আমাদের প্রতিদিনকার দুপুরের খাবার (Lunch) বেশ গুরুত্বপূর্ণ, তারপরও অনেকসময় নিয়ম মেনে খাওয়া হয় না। টুকটাক কিছু খেলেও, সেটা কতটা স্বাস্থ্যকরভাবে খাচ্ছেন বেশিরভাগ মানুষই তা জানে না। নিজেকে কর্মক্ষম ও সুস্বাস্থ্য বজায় দুপুরে স্বাস্থ্যকর কিছু খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। তাই চলুন, দুপুরের খাবার (Lunch) কেমন হওয়া উচিত সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
দুপুরের খাবার কেমন হওয়া উচিত
১। নিজের খাবার নিজে তৈরী করুন
অবিবাহিত কর্মজীবীদের প্রতিদিন বাইরে খাওয়ার পেছনে অতি প্রচলিত অজুহাত সকালে খাবার তৈরীর সময় হয় না। তবে আগের রাতের অতিরিক্ত খাবার (Extra food) কিন্তু পরের দিনের স্বাস্থ্যকর দুপুরের খাবার হতে পারে। ঘর থেকে আনা খাবারের দুটি বড় ধরনের সুবিধা হল এতে খরচ কমে এবং আপনি জানেন খাবারটা কতটুকু নিরাপদ। ব্রিটিশ ডায়াটেটিক অ্যাসোসিয়েশন’য়ের পুষ্টিবিদ ও মুখপাত্র গিলিয়ান কিলিনার বলেন, রেস্তোরাঁর খাবার হওয়া উচিত একেবারে শেষ উপায়। কারণ এতে থাকতে পারে অস্বাস্থ্যকর উপকরণ কিংবা রান্না করা হয়েছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কিংবা দুটোই হতে পারে। যা ক্ষতিকর এবং তৃপ্তিহীন।
২। দুপুরের খাবারে রাখুন হাই ফাইবার খাবার
আঁশে ভরপুর অর্থাৎ হাই ফাইবার খাবারগুলো (যেমন লাল আটার রুটি, হোল গ্রেইন বিস্কুট) আপনার পেট ভরা রাখবে অনেকক্ষণ। তাই সহজে খিদেও লাগবে না, অন্য খাবার কম খাওয়া হবে। সাথে রাখুন বিভিন্ন ধরনের মৌসুমি ফল (Seasonal fruit)। অস্ট্রেলীয় পুষ্টিবিদ ট্রেন্ট ওয়াটসন বলেন, আমার দুপুরের খাবারের পাশাপাশি আমি সব সময় হালকা নাশতা রাখি। কোনো মৌসুমি ফল, যে মৌসুমই হোক। সঙ্গে একটু লো ফ্যাট দই, ৪ টুকরো হাই-ফাইবার বিস্কুটের উপর হালকা করে মার্জারিন দেয়া।
৩। খাবার হোক রঙিন
নিউট্রিশন অস্ট্রেলিয়ার মতে, রঙিন খাবারে থাকে নানা ধরনের ভিটামিন (Vitamin), খনিজ, পুষ্টি উপাদান এবং ফাইটোকেমিকেলস নামের উদ্ভিজ্জ রাসায়নিক থাকে যা রোগের সঙ্গে লড়তে সহায়তা করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন ধরণের রঙিন ফল ও সবজি রাখুন।
৪। পানি পান
কিছুক্ষণ পরপর পানির বোতলে চুমুক দেয়া পানি পানের সর্বোত্তম উপায়। খাওয়ার আগে পরে অতিরিক্ত পানি (Water) পান করলে পেট ফোলাভাব দেখা দিতে পারে, হতে পরে বুক জ্বালাপোড়াও। একবেলার খাবারের সঙ্গে ২৫০ মি.লি. লিটার পানি যথেষ্ট।
৫। খাওয়ার পরে আলস্য
দুপুরের খাবার খাওয়ার পর ভাতঘুমের তীব্র ইচ্ছা কিংবা ‘ডেজার্ট’ খাওয়ার লোভ হওয়ার পেছনে দায়ী আসলে কী খেয়েছেন সেটার ওপর নির্ভর করে। ভাত, অতিরিক্ত রুটি, পাস্তা, আলু ইত্যাদি ‘কার্বোহাইড্রেইট’য়ে ভরপুর খাবারই আসলে আলসেমির কারণ।
ব্রিটিশ ডায়াটেটিক অ্যাসোসিয়েশন’য়ের পুষ্টিবিদ ও মুখপাত্র গিলিয়ান কিলিনার বলেন, তেলওয়ালা মাছ, সামুদ্রিক খাবার, লাল চালের ভাত, ওটস কেক/বিস্কুট, রঙিন সবজি ইত্যাদি হবে আদর্শ বিকল্প। ভাতের পরিমাণ কমিয়ে তরকারি বেশি করে খাওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং আপনার যদি কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে শেয়ার করুন। সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন।