Home / রূপচর্চা / দাড়ি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন? জেনে নিন কী করে দাড়ির যত্ন নেবেন

দাড়ি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন? জেনে নিন কী করে দাড়ির যত্ন নেবেন

অনেক দিন ধরেই ভাবছিলেন দাড়ি (Beard) রাখবেন। এবার সাত-পাঁচ ভেবে দাড়ি রেখেই দিলেন। শীতের কামড় থেকেউ একটু রক্ষা পাওয়া যাবে। কিন্তু দাড়ির রেখেই তো আর কাজ শেষ হয়ে যায় না। চুলের যেমন যত্ন নিতে হয়, তেমনি দাড়িরও Care নিতে হয়। নইলে দেখবেন এই রুক্ষ, বিবর্ণ আর ময়লা দাড়ির নিয়ে আপনার বিপত্তির শেষ থাকবে না। জেনে নিন দাড়ির যত্ন(Beard care) নেবার ছোট্ট কিছু নিয়ম।দাড়ি

দাড়ি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন? জেনে নিন কী করে দাড়ির যত্ন নেবেন

অনেকেই জানেন এই মাসটা হলো নো শেভ নভেম্বর। সবসময় ক্লিন শেভড(Clean shaved) থাকেন এমন মানুষও এই মাসে দাড়ি রাখছেন এবং কিছু টাকা দান করছেন পুরুষের ক্যান্সারের গবেষণায়। কারণ যেটাই হোক, আপনি যদি দাড়িটাকে বাড়তে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তাহলে দাড়ির যত্ন নেবার এই টুকিটাকিগুলো জেনে রাখা দরকার আপনারও।

১) চুলকানি সহ্য করুন। দাড়ি গজানোর প্রথম দিকে মুখ খুব চুলকাবে। কিন্তু দাড়ি(Beard) গজানোর জন্য এটুকু আপনাকে সহ্য করে নিতেই হবে।

২) দাড়ি গজানোর জন্য বেশ কিছুটা সময় প্রয়োজন। দাড়ির দৈর্ঘ্য কমপক্ষে এক ইঞ্চি হবার আগ পর্যন্ত এটাকে ছাঁটবেন না।

৩) আপনি যদি দেখেন শেভিং(Shaving) বন্ধ করার পর ২-৩ মাস হয়ে গেছে অথচ এখনো আপনার ঠিকমতো দাড়ি গজাচ্ছে না, তাহলে হাল ছেড়ে দেওয়াই ভালো। সবারই ভালোভাবে দাড়ি গজাবে না, এটাই স্বাভাবিক। ক্লিন শেভ(Clean shave) করে ফেলুন।

৪) দাড়ি ছাঁটুন ঠিক উপায়ে। সেলুনে গিয়ে করতে পারেন। সাহস থাকলে নিজেও ছাঁটতে পারেন, তবে তার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরী। তবে আপনার দাড়ি যতো বড় বা যতো ছোটই হোক না কেন, প্রতি দুই মাসে একবার ছাঁটা ভালো।

৫) দাড়ি পরিষ্কার রাখুন। তারমানে এই নয় যে ঘাম পরিষ্কার করছেন যে সাবান দিয়ে সেটাই ঘষে নেবেন দাড়িতে। চুলের শ্যাম্পু(Shampoo) ব্যবহার করুন। সপ্তাহে ২-৩বার শ্যাম্পু করুন আপনার দাড়িতে। শুধু তাই না, কন্ডিশনারও দিতে পারেন।

৬) দাড়িতে তেল দিন। শুনে অনেকেই আমার দিকে পচা ডিম ছুঁড়ে মারার প্রস্তুতি নিতে পারেন। কিন্তু পশ্চিমা দেশে দাড়িকে স্টাইলিশ এবং সুস্থ রাখতে অনেকেই বিশেষভাবে প্রস্তুতকৃত “বিয়ার্ড অয়েল” ব্যবহার করে থাকেন। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিয়ার্ড অয়েল দেখতে পাওয়া যায়। তবে আমাদের দেশে নাও পাওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি নিজেই তৈরি করে নিতে পারে দারুণ সুগন্ধি একটা বিয়ার্ড অয়েল। আমন্ড অয়েল(Almond Oil) বা নারিকেল তেলও দিতে পারেন। স্টাইলিং এর জন্য ব্যবহার করতে পারেন জেল এবং ওয়াক্স। আর হ্যাঁ, দাড়ি নিয়মিত আঁচড়ে নিতেও ভুলবেন না।

৭) দাড়িকে সুস্থ রাখুন খাবারের মাধ্যমে। এমন কোনো খাবার নেই যেটা দাড়ির জন্য বিশেষভাবে ভালো। তবে ব্যালান্সড ডায়েট(Balanced diet) সব ক্ষেত্রেই ভালো। আর চুলের জন্য যেসব খাবার ভালো সেগুলোও খেতে পারেন। খাবার সময়ে থাকুন সাবধান। খাওয়া শেষ হবার পর দাড়ি থেকে ভালো করে মুছে নিন খাবারের গুঁড়ো এবং উচ্ছিষ্ট।

সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Check Also

শীতে রূপচর্চা

শীতে রূপচর্চা করতে নারকেল তেল ও অলিভ অয়েল

চুলচর্চায় তেল অপরিহার্য। এমনকি এ নিয়ে একটি প্রবাদও রয়েছে। তেলে চুল(Hair) তাজা। অর্থাৎ চুলের যত্ন ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *