭। প্রতিদিন ফেসিয়াল ময়েশ্চারাইজার লাগান। ময়েশ্চারাইজার আমাদের ত্বকে পানি আটকে রাখে, যা ত্বককে বলিরেখা থেকে রক্ষা করে।
৮। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। সামুদ্রিক মাছে মেলে এই ফ্যাটি অ্যাসিড। অভ্যাস করুন খাদ্য তালিকায় তেলযুক্ত মাছ রাখার।
৯। স্ক্রাবিং বা এক্সফোলিয়েটিং ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ত্বকের গঠন এবং টোন উন্নত করে। ত্বক টানটান ও প্রাণবন্ত রাখতে সপ্তাহে একদিন বা দুইদিন এক্সফোলিয়েটিং করুন ত্বক।
১০। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস করুন।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং আপনার যদি কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে শেয়ার করুন। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।