সঠিক পণ্য ব্যবহার না করলে তৈলাক্ত ত্বক(Oily skin) বেশি চিটচিটে হয়ে যেতে পারে। তাই তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারিদের বরাবর বাড়তি সচেতন থাকতে হয়। ফেমিনা ডটইন’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীদের জন্য প্রয়োজনীয় কয়েকটি উপাদান সম্পর্কে জানানো হল।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য চারটি প্রয়োজনীয় জিনিস
তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে দুইটি বিষয় কখনই ভোলা যাবে না, প্রথমত নিয়মিত ত্বকের যত্নে এর সঠিক পরিচর্যা করা এবং প্রসাধনী(Cosmetic) হিসেবে তেলমুক্ত ও চিটচিটে হয় না এমন পণ্য ব্যবহার করা।
ব্লটিং পেপার
তৈলাক্ত ত্বকের ঝটপট তেলতেলে ভাব কমাতে ব্লটিং পেপার উপকারী। এই কাগজগুলো দ্রুত বাড়তি তেল শুষে নেয় এবং ম্যাটভাব আসে। মেইকআপ(Makeup) করা বা ছাড়া যেকোন অবস্থাতেই এই পেপারগুলো কাজ করে। তাই তৈলাক্ত ত্ব‘কের অধিকারীরা সবসময় হাতের নাগালে ব্লটিং পেপার রাখতে পারেন।
ম্যাটিফাইং লুজ পাউডার
তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীদের ঝটপট তেলতেলেভাব কমাতে লুজ পাউডার বেশ কার্যকর। বাইরে যাওয়ার সময় ফাউন্ডেশন(Foundation) ব্যবহার না করলেও ময়েশ্চারাইজার বা সানব্লক ব্যবহারের পরেও কেবল লুজ পাউডার ব্যবহার করা যায়। এতে মুখের তেলতেলে ভাব কমে ও দীর্ঘক্ষণ দেখতে সতেজ লাগে। তাছাড়া দিনের যেকোন সময়ই পুনরায় তা ব্যবহার করা যায়।
ক্লে মাস্ক
তৈলাক্ত ত্ব‘কের জন্য ক্লে মাস্ক বেশ চমৎকার কাজ করে। এতে মুখের বাড়তি তেল শুষে নেয়। ফলে দেখতে সতেজ লাগে। ত্বককে ডেটক্স করতে ও দ্রুত ভালো ফলাফল পেতে ক্লে মাস্ক উপকারী। এটা লোমকূপ ময়লা ও জীবাণু মুক্ত রাখে এবং ব্রণ, ব্ল্যাক হেডস(Blackheads) ইত্যাদি হওয়ার সমস্যা কমায়।
অয়েল ফ্রি ফোমিং ক্লিঞ্জার
ত্বক ভালো রাখতে উপযুক্ত ফেইসওয়াশ(Facewash) ব্যহারের বিকল্প নেই। তৈলাক্ত ত্বকে তেল ভিত্তিক, ক্রিম বা দুধের ক্লিঞ্জার ব্যবহার করা ঠিক নয়। এই ধরনের ত্বকে তেলমুক্ত ফোমিং ফেইসওয়াশ ব্যবহার করা উচিত। ফলে প্রসাধনীর মাধ্যমে বাড়তি তেল যোগ না করেই ত্বক(Skin) ভালো মতো পরিষ্কার করা যায় এবং ব্রণের ঝুঁকি কমে।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।