তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের সমস্যা(Acne problems) বেশি হয় একথা সবসময় সত্যি নয়। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার না করা, বারবার মুখ ধোয়া বা বেশি ব্রণ হওয়ার মতো বিষয়গুলো তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে বলা হলেও সব ধারণা ঠিক নয়।
তৈলাক্ত ত্বক নিয়ে প্রচলিত কিছু ভুল ধারণা
ধারণা-১: তৈলাক্ত ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের প্রয়োজন নেই
ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সব ধরনের ত্বকেই ময়েশ্চারাইজার(Moisturizer) ব্যবহার করা প্রয়োজন, তৈলাক্ততাও এর ব্যাতিক্রম নয়।
“তৈলাক্ত ত্বক(Oily skin) নিয়ন্ত্রণে রাখার মূল চাবিকাঠি হল অন্যান্য পণ্য থেকে বাড়তি তেল যোগ না করে আর্দ্র রাখা। আর্দ্রতার অভাবে ত্বক আরও বেশি তেল নিঃসরণ শুরু করে”, বলেন মুম্বাইয়ের ‘অ্যাম্ব্রোসিয়া আইস্থেটিক্স’য়ের প্রতিষ্ঠাতা ও ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা. নিকেতা সোনাভেন।
ফেমিনা ডট্ইন’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, “তাই তৈলাক্ত ত্বকের জন্য হালকা ও লোমকূপ বন্ধ করবে না এমন ময়েশ্চারাইজার(Moisturizer) ব্যবহার করা উচিত।”
ধারণা-২: তৈলাক্ত ত্বক অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের প্রতিচ্ছবি
খাদ্যাভ্যাসের প্রতিচ্ছবি পড়ে আমাদের সার্বিক স্বাস্থ্যের ওপর। তার মানে এই নয় যে, তৈলাক্ত ত্বক(Oily skin) মানেই অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের অভ্যস্ততা। বংশগতি ও পরিবেশ কারণেও ত্বক তৈলাক্ত হতে পারে।
ডা. সোনাভেন বলেন, “বংশগতি, হরমোন এমনকি পরিবেশগত বিষয়ও ত্বক তৈলাক্তার জন্য দায়ী। আর এসব মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস।”
ধারণা-৩: নিয়মিত এক্সফলিয়েট করা সিবামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না। ত্বক ভালো রাখতে এক্সফলিয়েট করা জরুরি কিন্তু তা প্রতিদিন নয়। অতিরিক্ত এক্সফলিয়েট করলে ত্বক আরও বেশি তেল নিঃসরণ করে এবং একইভাবে দিনে দুবারের বেশি মুখ ফেইশওয়াশ(Facewash) দিয়ে পরিষ্কার করলে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল বা সিবাম কমে গিয়ে শুষ্কতার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ডা. সোনাভানে বলেন, “তৈলাক্ত ত্বক এক্সফলিয়েট করে ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস এবং লোমকূপের ময়লার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ঠিকই কিন্তু অতিরিক্ত এক্সফলিয়েট করা লালচেভাব, র্যাশ এমনকি বাড়তি সিবাম নিঃসরণের জন্য কারণ হতে পারে।”
ধারণা-৪: এসপিএফ ব্যবহার ত্বককে আরো তৈলাক্ত করে তোলে
তৈলাক্ত ত্বকও সূর্যালোকে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাই রোদে পোড়া থেকে বাঁচতে সানস্ক্রিন(Sunscreen) ব্যবহার করা জরুরি। এই ধরনের ত্বকে জেল বা ‘ম্যাটিফাইং’ সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উপকারী, এতে বাড়তি সাদা বা ফ্যাকাশে ভাব দেখা দেয় না ও বাড়তি তেল নিঃসরণ হয় না। পাশাপাশি সূর্যালোক থেকেও সুরক্ষা পাওয়া যায়।
ধারণা-৫: তৈলাক্ত ত্বক মানেই ব্রণ
তৈলাক্ত ত্বকে সিবাম লোমকূপে আটকে থেকে তেল ও ময়লা আটকে ফেলে। এছারাও মৃত কোষ লোমকূপে জমা বেঁধে ব্রণ(Acne) ও ‘ব্রেকআউট’ সৃষ্টি করতে পারে। তবে ব্রণ হওয়ার এটাই একমাত্র কারণ নয়।
হঠাৎ করে ত্বকে ব্রণের সমস্যা দেখা দিলে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া ও ত্বক(Skin) উপযোগী প্রসাধনী ব্যবহার করে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।