Home / সেক্স লাইফ / দ্রুত বীর্যপাত রোধে ঘরোয়া চিকিৎসা

দ্রুত বীর্যপাত রোধে ঘরোয়া চিকিৎসা

প্রি-ম্যাচিউর ইজেকুলেশন হলো দ্রুত বীর্যপাত (Ejaculation)। যদি নিয়মিত নারী-পুরুষের মধ্যে ইচ্ছার চেয়ে দ্রুত বীর্যপাত হয়। অর্থাৎ যৌনসঙ্গম শুরু করার আগেই কিংবা যৌনসঙ্গম শুরুর একটু পরেই বীর্যপাত ঘটে। তাহলে যে সমস্যাটি বোঝা যাবে তার নাম প্রি-ম্যাচিউর ইজেকুলেশন। প্রি-ম্যাচিউর ইজেকুলেশন একটি সাধারণ যৌনগত সমস্যা। প্রায় মানুষের মধ্যে এ রোগটি লক্ষ্য করা যায়। তবে হোমিওপ্যাথি (Homeopathy) চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।দ্রুত বীর্যপাত

দ্রুত বীর্যপাত রোধে ঘরোয়া চিকিৎসা

উপসর্গ : পুরুষের বীর্যপাত হতে কতটা সময় নেবে সে ব্যাপারে চিকিৎসা বিজ্ঞানে আদর্শ মাপকাঠি নেই। দ্রুত বীর্যপাতের প্রাথমিক লক্ষণ হলো নারী-পুরুষ উভয়ের পুলক লাভের আগেই পুরুষটির বীর্যপাত (Ejaculation)। ঘটে যাওয়া। এ সমস্যা সব ধরনের যৌনতার ক্ষেত্রে ঘটতে পারে। যেমন- হস্তমৈথুন বা যৌনমিলনের সময়।

কারণ : কী কারণে দ্রুত বীর্যপাত হচ্ছে তা নিরূপণ করতে বিশেষজ্ঞরা এখনও পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। একসময় ধারণা করা হতো, এটা সম্পূর্ণ মানসিক ব্যাপার। কিন্তু বর্তমানে জানা যায়, দ্রুত বীর্যপাত (Premature ejaculation) হওয়া একটি জটিল বিষয় এবং যার সঙ্গে মানসিক ও জৈবিক দুটোরই সম্পর্ক রয়েছে।

মানসিক কারণ : কিছু চিকিৎসক বিশ্বাস করেন, প্রথম বয়সে যৌন (Sexual) অভিজ্ঞতা ঘটলে তা এমন একটি অবস্থায় পৌঁছে যে, পরবর্তী যৌন জীবনে সেটা পরিবর্তন করা কঠিন হতে পারে।

যেমন :
১। লোকজনের দৃষ্টিকে এড়ানোর জন্য তড়িঘড়ি বা তাড়াতাড়ি করে চরম পুলকে পৌঁছানোর চেষ্টা।

২। অপরাধ বোধ, যার কারণে যৌনক্রিয়ার সময় হঠাৎ করেই বীর্যপাত ঘটে যায়। অন্য কিছু বিষয়ও আপনার দ্রুত বীর্যপাত (Premature ejaculation) ঘটাতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে-

পুরুষাঙ্গের শিথিলতা : যেসব পুরুষ যৌনমিলনের সময় তাদের লিঙ্গের উত্থান ঠিকমতো হবে কি না কিংবা কতক্ষণ লিঙ্গ উত্থিত অবস্থায় থাকবে এসব বিষয় নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করলেও দ্রুত বীর্যস্খলন ঘটে।

দুশ্চিন্তা : অনেক পুরুষের দ্রুত বীর্যপাতের একটি প্রধান কারণ দুশ্চিন্তা। যৌনকর্ম (Sexual activity) ঠিকমতো সম্পন্ন করতে পারবেন কি না তা নিয়েই যত দুশ্চিন্তা। আবার অন্য কারণেও হতে পারে। দ্রুত বীর্যপাতের আরেকটি প্রধান কারণ হলো অতিরিক্ত উত্তেজনা।

জৈবিক কারণ : বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, কিছুসংখ্যক জৈবিক বা শারীরিক কারণে দ্রুত বীর্যপাত ঘটতে পারে।

এসব কারণের মধ্যে রয়েছে-
১। হরমোনের অস্বাভাবিক মাত্রা।
২। মস্তিষ্কের রাসায়নিক উপাদান বা নিউরোট্রান্সমিটারের অস্বাভাবিক মাত্রা।
৩। বীর্যস্খলনে অস্বাভাবিক ক্রিয়া।
৪। থাইরয়েড (Thyroid) গ্রন্থির সমস্যা।
৫। প্রোস্টেট অথবা মূত্রনালীর প্রদাহ ও সংক্রামণ।

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় : দ্রুত বীর্যপাতে ঝুঁকি বাড়াতে পারে যেসব বিষয় –

পুরুষাঙ্গের শিথিলতা : লিঙ্গ ঠিকমতো উত্থিত না হওয়া বা মাঝে মাঝে উত্থিত হওয়া অথবা উত্থিত হয় কিন্তু বেশিক্ষণ এ অবস্থায় না থাকা। এটা দ্রুত বীর্যপাত ঘটানোর ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। যৌনসঙ্গমের সময় লিঙ্গের উত্থান অবস্থা বেশিক্ষণ থাকবে না। এমন ভয়ও দ্রুত বীর্যপাত (Ejaculation) ঘটাতে পারে।

স্বাস্থ্যগত সমস্যা : যদি এমন স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকে যার কারণে যৌনমিলনের সময় উদ্বেগ অনুভব করে যথা- হৃদরোগ থাকে। এতেও দ্রুত বীর্যপাতের ঘটনা ঘটতে পারে।

মানসিক চাপ : আবেগজনিত কারণ কিংবা মানসিক চাপ দ্রুত বীর্যস্খলনের ব্যাপারে ভূমিকা রাখে।

জটিলতা : যদিও দ্রুত বীর্যপাত (Ejaculation) আপনার মারাত্মক স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের ঝুঁকি বাড়ায় না। কিন্তু এটা ব্যক্তিগত জীবনে ধস নামাতে পারে। যেমন-সম্পর্কে টানাপড়েন। দ্রুত বীর্যপাতের সাধারণ জটিলতা হলো যৌনসঙ্গিনীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি।

প্রতিরোধ : দ্রুত বীর্যপাতের কারণে যৌনসঙ্গিনীর সঙ্গে ঠিকমতো যোগাযোগ বন্ধন গড়ে উঠতে নাও পারে। চরম পুলকে পৌঁছতে পুরুষের তুলনায় নারীর দীর্ঘ উদ্দীপনার প্রয়োজন হয় আর এই পার্থক্য একটা দম্পতির মধ্যে যৌন অসন্তুষ্টি ঘটাতে পারে। অনেক পুরুষ যৌনমিলনের সময় চাপ অনুভব করেন বলে দ্রুত বীর্যপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

নারী ও পুরুষ একে অপরকে বুঝতে পারলে দু’জনের জন্যই যৌন আনন্দ লাভ করা সহজ হয়। এতে উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তাও দূর হয়। যদি সঙ্গিনীর কাছ থেকে যৌনসুখ (Sexual pleasure) লাভ না করেন তাহলে তার সঙ্গে খোলামেলা আলাপ করুন। আপনাদের মধ্যে সমস্যাটা কোথায় তা খুঁজে বের করুন এবং প্রয়োজনে একজন ভালো হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের সাহায্য নিন। এ ক্ষেত্রে সব লজ্জা ও জড়তা ঝেড়ে ফেলে খোলা মনে আলাপ করুন। দেখবেন সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

চিকিৎসা : এ রোগের চিকিসৎসার জন্য হোমিওপ্যাথিতে Agnus cast, Turnera, Lycopodium, Tribulas সহ কয়েকটি ওষুধ রয়েছে। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় একেক রোগীর একেক ধরনের ওষুধ প্রয়োগের নিয়ম রয়েছে। রোগী, রোগের লক্ষণ ও মাত্রা ভেদে এসব ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। তাই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ না করে কেউ ওষুধ সেবন করবেন না। তাহলে বিপদে পড়তে পারেন।

আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং আপনার যদি কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে শেয়ার করুন। সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন।

Check Also

যৌন জীবন

যৌন জীবন ভালো রাখে যে ১০টি খাবার

বিবাহিত জীবনের অন্যতম সৌন্দর্য হলো যৌনতা (Sex)। একটি সুন্দর ও সুখী দাম্পত্য জীবন কাটাতে যৌনতার ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *