Home / স্বাস্থ্য টিপস / শীতে ধুলাবালি থেকে বাঁচতে কী করবেন?

শীতে ধুলাবালি থেকে বাঁচতে কী করবেন?

শীতে ধুলাবালি থেকে বাঁচতে কী করবেন? আসছে শীতকাল। এই শীতে বাড়ে বায়ু দূষণ। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শ্বাসনালী ও ফুসফুস (lung)। চারিদিকে চলছে নির্মাণযজ্ঞ, যাতে দূষণ বাড়ছে আরও। যা প্রতিটি শ্বাস-প্রশ্বাস বিপজ্জনক করে তোলে। গ্রীষ্ম ও বর্ষায় বাতাস বেশি থাকে বলে ধূলিকণা কম থাকে। তবে শীতকালে তা বেড়ে যায়। তাই এ সময়ে ধুলা-বালি থেকে বাঁচতে সতর্ক হতে হবে-ধুলাবালি

শীতে ধুলাবালি থেকে বাঁচতে কী করবেন?

ধুলা-বালির কারণ
১. শীতে বাতাসের গুণগত মান খুবই খারাপ হয়ে যায়। অক্সিজেনের ঘনত্ব কমে। ফলে ফুসফুসের সমস্যা যাদের, তাদের এ সময়ে অসুখের প্রকোপও বাড়ে। অন্যদেরও সমস্যা কম হয় না। কারণ বাতাসে দূষণের মাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায়।

২. শ্বাসগ্রহণের সময় শরীরে প্রচুর ধুলা-বালি ঢোকে। তবে শ্বাসনালির নিজস্ব ব্যবস্থা আছে। তাতে ময়লা ঢুকলে পরিষ্কার করতে পারে। কিন্তু তা বেশি হয়ে গেলে প্রতিরোধ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়। কিন্তু সালফার-ডাই-অক্সাইড (Sulfur-dioxide) বা কার্বন-মনো-অক্সাইডের মতো গ্যাস শ্বাসনালীকে উত্তেজিত করে। এগুলো বেশি ঢুকলে মিউকাসের পরিমাণ বেড়ে যায়। তখন শরীরে সংক্রমণ হয়।

৩. ধুলা-বালি শ্বাসতন্ত্রের সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে হাঁপানির উদ্রেক করে। শহরে এ ধরনের রোগীর সংখ্যা বেশি। শিল্পায়ন, নগরায়ণের ফলে ঝুঁকি বাড়ছে ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজেরও। এটি দীর্ঘমেয়াদী ফুসফুসের রোগ।

৪. ধূমপায়ীদের শরীরে কার্বন-মনো-অক্সাইড (Carbon monoxide) বেশি। তাই এটি ফুসফুসের স্বাভাবিক কলাকে ধীরে ধীরে নষ্ট করে। এছাড়া কারখানার রাসায়নিকও ক্ষতির কারণ হতে পারে। একে বলে ফাইব্রোসিস বা আইএলডি।

ধুলাবালি থেকে বাঁচার উপায়
১. দূষণ ফুসফুসের সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। তাই শীতে বাড়তি সাবধানতা দরকার। যেদিন রাস্তাঘাটে ধোঁয়া-ধুলার পরিমাণ বেশি মনে হবে, সেদিন যত সম্ভব ‘ইন্ডোর অ্যাক্টিভিটি’ করতে হবে। যারা মোটরসাইকেল চালান, তাদের উচিত কাচ দিয়ে মুখ ঢাকার ব্যবস্থা থাকা হেলমেট ব্যবহার।

২. উচ্চতা কম হওয়ায় বাচ্চারা বেশি ভোগে। মাটির কাছাকাছি ধুলার পরিমাণ বেশি থাকে। ফলে ধুলা শ্বাসনালীতে বেশি ঢোকে। তাই শীতে বাচ্চাদের নিয়ে বাড়তি সাবধানতা প্রয়োজন।

৩. পানি গরম করে তার বাষ্প নাক-মুখ দিয়ে নেওয়া। বাজারে এখন খুব ভালো ইনহিলেশন সরঞ্জাম পাওয়া যায়। একটি বড় মুখওয়ালা পাত্রে পানি ফুটিয়ে গ্যাস নিভিয়ে তোয়ালে দিয়ে মুখ ঢেকে শ্বাস নেওয়া যেতে পারে। নাক দিয়ে পানি টানা যেতে পারে। এতে ভালো উপকার হয়।

৪. শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ঠেকাতে নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক ব্যবহার করা হয়। এগুলো যে শতভাগ রোগ প্রতিরোধ করতে পারে তা নয়। তবে সংক্রমণের উপদ্রব অনেকটাই কমাতে পারে।

৫. ভালো মানের মাস্ক পরা যেতে পারে। ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে মাস্ক কিনতে হবে। মনে রাখত হবে, মাস্ক (Mask) ব্যবহার করলেও মাইক্রো প্লাস্টিকের মতো ক্ষুদ্র কণা ঢোকে। যারা ধুলা-বালুর মধ্যে কাজ করেন, যেমন রাস্তা বা ভবনের শ্রমিক, তারা বিশেষ মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।

আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং আপনার যদি কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে শেয়ার করুন। সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন।

Check Also

কফি

দিনে কত কাপ কফি পান করা স্বাস্থ্যসম্মত

ফি অনেকেরই পছন্দের। কফি (Coffee) মস্তিষ্কের তীক্ষ্ণতা এবং সতর্কতা বাড়াতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ঘুম ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *