আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আপনাদের মাঝে অরেকটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আজ আপনাদের জানাবো ৯টি দারুণ মেকআপ(Makeup) টিপস অ্যান্ড ট্রিকস। নিজেকে মেকাপে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে কে না চায়! এ জন্য দরকার পারফেক্টভাবে মেকাপটা করা। আমি কি পারব পারফেক্টলি মেকআপ(Makeup) করতে?? আমি তো অতো পারদর্শী না। এই কথাগুলো যারা ভাবেন, তাদের জন্যে আজকে রয়েছে ৯টি টিপস এবং ট্রিকস। এই ট্রিক্সগুলো ফলো করলে কিছু জিনিসের কমতি থাকলেও নিজেই নিখুঁত মেকআপ(Makeup) লুক আনতে পারবেন।
৯টি দারুণ মেকআপ টিপস অ্যান্ড ট্রিকস জেনে নিন
১) আইব্রোকে(Eyebrow) দিনের বেলায় একটু ন্যাচারালভাবে আঁকতে চান, এবং চান এটি সারাদিন সেট থাকুক? এজন্য একটি ক্লিয়ার সাবান নিন এবং একটি স্পুলি সাবানে হালকা ঘষে নিন। এই স্পুলি দিয়ে আইব্রোগুলোকে উপরের দিকে ব্রাশ করুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন শুকিয়ে যাওয়ার জন্যে। এবার আইব্রো জেল(Eyebrow gel) একটি অ্যাঙ্গেল ব্রাশে নিয়ে আইব্রো এঁকে নিন ন্যাচারালভাবে ছোট ছোট স্ট্রোকে।
(২) অনেক সময় ফাউন্ডেশনের আন্ডারটোন ম্যাচ করে না। ধরুন, আপনি ইয়োলো আন্ডারটোন এবং আপনার ফাউন্ডেশনটি কেনা হয়ে গেল পিংক আন্ডার টোনের। তখন কি করবেন? ফাউন্ডেশন(Foundation) ব্যবহারের সময় হাতে ঢেলে নিন, এবং এর মধে ১ ফোটা ইয়োলো ফুড কালার মিক্স করে নিন। ব্যস, আপনার ফাউন্ডেশন(Foundation) এর আন্ডারটোন ম্যাচ হয়ে গেল। তবে খেয়াল রাখবেন, ফুড কালারটি যেন আনফ্লেভারড হয়।
(৩) অনেক সময় কনসিলার(Concealer) ব্যবহারের পরেও ডার্ক সার্কেল পুরোপুরি ঢাকে না। এজন্যে কনসিলার ব্যবহারের আগে আপনার অরেঞ্জ কালারের লিপস্টিকটি নিয়ে আগে ডার্ক সার্কেল(Dark circle) এর উপরে লাগান এবং আঙ্গুল দিয়ে হালকা ব্লেন্ড করে নিন। এরপরে কনসিলার লাগান। দেখবেন, আপনার ডার্ক সার্কেল(Dark circle) পুরোপুরি গায়েব।
(৪) অনেক সময় আমাদের কাছে অনেক ধরনের মেকআপ(Makeup) ব্রাশ থাকে না। যেমন, আপনার কাছে যদি কন্ট্যুর ব্রাশ না থাকে, তবে আপনার ব্লাশ ব্রাশটি নিন। ১-২ টি ববি পিন নিয়ে ব্রাশের ব্রিসেলসগুলোর গোড়ার দিকে আটকে দিন। দেখবেন, ব্রাশটি চারদিকে ছড়িয়ে গেছে। এবার এটি দিয়ে আপনি কন্ট্যুরিং করে নিতে পারবেন। এছাড়াও এটি ফ্যান ব্রাশের কাজও করবে। যা দিয়ে পাউডার(Powder) হাইলাইটার ব্যবহার করতে পারবেন।
(৫) যারা পারফেক্টলি কন্ট্যুর করতে পারেন না, তারা চিক বোনের নিচে কন্ট্যুরিং-এর জন্য ব্যবহার করুন যেকোনো কার্ড। যেখানে কন্ট্যুরিং করবেন, তার একটু নিচে কার্ডটি ধরুন এবং ব্রাশের সাহায্যে সেই কার্ডের লাইন ফলো করে কন্ট্যুরিং পাউডার(Powder) লাগান। এরপর কার্ডটি সরিয়ে হালকা করে ব্লেন্ড করে নিন পুরোটা। নাকে কন্ট্যুরিং এর ক্ষেত্রে যে কোনো ছোট আই মেকআপ(Makeup) ব্রাশের হ্যান্ডেল ব্যবহার করুন। ব্রাশের হ্যান্ডেল নাকের হাড়ের উপরে ধরে এর দুই পাশে কন্ট্যুরিং করে নিন।
(৬) গ্লিটার/ কালার লাইনার বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়। তবে সবার কাছে সব ধরনের কালার থাকে না। সেক্ষেত্রে আপনার মেকাপ(Makeup) সেটিং স্প্রে নিন। আপনার হাতের পেছনে কাছ থেকে ২/১ বার স্প্রে করে নিন। একটি লাইনার ব্রাশ এই স্প্রেতে চুবিয়ে নিন। এবার যে কালারের লাইনার চান, সেই কালারের শিমারী আইশ্যাডো(Eyeshadow) নিন। লাইনার ব্রাশটি আইশ্যাডোতে ভালোভাবে ডিপ করে নিন। এবার চটজলদি চোখে লাইনিং করুন। ব্যস!
(৭) রাতের পার্টিতে হালকা লিপগ্লস ভালোই মানিয়ে যায়। কিন্তু লিপগ্লস নেই?? এজন্যে, একটু ভ্যাসলিন(Vaseline) নিন। এর সাথে সামান্য লুজ আইশ্যাডো পিগমেন্ট মিক্স করে নিন। ব্যস, আপনার লিপগ্লস রেডি।
(৮) আইব্রো প্লাক করা থাকে না অনেকেরই তাই বলে কি মেকাপের সৌন্দর্য নষ্ট হবে?? একদমই না। এজন্যে, প্রথমে আইব্রো(Eyebrow) এঁকে নিন। এরপর আইব্রোর চারদিকে কনসিলার(Concealer) লাগিয়ে নিন। এতে এক্সট্রা আইব্রো এর হেয়ারগুলো হাইড হয়ে যাবে এবং আইব্রো হাইলাইটও হয়ে যাবে।
(৯) অনেক সময় আমরা যখন গর্জিয়াস আই মেকআপ(Makeup) করি তখন দেখা যায় অনেক বেশী ফল আউট হয়। যা বেইজ মেকাপের উপর থেকে ক্লিন করা একটু কষ্টকর। তাই গর্জিয়াস আই মেকাপ করতে চাইলে, তা বেইজ মেকাপের আগে কমপ্লিট করবেন। এতে ফল আউট সহজেই ক্লিন করে নেয়া যাবে। এরপর বেইজ মেকআপ(Makeup) করবেন।
এই তো জেনে নিলেন, মেকাপের কিছু দারুণ টিপস এবং ট্রিকস। এগুলো ফলো করলে আপনার মেকআপ(Makeup) করা অনেক বেশি সহজ হয়ে যাবে। ভালো থাকুন।
আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
