কথায় বলে, অন্ধকার রাতে টর্চ লাইট এবং বৃষ্টির দিনে ছাতা(Umbrella) সবচেয়ে ভালো বন্ধু। ছাতা যে শুধু বৃষ্টিতেই কাজে দেয় তা নয়, তীব্র রোদেও ছাতা উপকারী। অর্থাৎ রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে ছাতা(Umbrella) সঙ্গে রাখা ভালো। কিন্তু চাইলেই সব সময় ভালো ছাতা পাওয়া যায় না। দেখেশুনে তারপর কিনতে হয়।
বাজারের ভালো ছাতা চিনবেন যেভাবে
একসময় ছাতা বলতে শুধু কালো কাপড়ের কাঠের ডাটের ছাতাই মানুষ চিনত। দিন বদলেছে। সবকিছুতেই লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। ফলে এ যুগে এসে ছাতা(Umbrella) গেছে বদলে। এখন বাজারে বিভিন্ন রঙের ছোট-বড়, মাঝারি আকৃতির ছাতা পাওয়া যায়। এমনকি ছেলে, মেয়ে, বয়স্কদের জন্যও রয়েছে মনকাড়া আলাদা নকশার ছাতা।
আমাদের দেশে ছাতা আমদানিকারকরা বিভিন্ন দেশ থেকে ছাতা নিয়ে আসার পর সেগুলো তাদের নিজস্ব নামকরণে বাজারজাত করে। যেমন শংকর, রহমান, মুন, চেরী আসে চীন থেকে। মার্টিন, রেলি ব্রাদার্স ছাতা আনা হয় মিয়ানমার থেকে। দেশীয় ব্র্যান্ডের মধ্যে শরীফ ছাতার কদর রয়েছে।
ছাতা তৈরি হয় বিভিন্ন ধরনের কাপড়(Cloth) দিয়ে। তবে প্যারাসুটের কাপড় অথবা বেলপেকের কাপড় দিয়ে তৈরি ছাতাগুলো ভালো মানের। কেননা এই ধরনের কাপড় সহজে ছিদ্র(Hole) হয় না এবং নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। এছাড়া বেশ কিছু ছাতা রয়েছে যেগুলোতে দুই স্তরের কাপড় ব্যবহার করা হয়। এ ক্ষেত্রে রোদ-বাদলের দিনগুলোতে ছাতার বাইরের কাপড় গরম কিংবা ভেজা থাকলেও ভেতরের কাপড়(Cloth) একই রকম থেকে যায়।
ছাতার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান শিক। শিক যদি কম থাকে অথবা নিম্নমানের হয় তাহলে হালকা বৃষ্টি কিংবা তুফানে ছাতা উল্টে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই শিক যতো বেশি থাকবে ছাতা তত মজবুত(Strong) হবে। শিকের ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় হলো স্টিলের শিক ভেজা থাকলে মরিচা পড়ে নষ্ট হয়ে যায়। স্টেইনলেস স্টিলের শিক, অ্যালুমিনিয়ামের(Aluminum) শিকগুলো বেশ উন্নত মানের। তাছাড়াও শিকের সাথে ফাইবার সংযুক্ত করে দেওয়া ছাতাগুলোও টেকসই। এই ধরনের শিকগুলোতে সহজে মরিচা পড়ে না।
একটি ছাতা ব্যবহার করে তখনই আরাম পাওয়া যায় যখন ছাতার হাতল মজবুত থাকে এবং ধরে তৃপ্তি হয়। কিছু ছাতা রয়েছে যেগুলোতে কাঠের হাতল ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের হাতল ভিজে গেলে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। প্লাস্টিকের(Plastic) হাতলগুলো টেকসই, পাতলা এবং মজবুত।
ছাতা কেনার আগে উল্লেখিত বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখলে আপনাকে অন্তত ঠকতে হবে না।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।