Home / বিউটি টিপস / ব্রণ হওয়ার বিভিন্ন কারণ ও এর প্রতিকার জেনে নিন

ব্রণ হওয়ার বিভিন্ন কারণ ও এর প্রতিকার জেনে নিন

জীবনযাপনের ধরন থেকেও ব্রণ(Acne) হতে পারে। খাদ্যাভ্যাস, প্রসাধনীর ক্ষেত্রে হতে হবে সচেতন। ময়লা কিংবা তৈলাক্ত প্রসাধনী ব্যবহারের কারণে ত্বকের তেল গ্রন্থি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তখন ত্বকের ভেতরের দিকে তেল জমে তৈরি হয় ব্রণ(Acne)। এটা ছাড়াও ব্রন হওয়ার পেছনে বয়স ও বংশগত কারণও থাকে। রূপচর্চা-বিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে ব্রণ(Acne) হওয়ার বিভিন্ন কারণ ও তা থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানানো হল।ব্রণ

ব্রণ হওয়ার বিভিন্ন কারণ ও এর প্রতিকার জেনে নিন

ব্রণের কারণ

জিনগত: বাবা অথবা মা যে কারও কৈশরে ব্রণের সমস্যা থাকলে সন্তানেরও ব্রন(Acne) দেখা দিতে পারে।

হরমোন জনিত সমস্যা: বয়ঃসন্ধি পর্যায়ে শরীরে আন্ড্রোজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে শরীরে সিবামের মাত্রা বাড়ে এবং মুখ, পিঠ, বুক ইত্যাদিতে ব্রণ(Acne) দেখা দেয়।

জীবনযাত্রার পরিবর্তন: ধূমপান, অ্যালকোহল(Alcohol) গ্রহণ এবং অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, অপর্যাপ্ত ঘুম ইত্যাদি ব্রন সৃষ্টির অন্যতম কারণ।

মানসিক চাপ: ব্রন হওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে মানসিক চাপ(Stress)।

প্রসাধনী: তৈলাক্ত প্রসাধনীর ব্যবহারে ত্বকে ব্রন(Acne) হতে পারে।

ব্রণ প্রতিরোধের উপায়
ত্রিশ থেকে চল্লিশ বছর বয়স্ক নারীদের মধ্যেও অনেক সময় ব্রণের সমস্যা(Acne problem) দেখা দেয়। তবে এই সমস্যা একজন ভালো বিশেষজ্ঞের পরামর্শের মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। অনেক সময় প্রসাধনীর পরিবর্তন ও তা মানানসই না হওয়ার কারণে ব্রন দেখা দেয়। তাছাড়া হরমোন জনিত বিষয়ও ব্রণের জন্য দায়ী। তাই ব্রন(Acne) চিকিৎসায় এসকল বিস্তারিত তথ্য জানা প্রয়োজন।

চিকিৎসা
সাধারণত, ক্রিম বা মুখে খাওয়ার ওষুধ দিয়ে চিকিতৎসা করা হয়। স্যালিসাইলিক ও গ্লাইকোলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ ফেইসওয়াশ(Facewash) লোমকূপ উন্মুক্ত করতে সহায়তা করে। জেল বা ক্রিমে থাকা বেঞ্জয়েল পারক্সাইড ও রেটিনল মুখের ব্রণ(Acne) দূর করতে সাহায্য করে। ব্রণের সমস্যা বেশি হলে মুখের অ্যান্টিবায়োটিক(Antibiotics) ও রেটিনল গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়।

ব্রণ থেকে রক্ষা পেতে
– খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার পরিবর্তন ব্রন সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। ব্রন কমাতে চাইলে চিনি খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে। পাতাবহুল সবুজ শাক-সবজি(Vegetables) খেতে হবে এবং কার্বোহাইড্রেট গ্রহণের মাত্রা কমাতে হবে।

– পানি পানের পরিমাণ বাড়াতে হবে। দৈনিক তিন লিটার পানি পান শরীরে সারা বছর নানা রকম অসুখ থেকে রক্ষা করে।

– তৈলাক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করা যাবে না। প্রতিটা পণ্যে ‘নন-কমেডোজেনিক’ লেখা আছে কিনা তা দেখে নিতে হবে। এটা ব্রণ(Acne) দূর করতে সাহায্য করে।

– ব্রণ খোটানো যাবে না। সর্বোপরি চিকিৎসকের দেওয়া পরামর্শ মেনে চলুন। এতে ব্রন দ্রুত সেরে উঠবে এবং ত্বক(Skin) ভালো থাকবে।

সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Check Also

মেকআপ

দ্রুত মেকআপ করার ৮টি সহজ পদ্ধতি

রমজানে পুরো মাসব্যাপী রোজা রাখার পর শরীর থাকে ক্লান্ত। এরপর আসে ঈদ। আর সেখানে কর্মব্যস্ত ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *