মেকআপ করার আগে যে কাজগুলো করলে স্কিনের ক্ষতি হবে না

মেকআপ(Makeup) এমনই একটি শক্তিশালী হাতিয়ার, যা মহিলাদের আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উপস্থাপিত করতে সাহা। তবে মেকআপ(Makeup) আমাদের মুখে এক ঝলমলে আভা এনে দেয় ঠিকই কিন্তু এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলি কিন্তু ত্বকের ক্ষতিও করতে পারে, বিশেষত যদি আপনার ত্বক(Skin) সংবেদনশীল বা সেনসেটিভ হয়।

মেকআপ করার আগে যে কাজগুলো করলে স্কিনের ক্ষতি হবে না

তবে মেকআপ করেও “সুখী এবং স্বাস্থ্যকর ত্বক” পেতে অবশ্যই মেনে চলুন কিছু টিপস। মেকআপ(Makeup) করার আগে আপনার ত্বকের যত্ন(Skin care) নেওয়া বা ত্বককে সঠিকভাবে প্রস্তুত করা খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আপনার ত্বকের ওপর একটা ঢাল হিসাবে কাজ করে এবং মেকআপের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে ত্বককে বাঁচাতে সাহায্য করে। সুতরাং আপনি আপনার ত্বকের প্রস্তুত করতে এই পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে পারেন।

১. একটি সঠিক ক্লিনজার বাছুন সঠিক প্রয়োগ করুনঃ
আপনার ত্বক(Skin) সংবেদনশীল হলে ত্বকের জন্য একটি সঠিক ক্লিনজার(Cleanser) নির্বাচন করা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য একটি পিএইচ ব্যালান্সড ক্লিনজার বেছে নিন, তবে সর্বদা কম পিএইচ-ভিত্তিক ক্লিনজার ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়, যা শীতকালেও আমাদের ত্বকের ওপর সুন্দর কাজ করে। শীতে একটা সময় এসে যখন ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, তখন এই ধরণের ক্লিনজার(Cleanser) আমাদের ত্বককে হাইড্রেট করতে সহায়তা করে। আমাদের ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য সাধারণত ৪.৫ থেকে ৬- এর মধ্যে থাকে, সুতরাং এমন যে কোনও ক্লিনজার বেছে নিতে পারেন, যার পিএইচ ভারসাম্য ৫ বা ৫.৫।

আপনি যদি ব্রণর সমস্যার সম্মুখীন হন তবে কম পিএইচ ব্যালেন্স-যুক্ত ক্লিনজার(Cleanser) আপনার পক্ষে সবচেয়ে ভালো। তবে যদি আপনার নর্মাল স্কিন হয়, যেমন খুব শুষ্ক নয় এবং খুব তৈলাক্তও নয়, তবে এমন কোনও ক্লিনজার বেছে নিন যা আপনার ত্বকের পক্ষে সবচেয়ে উপযুক্ত। এখন আপনার জন্য উপযুক্ত ক্লিনজার(Cleanser) বাছাই করার পরে এটি আপনার মুখ এবং ঘাড়ে প্রয়োগ করুন, প্রোডাক্টের গায়ে বর্ণিত নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন এবং আপনার মুখ এবং ঘাড় ভালো করে পরিষ্কার করে ফেলুন।

২. এক্সফোলিয়েট স্ক্রাব ব্যবহার করে মৃত কোষগুলি পরিষ্কার করুনঃ
ক্লিনজার ময়লা পরিষ্কার করে, তবে মৃত কোষ নয়। মৃত কোষগুলি মূলত তন্তুযুক্ত প্রোটিন(Protein) কেরাটিনের সমন্বয়ে গঠিত, যা “কেরাটিনোসাইটস”(Keratinocytes) নামে পরিচিত।এগুলি ধীরে ধীরে ত্বকের উপরে উঠে যায় এবং ত্বকের বাইরের স্তরে পৌঁছায় এবং সেখানে তারা মারা যায় এবং মৃত কোষের বিভিন্ন স্তর তৈরি করে।

যা “স্ট্রেটাম কর্নিয়াম” (stratum corneum) নামে পরিচিত যা অতিরিক্ত তেল তৈরি করে, পোরসগুলির মুখ আচকে দেয়, ব্রণ এবং আরও অনেক কারণ তৈরি করে যার জন্য ত্বকে এক্সফলিয়েট করাটা আবশ্যক।এর জন্য আপনারা ত্বকের উপযুক্ত এক্সফোলিয়েটিং স্ক্রাব বেছে নিতে পারেন যা কোমল এবং মৃদু।এক্সফোলিয়েটিং স্ক্রাব নির্বাচনের পরে তা আস্তে আস্তে বৃত্তাকারভাবে আপনার মুখ এবং ঘাড়ে এটি প্রয়োগ করুন।

৩. সিরাম অ্যাপ্লাই করুনঃ
এক্সট্রাফিয়েশনের পরবর্তী পদক্ষেপ হল সিরাম প্রয়োগ করা, এতে আপনার ত্বকে ভিটামিন(Vitamins) এবং অন্যান্য সক্রিয় উপাদানগুলিকে গভীরভাবে প্রবেশ করতে সহায়তা করে। সিরাম মূলত একটি খুব হালকা ময়েশ্চারাইজার যা আপনার ত্বকে শোষিত হয় এবং ত্বককে স্মুদ করে তোলে, পোরসগুলি কম করে,আর্দ্রতার মাত্রা বাড়ায় এবং বলিরেখার মতো বড় সমস্যাকে হ্রাস করে। মসৃণ ত্বকের জন্য ভিটামিন সি(Vitamin C) রয়েছে এমন সিরাম কিনতে পরামর্শ দেওয়া হয়।

৪. ময়শ্চারাইজার অ্যাপ্লাই করুনঃ
একটি ভাল ময়শ্চারাইজার প্রয়োগ করুন যা এসপিএফ-যুক্ত এবং যা সারাদিন আপনার ত্বককে হাইড্রেশন(Hydration) প্রদান করে। তবে যদি আপনার ময়েশ্চারাইজারটি এসপিএফ-যুক্ত না হয়, তাহলে ময়েশ্চারাইজার প্রয়োগের পরে সানস্ক্রিন প্রয়োগ করতে পারেন।এটি মেকআপ(Makeup) প্রয়োগের আগে তার জন্য একটি মসৃণ বেস হিসাবে কাজ করবে। নিজের ত্বক অনুসারে সঠিক ময়েশ্চারাইজারটি বেছে নিন।

৫. অ্যাপ্লাই করুন একটি ভালো মানের প্রাইমারঃ
মেকআপ অ্যাপ্লাইয়ের আগে একটি ভালো মানের প্রাইমার(Primer) অবশ্যই ব্যবহার করুন, প্রাইমার আপনার ত্বককে মেকআপ(Makeup) করার জন্য খুব সুন্দর একটা বেস তৈরি করে দিতে সাহায্য করে, সেইসঙ্গে আপনি যে ময়েশ্চারাইজারটি অ্যাপ্লাই করেছেন, সেটিকেও ধরে রাখতে সাহায্য করে। বাজারচলতি একটা ভালো প্রফেশনাল প্রাইমার অবশ্যই ব্যবহার করুন।

সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।