এক মাস রোজা রাখার পর প্রায় সবারই খাবারের রুটিন(Routine) বদলে গেছে। অনেকের আবার আগের রুটিনে ফিরে আসতে কিছুটা সমস্যাও হচ্ছে। এটি আপনার শরীরে ওজন(Weight) নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলতে পারে। ঈদের খাবার-দাবার কিংবা অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যগ্রহণ যেন আপনার ওজন বাড়িয়ে দিতে না পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত। ওজন(Weight) কমাতে যা করা জরুরি-
ঈদের পর ওজন কমাবেন যেভাবে
প্রচুর পানি পান করতে হবে
করোনাভাইরাস মহামারির এই সময়ে পানি(Water) পানের বিষয়ে সবার মনোযোগী হতে হবে। সারাদিন বাড়িতে থাকার কারণে পরিশ্রম কম হয়, তাই পানি পিপাসাও খুব একটা লাগে না। আর এ কারণে আমরাও কম পানি পান করছি। যদি সত্যিই ওজন(Weight) নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তবে খাওয়ার আগে দুই গ্লাস পানি পান করে নিন। এটি আপনাকে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত রাখবে। এছাড়াও যখন আপনার শরীর হাইড্রেটেড হয় তখন বিশ্রামে আপনার শক্তি ব্যয় বৃদ্ধি পায়, এর অর্থ হলো আপনি ক্যালরি(Calorie) দ্রুত জ্বালান।
ধীরে খাওয়ার অভ্যাস করুন
মিষ্টি ও ডুবোতেলে ভাজা খাবার বেশি খেলে তা আপনার ওজন(Weight) বাড়বেই! আর ঈদে এ ধরনের খাবার বেশি খাওয়া হয়। তাই এই খাবারগুলো যত লোভনীয়ই হোক না কেন, ওজন কমাতে চাইলে তাতে হ্রাস টানতে হবে। তাড়াহুড়ো করে খাবার(Food) না খেয়ে, অল্প করে ধীরে খাওয়ার অভ্যাস করুন।
কী খাবেন
একমাস সংযমের পরে ঈদের দিন হঠাৎ উচ্চ-লবণ এবং চর্বিযুক্ত(Fatty) খাবার খাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়। খাবার অল্প করে খাওয়া উচিত এবং বিরতি দিয়ে খাওয়া উচিত। তবে সেই বিরতি যেন খুব লম্বা সময় ধরে না হয়। আপনি যদি ওজন ধরে রাখতে চান, তবে উচ্চ ক্যালোরি স্ন্যাকসে হাত রাখার আগে তাজা ফল এবং শাকসবজি(Vegetable) খাওয়া শুরু করুন।
৩০ মিনিট হাঁটুন
খাবারের পাশাপাশি শরীরচর্চায় মনোযোগ দিন। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লকডাউনের এই সময়ে শরীরচর্চার খুব একটা সুযোগ হয় না অনেকের। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা আপনার ওজন(Weight) ধরে রাখার ক্ষেত্রে উপকারী হবে। সারা দিন সক্রিয় থাকার জন্য কেউ ‘কথা বলার সময় হাঁটাচলা’ রুটিন অনুসরণ করতে পারেন। এরপর ধীরে ধীরে আপনার রুটিনে দড়ি লাফ এবং দৌড়ানোর অভ্যাস অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
ঘুমের দিকে নজর দিন
রমজান মাসে সাহরিতে ওঠার বিষয়টি আপনার ঘুমের রুটিন পুরোপুরি বদলে দেয়। অনেকেই জানেন না, ঘুম(Sleep) যদি পরিপূর্ণ না হয় তবে তা আপনার ওজন(Weight) কমানোর ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলতে পারে! তাই প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ঘুম নিশ্চিত করুন।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।