Home / স্বাস্থ্য টিপস / কিশমিশ ভেজানো পানি খাওয়ার উপকারিতা জানেন কী?

কিশমিশ ভেজানো পানি খাওয়ার উপকারিতা জানেন কী?

খাবারের স্বাদ ও সৌন্দর্য বাড়াতে কিশমিশের ব্যবহারের কথা কারও অজানা নয়। কিশমিশ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ উপকারী। তবে শুধু কিশমিশই নয়, কিশমিশ(Raisins) ভেজানো পানিও বেশ উপকারী। কিশমিশের পানি খেলে লিভারে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া শুরু হয় যে কারণে শরীরে দ্রুত রক্ত পরিশোধন হতে থাকে। আপনি যদি এক সপ্তাহ খালি পেটে কিশমিশের পানি(Raisin water) পান করেন, তাহলে পেট একদম পরিষ্কার হয়ে যাবে, পেটের গন্ডগোল থাকবে না সেইসঙ্গে ভরপুর শক্তি পাবেন। এছাড়া এটি হার্টকে ভালো রাখে এবং ক্ষতিকারক যে কোলেস্টেরল রয়েছে তা দূর করে।কিশমিশ

কিশমিশ ভেজানো পানি খাওয়ার উপকারিতা জানেন কী?

কিশমিশ ভেজানো পানি তৈরি করতে লাগবে ২ কাপ পানি ও ১৫০ গ্রাম কিশমিশ। কিশমিশগুলোকে ভালো করে কয়েকবার ধুয়ে নিন। এরপর একটি পাত্রে দুই কাপ পানি দিয়ে রাতভর কিশমিশ(Raisins) ভিজিয়ে রাখুন। সকালে কিশমিশ ছেকে নিয়ে সেই পানিটা হালকা গরম করে সকালে খালি পেটে খেয়ে নিন। ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট অন্য কিছু খাবেন না। কিশমিশে রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল। কিশমিশ(Raisins) না খেয়ে শুধু কিশমিশের পানি খেলেও সেই ভিটামিন ও মিনারেল শরীরে ঢোকে। পানিতে ভেজানোর আর একটা কারণ শর্করার মাত্রা কমে। চলুন জেনে নেয়া যাক কিশমিশের আরও কিছু উপকারিতা-

রক্তশূন্যতা দূর: রক্তে লৌহের পরিমাণ কম হলে অবসাদ, দুর্বলতা, হতাশায় ভুগতে পারেন, ব্যহত হতে পারে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে লৌহ আছে যা রক্তশূণ্যতার রোগীর জন্য খুব উপকারী। এছাড়া রক্ত ও লোহিত কণিকা তৈরি জন্য দরকার ভিটামিন বি(Vitamin B) কমপ্লেক্স ও কপার, যা কিশমিশে থাকে।

হাড় ভালো রাখে: অস্টিওপোরোসিস নামক হাড়ের রোগে অনেকেই ভুগে থাকেন। এই রোগ প্রতিরোধ করতে বোরন নামের খনিজ পদার্থ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আর কিশমিশ বোরনের অন্যতম উৎস। বোরনে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস(Phosphorus), ম্যাগনেসিয়াম- যা হাড় গঠনের পাশাপাশি শরীরে টেসটোসটেরন এবং ইস্ট্রোজেনের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

রক্ত পরিষ্কার করে: রক্ত দূষিত হওয়াকে বলে অ্যাসিডোসিস, যা থেকে আরথ্রাইটিস, চামড়া রোগ, হৃদরোগ(Heart disease) এবং ক্যান্সার হতে পারে। অ্যান্টাসিডস হিসেবে পরিচিতি দুটি উপাদান ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম(Potassium) শরীরের ক্ষরীয়ভাব স্বাভাবিক করে অ্যাসিডোসিসের হাত থেকে বাঁচায়। আর এই উপাদানগুলো কিশমিশে রয়েছ।

চোখ ভালো রাখে: নিয়মিত কিশমিশ খেলে বৃদ্ধ বয়সে দৃষ্টিহীন হওয়ার সম্ভবনা কমে যায়। পাশাপাশি কিশমিশে থাকা পলিফেনল উপাদান ক্ষতিকারক ফ্রি-রেডিকেলস ধ্বংস করে চোখকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে।

স্মৃতিশক্তি বাড়ায়: কিশমিশে থাকা বোরন মস্তিষ্কের খাদ্য(Food for the brain) হিসেবে কাজ করে। তাছাড়া বোরন মনোযোগ বৃদ্ধি, চোখের সঙ্গে হাতের সামঞ্জস্য বাড়ানো ও স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ করতে সাহায্য করে। একশ গ্রাম কিশমিশ থেকে ২.২ মিলি গ্রাম বোরন পাওয়া যায়।

রক্তচাপ কমায়: রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে কিশমিশ। মূলত কিশমিশে থাকা পটাসিয়াম রক্তচাপ(Blood pressure) কমাতে সাহায্য করে। সাধারণত উচ্চ মাত্রার সোডিয়াম শরীরে রক্তচাপ বাড়ায়। কিশমিশ শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

Check Also

হিটস্ট্রোক

তীব্র তাপপ্রবাহে হিটস্ট্রোক এড়াবেন যেভাবে

গ্রীষ্মের দাবদাহে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হন অনেকেই। হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে কিছু টিপস মেনে চলতে হবে। ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *