Home / লাইফস্টাইল / সুখী হওয়ার এই ৫টি অভ্যাস আপনার আছে কি?

সুখী হওয়ার এই ৫টি অভ্যাস আপনার আছে কি?

জীবন পরিস্থিতি, সম্পর্ক এবং এমনকী আমাদের দৈনন্দিন অভ্যাসও সুখ তৈরিতে কাজ করে। কিন্তু আপনি কি জানেন যে আমাদের শরীর আমাদের সুখে ভূমিকা রাখে? মস্তিষ্ক হ্যাপি হরমোন (Happy hormone) নামক রাসায়নিক নির্গত করে। যা আমাদের মেজাজ উন্নত করতে পারে, স্ট্রেস কমাতে পারে এবং সামগ্রিক সুস্থতার উন্নতি কর। এই হরমোনের মধ্যে রয়েছে সেরোটোনিন, ডোপামিন (Dopamine), অক্সিটোসিন এবং এন্ডোরফিন। আমাদের রুটিনে কিছু পরিবর্তন এনে স্বাভাবিকভাবেই এই হরমোনের উৎপাদন বাড়াতে এবং সুখী জীবনযাপন করতে পারি।সুখী

সুখী হওয়ার এই ৫টি অভ্যাস আপনার আছে কি?

১. ব্যায়াম
আমাদের মেজাজ বাড়ানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায়গুলোর মধ্যে একটি হলো ব্যায়াম (Exercise)। এই অভ্যাস এন্ডোরফিনের উৎপাদন বাড়ায়, যাকে ফিল-গুড হরমোন বলা হয়। দ্য প্রাইমারি কেয়ার কম্প্যানিয়ন টু দ্য জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল সাইকিয়াট্রিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, নিয়মিত ব্যায়াম হতাশা এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে, এটি মূলত ঘটে এন্ডোরফিন নিঃসরণের কারণে।

২. ইতিবাচক এবং কৃতজ্ঞ থাকা
কৃতজ্ঞতা একটি শক্তিশালী আবেগ যা আপনার মানসিক স্বাস্থ্যকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে ইতিবাচক এবং কৃতজ্ঞ থাকলে তা নিয়মিত সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়াতে পারে। এই সেরোটোনিন (Serotonin) হলো সুস্থতা এবং সুখের অনুভূতির সঙ্গে সম্পর্কিত একটি হরমোন। দ্য জার্নাল অফ পার্সোনালিটি অ্যান্ড সোশ্যাল সাইকোলজিতে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা কৃতজ্ঞতার কথা লিখে রাখেন তারা আরও ইতিবাচক আবেগ অনুভব করেন এবং তাদের ভালো থাকার একটি শক্তিশালী অনুভূতি থাকে।

৩. সামাজিক সংযোগ
মানসিক সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো সামাজিক সংযোগ। অক্সিটোসিনকে প্রেমের হরমোনও বলা হয়। এটি সামাজিক মিথস্ক্রিয়া চলাকালীন মুক্তি পায়, এই হরমোন বন্ধন এবং বিশ্বাসের অনুভূতি বাড়িয়ে দেয়। প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানো, কথা বলা বা আলিঙ্গন করার মতো সহজ কাজগুলো অক্সিটোসিনের মুক্তিকে ট্রিগার করতে পারে এবং আমাদের মনকে সতেজ করে।

৪. ভালো ঘুম
মানসিক সুস্থতা সহ সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য ঘুম অপরিহার্য। ঘুমের অভাব সেরোটোনিন এবং অন্যান্য মেজাজ-নিয়ন্ত্রক হরমোনের মাত্রা হ্রাস হতে পারে। আমাদের সুখ বাড়ানোর জন্য প্রতি রাতে ৭-৯ ঘণ্টা মানসম্পন্ন ঘুমের লক্ষ্য রাখা উচিত। একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ ঘুমের রুটিন মেনে চলা, ঘুমানোর আগে ক্যাফেইন এড়িয়ে চলা এবং ঘুমানোর সময় শান্ত পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করুন। এগুলো ঘুমের মান উন্নত করতে সাহায্য করবে।

৫. পুষ্টিকর খাবার
আমরা যা খাই তা আমাদের মেজাজ এবং সুখের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। কিছু খাবার সুখী হরমোনের উৎপাদন বাড়াতে পরিচিত। উদাহরণস্বরূপ, ট্রিপটোফেন সমৃদ্ধ খাবার যেমন টার্কি, ডিম এবং বাদাম (Nut) সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়াতে পারে। ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, মাছ এবং তিসি বীজ ডোপামিনের মাত্রা বাড়াতে কাজ করে।

সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং আপনার যদি কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে শেয়ার করুন। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Check Also

দুশ্চিন্তা

দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়ার ১০টি কার্যকর উপায়

আমাদের প্রতিদিনের জীবনে দুশ্চিন্তা বা স্ট্রেস (Stress) থাকা অস্বাভাবিক নয়। তবে এটি দীর্ঘমেয়াদে মানসিক ও ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *