Home / লাইফস্টাইল / প্রাকৃতিক ভাবে নিজেকে সুরভিত রাখার সহজ উপায়

প্রাকৃতিক ভাবে নিজেকে সুরভিত রাখার সহজ উপায়

রোদে ঘেমে একাকার! সেই থেকে তৈরি হয় গায়ের দুর্গন্ধ। না চাইলেও সম্মুখীন হতে হয় বিব্রতকর পরিস্থিতির। বাজারে সুগন্ধির অভাব নেই। তবে সেগুলো রাসায়নিকযুক্ত(Chemical)। ঘ্রাণও দীর্ঘস্থায়ী হয় না। সারা দিন সুরভিত থাকতে প্রাকৃতিক টোটকা হতে পারে আদর্শ। আয়ুর্বেদিক রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা ও আফরিন মৌসুমি জানালেন হাতের নাগালেই পাওয়া যায় এমন সব উপাদান দিয়েই প্রাকৃতিক(Natural) উপায়ে কীভাবে সুরভিত থাকা যায়।সুরভিত

প্রাকৃতিক ভাবে নিজেকে সুরভিত রাখার সহজ উপায়

নিমপাতা: এই আবহাওয়ায় যেহেতু খুব ঘাম(Sweat) হচ্ছে সেহেতু এমন কিছু দরকার যাতে ঘাম হবে না এবং সতেজও থাকা যাবে। সে ক্ষেত্রে নিমপাতা এক অনন্য প্রাকৃতিক উপাদান। এক লিটার পানিতে ৩ মুঠ নিমপাতা(Neem leaves) ১০-২০ মিনিট জ্বাল দিন। নিমপাতার সবুজ নির্যাসটি বেরিয়ে এলে তা গোসলের পানির সঙ্গে মিশিয়ে গোসল করে নিন।

অডিকোলন: এক বালতি পানিতে ৭-৮ ফোঁটা অডিকোলন মিশিয়েও গোসল করতে পারেন। সুরভিত ও সতেজ থাকার জন্য এটা একধরনের প্রাকৃতিক(Natural) টোনার। ওষুধের দোকানগুলোতে অডিকোলন পেতে পারেন।

গ্লিসারিন ও গন্ধরাজ লেবু: এই মিশ্রণটি গোসলের পর ব্যবহার করতে হবে। এক টেবিল চামচ গ্লিসারিনের সঙ্গে ৩ টেবিল চামচ পানি ও ১ চা-চামচ গন্ধরাজ লেবুর রস(Lemon juice) খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। শরীরের যেসব জায়গায় ঘাম(Sweat) হয় সেসব জায়গায় লাগিয়ে রাখলে সারা দিন সুরভিত থাকা যায়।

মুলতানি মাটি ও চন্দন: বাইরে যাওয়ার সময় মুলতানি মাটির সঙ্গে চন্দনের গুঁড়া(Sandalwood powder) মিশিয়ে পাফের সাহায্যে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বক সারা বেলা থাকবে স্নিগ্ধ ও সতেজ। সৌরভও হয় দীর্ঘস্থায়ী।

ল্যাভেন্ডার ও স্যান্ডেল অ্যাসেন্সিয়াল অয়েল: শ্যাম্পুর সঙ্গে ল্যাভেন্ডার ও স্যান্ডেল অ্যাসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে চুল(Hair) ধুয়ে নিলে সারা দিন চুলে বেশ ভালো একটা সুঘ্রাণ আসবে।

আমলকী, মেথি ও শিকাকাই: এই তিনটি উপকরণ এক টেবিল চামচ করে নিয়ে একসঙ্গে এক কাপ পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। এরপর সকালে এগুলোর পেস্ট তৈরি করে নিন। এরপর এই পেস্টটি চুলে লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে শ্যাম্পু(Shampoo) করে নিন। এতে করেও চুল(Hair) প্রাকৃতিকভাবে সুরভিত থাকবে।

বেলি ও গাঁদা ফুল: এখন বেলি ফুলের সময়! বেলি ফুল(Belly flowers) খুব ভালোভাবে পেস্ট করে তাতে চালের গুঁড়া, স্যান্ডেল অ্যাসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে শরীরে লাগিয়ে গোসল করার সময় ঘষে ধুয়ে ফেলুন। এতে করে শরীর থেকে খুব সুন্দর একটা সুঘ্রাণ বইতে থাকবে। সপ্তাহে একদিন এই প্যাকটি লাগাতে পারেন। যখন গাঁদা ফুলের সময় হয়, তখন গাঁদা ফুল(Marigold) দিয়ে এই প্যাকটি বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

বরিক পাউডার ও মুলতানি মাটি: বিশেষ করে যাঁরা বন্ধ ধরনের জুতা পরেন তাঁদের জন্য এটি বেশ কার্যকর। প্রথমে পা ভালো করে ধুয়ে শুকনোভাবে মুছে নিতে হবে। এরপর বরিক পাউডার ও মুলতানি মাটির(Multani soil) মিশ্রণ পায়ে লাগিয়ে জুতা বা মোজা পরে নিলে পায়ে আর দুর্গন্ধ হবে না।

দুধ ও মধু: গুঁড়ো দুধের সঙ্গে মধু(Honey) মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে তা গায়ে লাগিয়ে গোসল করার সময় প্যাকটি ঘষে তুলে ফেলুন। দুধের প্রাকৃতিক যে ঘ্রাণ রয়েছে তা আপনার শরীরকে সুরভিত রাখার সঙ্গে সঙ্গে সতেজতাও এনে দেবে। এ ছাড়াও এই প্যাকটি রোদে পোড়াভাব এবং যেকোনো ধরনের দাগও দূর করবে।

চায়ের লিকার: চায়ের লিকার জ্বাল দিয়ে এক কাপ পরিমাণ করে নিন। দুই মগ পানিতে মিশিয়ে সেই পানিটা একেবারে শেষে চুলে দিতে হবে। এতে করে চুল(Hair) যে শুধু সুরভিতই থাকবে তা নয়, বরং চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াবে ও আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে। এখন আবহাওয়ার কারণে মাথার ত্বক(Skin) ঘেমে যায়। চুল থেকে লবণ বের হয় এবং চুল রুক্ষ হয়ে যায়। ঝরঝরে ভাব আনতে তাই চায়ের লিকার ব্যবহার করা যেতে পারে।

মেথির পানি: মেথি ভিজিয়ে রেখে সেই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেললেও চুল(Hair) বেশ সুবাসিত হয়। এ ছাড়া চুলকে ঝরঝরে ও উজ্জ্বল রাখে এই মেথির পানি।

সন্ধ্যা ও স্টার: আগের দিনে যখন সুগন্ধি ছিল না, তখন বিয়ের সময় কনেকে হলুদ ও সন্ধ্যা বেটে গায়ে দেওয়া হতো। এই ঔষধি বা গাছড়ার দারুণ একটি ঘ্রাণ রয়েছে। এ রকম আরেকটি সুগন্ধিযুক্ত গাছড়া হলো স্টার যা মসলা(Spices) হিসেবেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এগুলো পানিতে জ্বাল দিয়ে আধা ঘণ্টা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। নির্যাস বেরিয়ে এলে তা গোসলের পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

লেবুপাতা ও লেমন গ্রাস: এই পাতাগুলোর নির্যাস তৈরি করে তা গোসলের পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে করে শরীরে সতেজতা ও সুঘ্রাণ আসে এবং ফুসকুড়ি, ব্রণ(Acne), ফাঙ্গাল ইনফেকশনও দূর করে। লেমন গ্রাসে এক ধরনের অ্যাসেনশিয়াল অয়েল রয়েছে যা সব ধরনের ত্বকের জন্য খুবই ভালো।

মনে রাখা ভালো
১. গরমের সময় সাধারণত দিনে দুবার গোসল করা উচিত।

২. সাবানের বদলে প্রাকৃতিক স্ক্রাবার ব্যবহার করাই ভালো। এর মধ্যে চালের গুঁড়া ও মধু(Honey) দিয়ে তৈরি স্ক্রাবটি সব ধরনের ত্বকের সঙ্গে মানিয়ে যায়।

৩. শরীরে প্রোটিনের পরিমাণ বেড়ে গেলে ঘামাচি, পুঁজ বা অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দেয়। সে ক্ষেত্রে সমপরিমাণ পুদিনাপাতা(Mint leaves), নিমপাতা ও তুলসিপাতা পানিতে জ্বাল দিয়ে সেই পানি দিয়ে গোসল করলে এই সমস্যাটি এড়ানো সম্ভব।

৪. সুঘ্রাণ মানসিক অস্থিরতা দূর করে মস্তিষ্ককে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। তাই সুরভিত থাকুন সব সময়।

দিনভর সুরভিত থাকতে পারফিউম
ব্যস্ত, একঘেয়ে দিনে মনটা ঝটপট ফুরফুরে করে তোলার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো একটু সুগন্ধি স্প্রে’র ব্যবহার। গরম হোক বা বর্ষার গুমোট করা আবহাওয়া, পছন্দের পারফিউমের সুগন্ধ নিমেষেই মনটাকে চাঙ্গা করে তুলতে পারে। গোসলের পর বাড়তি তরতাজাভাব আনতেও সেই পারফিউম(Perfume)।

ফ্লোরাল, ফ্রুটি, স্পাইসি সুগন্ধের সম্ভার থেকে বেছে নিন আপনার মনের মতো পারফিউম, ব্যস সারাদিন থাকুন সুরভিত!

তবে যত দামি সুগন্ধই হোক, একটা সময়ের পর ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে আসে। অনেকে সুগন্ধ দীর্ঘস্থায়ী করতে প্রায় গোসল করে নেন পারফিউমে। কিছু বিশেষ কৌশল মেনে চললে পারফিউমের(Perfume) সুগন্ধ সারা দিন।

গোসলের পর পারফিউম লাগান: গোসল করে বেরোনোর ঠিক পরেই পারফিউম(Perfume) লাগিয়ে নিন। হালকা গরমপানিতে গোসল করতে পারলে ভালো হয় কারণ গরমপানির স্টিম শরীরের রোমছিদ্রগুলো খুলে দেয়। গোসল করে বেরোনোর ঠিক পরেই পারফিউম লাগালে ত্বক(Skin) পারফিউম ধরে রাখতে পারে। গোসলের পর কোনও একটা সুগন্ধীহীন ময়েশ্চারাইজ়ার লাগিয়ে নিয়ে তারপর পারফিউম স্প্রে করুন।

পালস পয়েন্টে স্প্রে করুন: আগেই বলেছি, এই তথ্যটা হয়তো অনেকেই জানেন কিন্তু সবক’টা পালস পয়েন্ট কি চেনা আছে আপনার? পালস পয়েন্ট ছাড়াও শরীরের অন্য কিছু অংশে স্প্রে করলেও পারফিউম(Perfume) টেকে বেশি। কানের পিছনে, বুকের খাঁজে, পেটে, হাঁটুর পিছনে, এমনকী গোড়ালিতেও পারফিউম(Perfume) লাগানো যায়। আসলে অনেকেই শুধু শরীরের উপরের দিকে পারফিউম লাগান। কিন্তু শরীরের নিচের দিকের অংশে সুগন্ধী স্প্রে করলে স্থায়িত্ব অনেক বেশি হয় কারণ নিচের পালস পয়েন্টগুলো থেকে গন্ধটা ধীরে ধীরে উপরদিকে উঠে আপনাকে ঘিরে ফেলে, আপনি সুবাসিত থাকেনও অনেক বেশি।

পারফিউমের বোতল ঝাঁকাবেন না: অনেক সময়ই আমরা অভ্যেসবশত ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজ়ারের বোতল ঝাঁকিয়ে নিই। কিন্তু এ কাজটা পারফিউমের(Perfume) সঙ্গে করবেন না। ঝাঁকালে পারফিউমের বোতলে বাতাস ঢুকে গন্ধ ফিকে হয়ে যেতে পারে।

পারফিউম বাছুন বুদ্ধি করে: বেস নোট শক্তিশালী হলে গন্ধ দীর্ঘস্থায়ী হয়। কেনার সময় তিনটে নোট আলাদাভাবে দেখে নিন। উড, অ্যাম্বার, লেদার, মাস্কের মতো বেসনোট থাকলে পারফিউম(Perfume) স্থায়ী হয় বেশি। আপনার যদি হালকা ফ্লোরাল বা ফ্রুটি সুগন্ধ পছন্দ হয়, তা হলে ভারী বেসনোটের পারফিউম প্রথমে লাগিয়ে তার উপর হালকা সুগন্ধ লাগাতে পারেন। এ ছাড়া কেনার সময় লেবেল দেখে নিন। অডি টয়লেটের চেয়ে অডি পারফিউম(Perfume) সবসময় বেশি ভালো। কারণ অডি পারফিউম মূলত অয়েল-বেসড ফর্মুলা হওয়ার কারণে গন্ধ অনেক বেশি সময় ধরে থাকে।

পারফিউম রাখতেও হবে যত্ন করে: খুব চড়া আলো আসে বা গরম থাকে এমন জায়গায় পারফিউমের বোতল রাখবেন না। ঠান্ডা, অন্ধকার জায়গাই পারফিউমের জন্য সবচেয়ে ভালো!

নিজের সুগন্ধ তৈরি করে নিন: পছন্দের দুটো বা তিনটে পারফিউম(Perfume) মেখে তৈরি করে নিন নিজের স্বতন্ত্র সুগন্ধ। কেউ চট করে বুঝতেই পারবে না কোন পারফিউম মেখেছেন আপনি!

সুগন্ধি ব্যবহারের কায়দা কানুন
সুগন্ধি বা পারফিউম(Perfume) এর ব্যবহার শুধু অন্যের সামনে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলে ধরা তাই নয়, এর ব্যবহারে শরীর ও মন চাঙ্গা হয়ে উঠে। সারাদিন সজীবতা ধরে রাখতে সাহায্য করে সুগন্ধি। শুধু তাই নয়, সঠিকভাবে ব্যবহার করতে জানলে মনে প্রশান্তি আনে এবং কর্মজীবনেও আনে প্রফুল্ল মনোভব। তবে অনেকেই সঠিক নিয়মে সুগন্ধির ব্যবহার এখনও বুঝে উঠতে পারেননি। তাদের এই অপব্যবহারে অনেকেকেই সম্মুখীন হতে হয় বিড়ম্বনার। আজকে আমাদের আয়োজন সুগন্ধির সঠিক ব্যবহার নিয়েই। আসুন জেনে নেই সে সম্পর্কে-

১. সুগন্ধি ব্যবহারের সময় প্রথমেই খেয়াল রাখবেন, আপনি যে সুগন্ধি ব্যবহার করবেন তা নির্ভর করবে স্থান, পরিবেশ, ঋতু, সময়, উপলক্ষ্য ও আপনার মন-মেজাজের ওপর। গরমের দিনের কড়া রোদের মাঝে খুব কড়া/উগ্র সুগন্ধি ব্যবহার করতে হয় না। আবার শীতের দিনে গাঢ় ধরনের সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন।

২. কর্মস্থলে উগ্র ধরনের সুগন্ধি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। কর্মস্থলে এ ধরনের সুগন্ধি ব্যবহার করলে আপনার সহকর্মীর কাজের প্রতি মনোযোগ নষ্ট হতে পারে।

৩. খুব একটা দরকার না পড়লে সস্তা সুগন্ধি ব্যবহার করতে যাবেন না। কারণ এতে যে সুগন্ধির ব্যাহার হয় তা অনেক কড়া মানের হয়। এছাড়াও এমন সুগন্ধি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়না।

৪. স্থান বুঝে সুগন্ধি ব্যবহার করবেন। কোথাও যাবার আগে জেনে নিন সেই স্থান সম্পর্কে এবং সে অনুযায়ী পারফিউম(Perfume) ব্যবহার করুন। বদ্ধ স্থান হলে হালকা ধরনের সুগন্ধি এবং খোলা স্থান হলে গাঢ় ধরনের সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন।

৫. এছাড়াও মনে রাখবেন, যদি ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে হয়, সেক্ষেত্রে অন্য কোন প্রকারের সুগন্ধি ডিওডোরেন্টের বিকল্প হতে পারে না। তাই একাজে ডিওডোরেন্টই ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।

৬. একান্ত প্রিয়জনের সান্নিধ্যে অন্তরঙ্গ সময় কাটানোর সময় ব্যবহার ককরতে পারেন সুগন্ধি। এ সময় গাঢ়, উদ্দীপক সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন।

৭. মনে রাখবেন কাপড়ে কখনোই সুগন্ধি লাগাবেন না, এতে কাপড়ের সুতো নষ্ট হয়। এছাড়াও কিছুক্ষণ পরে মিলিয়ে যায় সুগন্ধি।

৮. এছাড়াও কোন ধরনের গয়নাতে সুগন্ধি ব্যবহার করতে যাবেন না। যেমন- মুক্তোর গহনায় যাতে সুগন্ধি না লাগে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে কারণ এতে মুক্তোর দ্যুতি নষ্ট হয়। আবার স্বর্ণালঙ্কারের উপরেও পারফিউম(Perfume) লাগাবেন না। আগে পারফিউম ব্যবহার করে নিন। এর পাঁচ মিনিট পরে গহনা পরুন।

৯. সুগন্ধি সব সময় অন্ধকারে বা ঠান্ডা সংরক্ষণ করে রাখুন, তা না হলে এর উপাদান নষ্ট হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে।

১০. এছাড়াও সুগন্ধি একটানা বেশি দিন ঘরে জমিয়ে রাখবেন না। বেশিদিন থাকলে তা আর ব্যবহারের যোগ্য থাকে না।

১১. সুগন্ধি ব্যবহার করবেন বাইরে যাবার ৫/১০ মিনিট আগে ব্যবহার করুন। বাইরে যাবার একদম আগমুহূর্তে ব্যবহার করবেন না। কিছুক্ষণ আগে ব্যবহার করলে সুগন্ধি বসে যেতে সুযোগ পায়।

এছাড়া মনে রাখবেন, তৈলাক্ত ত্বকে কিন্তু সুগন্ধি বেশিক্ষণ থাকে। তাই যাদের ত্বক(Skin) শুষ্ক তারা কোনো ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করার পর সুগন্ধি ব্যবহার করুন। এতে সুগন্ধি বেশিক্ষণ থাকবে।

পারফিউমের সুগন্ধ দীর্ঘ সময় ধরে রাখার উপায়
পারফিউম বা বডি স্প্রে ব্যবহারের পর কিছুক্ষণ যেতেই হালকা হতে থাকে সুগন্ধ। তাই দিনের শেষ পর্যন্ত পারফিউমের সুগন্ধ ধরে রাখবেন যেভাবে-

গোসলের ঠিক পর: গোসলের পরই পারফিউম(Perfume) বা ব়ডি স্প্রে ব্যবহার। এক্ষেত্রে জামা কাপড় পরার পর পারফিউম ব্যবহার করবেন।

ঘষবেন না: অনেকেই পারফিউম স্প্রে করার পর দুই কব্জি ঘষে নেন, বা আঙুলের মাথা দিয়ে কানের পিছনে ঘষতে থাকেন। এটা করলে সুগন্ধ দীর্ঘস্থায়ী হয় না।

ময়াশ্চারাইজ: পারফিউম(Perfume) ব্যবহারের পর ময়াশ্চারাইজার লাগিয়ে নিলে সুগন্ধ থাকবে বেশিক্ষণ। ত্বকের যে অংশে পারফিউম বা সুগন্ধী লাগিয়েছেন তার উপর নন-সেন্টেড ময়শ্চারাইজার(Moisturizer) লাগিয়ে নিন।

ঠাণ্ডা জায়গা: গোসলের পর ব্যবহারের জন্য অনেকেই পারফিউম বাথরুমে রাখেন। কিন্তু আলো জ্বালালে, গোসল করলে গরম বাষ্পে সুগন্ধ নষ্ট হয়ে যায়। অন্ধকার, ঠাণ্ডা, শুকনো জায়গায় পারফিউম(Perfume) রাখুন। এতে সুগন্ধ ধরে রাখতে পারবেন।

ভেসলিন: পারফিউম ব্যবহারের আগে কব্জি বা ত্বকের অন্যন্য অংশে ভেসলিন লাগিয়ে নিন। এতে আর্দ্র ত্বকে সুগন্ধ আটকে যাবে।

Check Also

মেয়ে পটানোর

পছন্দের মেয়ে পটানোর ১০টি উপায় জেনে নিন

পছন্দের মেয়ে পটানোর ১০টি উপায় জেনে নিন। জীবনে একজন সঙ্গী কে না চায়! অনেক সময় ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *