Home / বিউটি টিপস / শীতের শুরুতে ত্বকের যত্ন

শীতের শুরুতে ত্বকের যত্ন

শীতের শুরুতে ত্বকের যত্ন । শীতকালে ত্বককে ময়েশ্চারাইজড রাখা অত্যন্ত জরুরি। অনেকের ত্বক (Skin) এতটাই রুক্ষ যে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারেও ভালো ফল পাওয়া যায় না। ত্বকে চলে আসে ক্রেকনেস। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে নারিকেল তেল, অলিভ ওয়েল, মধু ও শশা এসব প্রাকৃতিক উপাদানমিশ্রিত ময়েশ্চারাইজার (Moisturizer) ব্যবহার করলে অনেক ভালো ফল পাওয়া যায়। শীতকালে গরম পানিতে গোসল করলে মাংসপেশিতে স্বস্তি পাওয়া যায়। কিন্তু মুখের ত্বক ড্রাই হয়ে যায়, তাই তা ব্যবহার না করাই ভালো। সে ক্ষেত্রে গরম বা ঠান্ডা পানির পরিবর্তে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করা উচিত।ত্বকের যত্ন

শীতের শুরুতে ত্বকের যত্ন

শীতকালে গোসলে বডি ওয়াশ বা সাবান ময়েশ্চারাইজযুক্ত নির্বাচন করা উচিত। এতে বডির ত্বক (Skin) রুক্ষ হবে না। আর একটা বিষয় মনে রাখবেন যাদের বডি ময়েশ্চারাইজিংয়ের অভ্যাস নেই তারা অবশ্যই গোসলের পর ভেজা শরীরে বডি ময়েশ্চারাইজারের সঙ্গে বেবি ওয়েল মিশিয়ে ম্যাসাজ করবেন, এতে আপনার ত্বক (Skin) হয়ে উঠবে বেবি সফট।

যদিও বা এটা মানা সম্ভব না হয় তবে ফেস প্যাক ব্যবহার করতে পারেন ত্বকের জেললা ধরে রাখতে।

১। ডিম ও মধুর ফেস প্যাক
ডিমের সাদা অংশ ও তিন চামচ মধু (Honey) মিশিয়ে নিন। ফেসে ২ মিনিট নিচ থেকে হালকাভাবে ওপরে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করার পর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। মধুকে বলা হয় প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। এতে আছে অ্যান্টিইনফ্ল্যামটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল (Antibacterial) উপাদান যা ত্বকে ব্রণজনিত কালো দাগ, ক্ষত এবং বলিরেখা (Wrinkle) কমাতে যথেষ্ট সাহায্য করে। শুধু তাই নয় এতে থাকা ভিটামিনের গুণে ত্বকে কোনো কারণে ক্ষতি হওয়া টিস্যুগুলোকে রিপেয়ার করে নতুন ত্বক পেতে সাহায্য করে। তার সঙ্গে ডিমের সাদা অংশের প্রোটিন ত্বকের মৃত কোষ সরিয়ে নতুন কোষে আর্দ্রতা পৌঁছে দেয়। তাই এ প্যাক শীতে খুবই কার্যকর। ফেস প্যাক (Face Pack) শুকিয়ে গেলে ভালো করে ঠান্ডা পানিতে ১ মিনিট হালকা ম্যাসাজ করে প্যাকটি তুলে ফেলে মুখ ধুয়ে নিন।

* যাদের ত্বকে অ্যালার্জি সমস্যা আছে তারা ডিমের পরিবর্তে টকদই ১ চামচ নিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন।

বেশি রুক্ষ ত্বকে ময়েশ্চারাইজিং প্যাক দেওয়ার পরও যদি ত্বকের রুক্ষতা না কমে তখন ঘরোয়াভাবে ত্বকের যত্ন নিতে হবে। ভিটামিন ই-ক্যাপসুলের তরল জেলটা বের করে ভালোভাবে মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখলে দারুণ ফল পাওয়া যাবে।

আর নরমাল ত্বকের জন্য প্রতিদিন বিশেষ করে রাতে ত্বকে টোনার (Toner) ব্যবহার করে সিরাম দেওয়ার পর ভিটামিন ‘ই’র তরল জেলমিশ্রিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে সকালে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললেই দেখবেন মুখের ত্বক (Skin) কেমন টান টান এবং উজ্জ্বল লাগছে।

২। চন্দন ও মধুর ফেস প্যাক
কাচের বাটিতে গুঁড়াদুধ ১ চামচ বা ৩ চা চামচ তরল ঘন দুধ তার সঙ্গে চন্দন গুঁড়া ২ চামচ, এর সঙ্গে ১ চামচ নারিকেল তেল বা অ্যামন্ড ওয়েল (Almond oil) ভালো করে মিশিয়ে মুখে হালকা ম্যাসাজ করে ১৫ মিনিট রেখে শুকিয়ে গেলে গোলাপজল দিয়ে হালকা ম্যাসাজ করে তুলে ফেলতে হবে। এ প্যাকটি সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহার করলে ব্রণজনিত দাগ, রোদে পোড়া দাগ থেকে ত্বক (Skin) রক্ষা পাবে। চন্দনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানগুলোর সমন্বয়ে গঠিত যা মুখের ত্বকের রক্ত সঞ্চালন (Blood circulation) বাড়ায়। এটি চমৎকার অ্যান্টি-এজিং উৎস হিসাবে জনপ্রিয়। যুগ যুগ ধরেই এটা বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে আসছে।

* অতিরিক্ত রুক্ষ ত্বকের জন্য, হালকা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে সিরাম দেওয়ার পর ভিটামিন ‘ই’র তরল জেলমিশ্রিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে সকালে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললেই দেখবেন মুখের ত্বকে টানটান ভাব এবং উজ্জ্বল দেখাচ্ছে।

আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং আপনার যদি কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে শেয়ার করুন। সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন।

Check Also

মেকআপ

দ্রুত মেকআপ করার ৮টি সহজ পদ্ধতি

রমজানে পুরো মাসব্যাপী রোজা রাখার পর শরীর থাকে ক্লান্ত। এরপর আসে ঈদ। আর সেখানে কর্মব্যস্ত ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *