শীতে পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ৫ উপায়। পিরিয়ডের ব্যথায় মাসের কয়েকটা দিন খুবই অস্বস্তিতে কাটে নারীদের। কারও অতিরিক্ত রক্তপাত (Bleeding), কারও আবার পেটে অসহ্য যন্ত্রণা। সঙ্গে দুর্বলতাও থাকে। তবে পেটে যন্ত্রণার সমস্যায় কমবেশি সকলকেই ভুগতে হয়। তবে শীতের সময়ে এই ধরনের কষ্ট বেড়ে যায়। চিকিৎসকদের তথ্যমতে, ঠান্ডায় রক্তবাহিকা, ধমনী সংকুচিত হয়ে যায়। ফলে রক্ত চলাচলে সমস্যা হলে এই ধরনের ব্যথা হতে পারে। এ ছাড়া রক্তে ভিটামিন ডি (Vitamin D)-এর অভাব হলে, শরীরচর্চা না করলে ব্যথার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
শীতে পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ৫ উপায়
আবার, শীতকালে অনেকেরই পানি খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। শরীরে পর্যাপ্ত পানির অভাবেও কিন্তু পিরিয়ডের ব্যথা (Period pain) হতে পারে। তাহলে শীতের সময়ে কী ভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন পিরিয়ডের ব্যথা, চলুন জেনে নেই কিছু উপায়।
১। শরীর উষ্ণ রাখুন
পিরিয়ডের কষ্ট থেকে আরাম পেতে শরীরকে সব সময় উষ্ণ রাখতে হবে। প্রয়োজনে মোজাও পরতে পারেন। এতে করে শরীর ঠান্ডা হওয়ার ভয় থাকবে না এবং ধমনী সংকুচিত হওয়ার সমস্যা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
২। পর্যাপ্ত পানি পান
শীতকালে অনেকেরই পানি পান করতে ইচ্ছে করে না। কিন্তু পিরিয়ড (Period) চলাকালীন যদি শরীরে পানির অভাব ঘটে, সে ক্ষেত্রে শরীর থেকে সহজে টক্সিন দূর করা যাবে না। এ ছাড়া হরমোনের মাত্রাতেও হেরফের ঘটে যেতে পারে। তাই এই সময়ে পর্যাপ্ত পানীয় খাওয়া জরুরি।
৩। হালকা শরীরচর্চা করুন
পিরিয়ড চলাকালীন ব্যায়াম (Exercise) করতে কষ্ট হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা বলেন, এই সময়ে হালকা শরীরচর্চা করলে পেটের পেশি শিথিল হয়। ফলে ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ হয়।
৪। উষ্ণ গরম পানিতে গোসল
পিরিয়ড চলাকালীন শারীরিক আড়ষ্টতা কাটাতে অনেকেই ঈষদুষ্ণ পানিতে গোসল করেন। সারা দেহের তো বটেই, পেটের পেশি শিথিল রাখতেও সাহায্য করে এই ঈষদুষ্ণ পানিতে গোসল।
৫। পুষ্টিকর খাবার
এই সময়ে বিভিন্ন ভিটামিন, প্রোটিন (Protein) এবং খনিজে ভরপুর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। পাশাপাশি, যে সমস্ত খাবার খেলে পেটের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে, সেই সব খাবার এড়িয়ে চলতে পারলে ভাল।
আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং আপনার যদি কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে শেয়ার করুন। সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন।