প্রকৃতিতে শীতের বাতাস টের পাওয়া যাচ্ছে বেশ। সকাল আর সন্ধ্যায় কুয়াশারও দেখা মেলে। শীতের সময় ত্বক (Skin) যেমন টানটান হয়ে পড়ে, তেমনি বাড়ে খুশকির প্রকোপও। এক ধরনের ছত্রাক প্রাকৃতিকভাবে আমাদের মাথার ত্বকে বাস করে। এই ছত্রাকের অত্যধিক বৃদ্ধি বা ভারসাম্যহীনতা খুশকি (Dandruff) বাড়ায়। কিছু সহজ ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে মুক্তি পেতে পারেন খুশকির উপদ্রব থেকে।
খুশকি দূর করার সহজ ৪টি উপায়
১। লেবুর রস ব্যবহার করুন
লেবু দ্রুত মাথার ত্বকের পিএইচ স্তরের সাথে সামঞ্জস্য করতে পারে। ১ টেবিল চামচ লেবুর রস ১/৪ গ্লাস পানির সঙ্গে মিশিয়ে পাতলা করে নিন। এটি আপনার মাথার ত্বকে লাগান। শ্যাম্পু করার এক ঘণ্টা আগে এটি লাগাবেন। লেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড (Citric acid) এবং এর অণুজীব বৈশিষ্ট্য চুল থেকে ছত্রাক এবং তেলতেল ভাব দূর করে। চুল পড়া (Hair fall) রোধ করে চুল শক্তিশালী রাখতেও লেবুর রস অনন্য। শ্যাম্পু শেষে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
২। উপকার পাবেন কফি লাগালে
কফি ত্বক এবং চুলের জন্য দুর্দান্ত। এটি এক্সফোলিয়েশন করে ও চুলের গোড়ায় থাকা ময়লা দূর করতে সাহায্য করে। ফলে খুশকি সৃষ্টিকারী ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (Antioxidant) যা ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং আমাদের চুলের ক্ষতি থেকেও রক্ষা করে। নারকেল তেল (Coconut oil) গরম করে কফি যোগ করুন। ভালো করে মেশান এবং পেস্টটি চুলের গোড়ায় লাগান। ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৩। আপেল সিডার ভিনেগার
মাথার ত্বক পরিষ্কার করে এবং খুশকি দূর করে আপেল সিডার ভিনেগার (Apple cider vinegar)। অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যে সম্পন্ন এই ভিনেগার মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক পিএইচ ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করে এবং খুশকির উপদ্রব কমায়। ২ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার সপ্তাহে দুইবার লাগান চুলের গোড়ায়। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৪। রসুনের রস সাহায্য করতে পারে
খুশকির জন্য সেরা ঘরোয়া প্রতিকারগুলোর মধ্যে একটি রসুনের রস। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ রসুন মাথার ত্বকের সংক্রমণ দূর করতে সহায়ক। এছাড়াও ভিটামিন সি, এ, সেলেনিয়াম, অ্যামিনো অ্যাসিড এবং উচ্চ মাত্রার ম্যাগনেসিয়াম মেলে রসুনে। এসব উপাদান চুল ঝলমলে ও শক্তিশালী করে। রসুনের রস (Garlic juice) ব্যবহার করুন সপ্তাহে দুইবার।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং আপনার যদি কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে শেয়ার করুন। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।