খুশকির সমস্যা চুলের সবচেয়ে সাধারণ সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি। এই সমস্যা সাধারণত তৈলাক্ত চুল (Oily hair) এবং নোংরা স্ক্যাল্পের কারণে হয়। নির্দিষ্ট শ্যাম্পু এবং কেমিক্যালযুক্ত পণ্য দিয়ে খুশকির সমাধান করতে চাইলে তা চুল পড়া বাড়াতে পারে। এর বদলে ঘরোয়া উপায় বেছে নিতে হবে। তাতে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ভয় থাকবে না। চলুন জেনে নেওয়া যাক খুশকি (Dandruff) দূর করার ঘরোয়া উপায়-
খুশকি দূর করার ঘরোয়া উপায়
১. লেবুর রস
লেবুর রস খুশকির সমস্যা দূর করতে কাজ করে। কারণ লেবু দ্রুত মাথার ত্বকের পিএইচ স্তরের সাথে সামঞ্জস্য করে। ১ টেবিল চামচ লেবুর রস ১/৪ গ্লাস পানির সঙ্গে মিশিয়ে নিন এবং এরপর এটি আপনার মাথার ত্বকে প্রি-শ্যাম্পু আচার হিসাবে প্রয়োগ করুন। এটি এক ঘণ্টার জন্য রাখুন কারণ সাইট্রিক অ্যাসিড (Citric acid) এবং এর অণুজীব বৈশিষ্ট্য চুল থেকে ছত্রাক দূর করবে এবং চুল পড়া (Hair fall) রোধ করবে যাতে। একটি ভালো শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ও চুল ধুয়ে নিয়ে তারপর কন্ডিশনিং করুন।
২. কফি
প্রায় প্রতিটি বাড়িতে কফি (Coffee) থাকে। এটি আপনার ত্বক এবং চুলের জন্য দুর্দান্ত এবং এটি এক্সফোলিয়েশন, ময়লা এবং জঞ্জাল কমাতে ব্যবহার করতে পারেন। কফি মাথার ত্বক পরিষ্কার করে এবং এক্সফোলিয়েট করে। এই প্রক্রিয়ায় খুশকি সৃষ্টিকারী ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং চুলের ক্ষতি থেকেও রক্ষা করে। অল্প নারিকেল তেল (Coconut Oil) গরম করুন এবং এতে কফি পাউডার যোগ করুন। ভালো করে মেশান এবং পেস্টটি লাগান। ৩০ মিনিটের জন্য অপেক্ষা করুন এবং একটি মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে আপনার চুল ধুয়ে ফেলুন।
৩. আপেল সাইডার ভিনেগার
খুশকির সমস্যার সমাধান করতে পারে আপেল সিডার ভিনেগার। মাথার ত্বককে আলতো করে পরিষ্কার করে এবং খুশকির চিকিৎসায় সাহায্য করে। অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল (Antibacterial) বৈশিষ্ট্যে ভরপুর এসিভি মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক pH ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করে এবং খুশকি দূর করে। এটি চুল থেকে নিস্তেজতা এবং কুঁচকে যাওয়াও দূর করে। ২ টেবিল চামচ আপেল সাইডার ভিনেগার সপ্তাহে দুইবার লাগান এবং ফলাফল দেখুন।
৪. রসুন
খুশকির জন্য সেরা ঘরোয়া প্রতিকারগুলির মধ্যে একটি হলো রসুনের ব্যবহার। এই ঘরোয়া প্রতিকার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (Antioxidant) এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ, যা মাথার ত্বকের সংক্রমণ দূর করে। এছাড়াও ভিটামিন সি, এ, সেলেনিয়াম, অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ রসুন চুলকে উজ্জ্বল ও মজবুত করে। সপ্তাহে দুইবার রসুনের রস ব্যবহার করা শুরু করুন।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং আপনার যদি কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে শেয়ার করুন। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।