করোনা থেকে শরীর সেরে উঠলেও চুলে থেকে যাচ্ছে হাজার এক সমস্যা। পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে জাঁকিয়ে বসেছে চুল পড়ার(Hair fall) রোগ। এমন সমস্যা থেকে রেহাই পেতে কী করবেন ভাবছেন তা ঠাওর করতেই দিন শেষ।
কোভিডের পর চুল ঝড়ছে বেশি? জেনে নিন সমাধান
হেয়ার স্পেশালিস্টদের মতে, চুলের যত্নে এক এবং অদ্বিতীয় নারকেল তেল। এর প্রাকৃতিক উপকরণ শুধু চুল পড়া(Hair fall) কমায় না, চুলের স্বাস্থ্যও বজায় রাখে। এর সাথে আরো একটি উপাদান যোগ করে নিন আমলা পাউডার। কারণ এতেও রয়েছে দুর্দান্ত কিছু উপকারিতা।
১. চুল পড়া প্রতিরোধে আমলা পাউডারের জুড়ি মেলা ভাড়। কারণ আমলায় থাকা ভিটামিন সি(Vitamin C) সরাসরি চুলের ফলিকলসে কাজ করে যা চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, চুলকে মজবুত রাখে, পুষ্টি জোগায়। পাশাপাশি চুল স্ট্রেট রাখে ও ক্ষতিগ্রস্ত চুলকে কন্ডিশন করে ও চকচক মোলায়েম করে তোলে। তাই শ্যাম্পু করার আগে সপ্তাহে ২-৩ দিন ব্যবহার করুন আমলা পাউডারের হেয়ার প্যাক(Hair pack)।
২. কোভিড পরবর্তী চুল পড়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এক অন্যতম হাতিয়ার হিসাবে বেছে নিন কোল্ড প্রেসড নারকেল তেল(Coconut oil)। এতে থাকা আয়রন ও পটাশিয়াম রুক্ষ শুষ্ক ত্বকের জন্য একটি ভাল ময়েশ্চারাইজার এবং কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও এই তেল খুশকি কমাতে কাজ করে, ত্বকের অ্যালার্জি এবং ফুসকুড়ির বিরুদ্ধে লড়াই করে। পাশাপাশি চুল পাতলা হওয়া, চুল পড়া(Hair fall) এবং কুঁচকে যাওয়াতেও সাহায্য করতে পারে। তাই সপ্তাহে ২-৩ দিন মাথার তালুতে ভালো করে নারকেল তেল মাখুন।
নারকেল তেল এবং আমলা পাউডার ছাড়া যেসব বিকল্প ব্যবহার করতে পারেন-
চুলের যত্নে ডিমও বেশ কার্যকরী ভূমিকা নেয়। ডিমে থাকা প্রোটিন চুলের গোড়া মজবুত রাখে। যা চুল পড়া(Hair fall) প্রতিরোধ করে। তাই রোজকার ডায়েটে ডিম রাখুন কিংবা প্রতিদিন ডিম না খেলে চুলের গোড়ায় ডিম(Egg) লাগাতে পারেন এতে চুলের বৃদ্ধি ভালো হয়।
মাছের তেলে থাকা ওমেগা-৩(Omega-3) চুলের জন্য খুবই উপকারী। যা অনেকেরই অজানা। এটি চুল গজানোর হার বাড়িয়ে দেয় দ্বিগুন হারে। তাই খাওয়া দাওয়ার পাশাপাশি ইনটেক করুন মাছের তেলের ক্যাপসুল। এটি যেকোনো ওষুধের দোকানেই পাওয়া যায়।
এছাড়াও চিকিৎসকদের মতে চুলের স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আয়রন, ক্যালশিয়াম(Calcium) ও ভিটামিন জাতীয় খাওয়ার খাওয়া। তাই রোজকার খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে ভাত, ডাল, ঘি, পনির, ছানা, বাটার, ফল, ডিম।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।