অস্বাভাবিক স্রাব, প্রদাহ, ইচিং ইত্যাদি ভ্যাজাইনার প্রচলিত সমস্যা। এ কথা তো আপনি জানেন। আসলে বেশিরভাগ নারীই জীবনের কোনো না কোনো সময় ভ্যাজাইনার(Vagina) সমস্যায় ভোগেন। তিনটি প্রচলিত রোগ রয়েছে যেগুলো সমস্যায় নারীরা খুবই ভুগে থাকেন। ভ্যাজাইনায়(Vagina) হওয়া তিনটি প্রচলিত রোগের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট ভেরিওয়েলহেলথ।
যে তিনটি রোগে সতর্ক হতে হবে নারীকে
ছত্রাক সংক্রমণ
ছত্রাকের কারণে ভ্যাজাইনায় সংক্রমণ খুব প্রচলিত সমস্যা। ক্যানডিডা নামের ছত্রাকের আক্রমণে এ সংক্রমণ হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা(Immunity) কম থাকা, ডায়াবেটিস হওয়া, জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ গ্রহণ, গর্ভাবস্থা ইত্যাদি কারণে ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে। চারজনের মধ্যে একজন নারী জীবনের কোনো না কোনো সময়ে এ সমস্যায় ভোগে। ইচিং, সাদাস্রাব, যৌন মিলনের সময় ব্যথা(Pain), লালচেভাব, জ্বালাপোড়া, ব্যথা, ফোলা, প্রদাহ ইত্যাদি এ রোগের লক্ষণ।
ট্রাইকোমোনিয়াসিস
এই রোগটি হয় প্যারাসাইট এবং অরক্ষিত যৌন(Sexual) সম্পর্কে কারণে। এটি নারীদের বেশ প্রচলিত সমস্যা। তবে পুরুষও কখনো কখনো এ রোগে ভোগে। হলুদাভ সাদাস্রাব, দুর্গন্ধযুক্ত ভ্যাজাইনা, যৌন সম্পর্কের সময় ব্যথা(Pain), প্রস্রাবের সময় ব্যথা, ইচিং ট্রাইকোমোনিয়াসের লক্ষণ।
ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস
ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস নারীদের প্রজনন বয়সে খুব প্রচলিত সমস্যা। একের বেশি যৌনসঙ্গী, গর্ভাবস্থা, যৌন সম্পর্কের সময় কনডম(Condom) ব্যবহার না করা ইত্যাদি এর কারণ। অস্বাভাবিক স্রাব, দুর্গন্ধ, জ্বালাপোড়া, ইচিং এই সমস্যার লক্ষণ। এ ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
প্রতিরোধের উপায়
⇒ সুতির অন্তর্বাস ব্যবহার করা।
⇒ আঁটসাঁট পোশাক না পরা।
⇒ প্যাড(Pad) কিছুক্ষণ পরপর বদলানো।
⇒ ভেজা কাপড় দ্রুত বদলে নেওয়া।
⇒ ভ্যাজাইনা(Vagina) পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
