Home / লাইফস্টাইল / কোনো কারণ ছাড়াই মন খারাপ

কোনো কারণ ছাড়াই মন খারাপ

সুখের পাশাপাশি দুঃখও জীবনের অংশ। কিন্তু যদি মন খারাপ থাকে, সেক্ষেত্রে কি কিছু করার নেই? মন খারাপ থাকলে যা করতে পারেন:মন খারাপ

কোনো কারণ ছাড়াই মন খারাপ

১। সহানুভূতিশীল বন্ধু ও আত্মীয়দের সঙ্গে বেশি সময় কাটান। সহানুভূতিশীল মানুষ অন্যের কথা গুরুত্ব দিয়ে শোনে। নিজের খারাপ লাগার কথাটি খুলে বলতে পারলে, অনেক সময় মন হালকা হয়।

২। সাধ্যের অতিরিক্ত চাপ নিতে যাবেন না। অতিরিক্ত কাজের চাপ (Work pressure) মন ও শরীরের ওপর প্রভাব ফেলে। সে কারণেও মণ খারাপ হতে পারে। কাজের ফাঁকে বিশ্রাম নিতে ভুলবেন না।

৩। যেসব কাজ আপনাকে আনন্দ দেয়, মন খারাপের সময় সেসব কাজ বেশি করে করুন। আনন্দের কাজটিও করতে ‘ভালো লাগছে না’ মনে হলেও, এক পর্যায়ে দেখবেন ভালো লাগতে শুরু করেছে। ছোটবেলার প্রিয় বইটি পড়ুন, পছন্দের মুভি (Favorite Movie) দেখুন, রান্না করুন, পুরোনো কোনো বন্ধুর সঙ্গে ফোনে গল্প করুন বা দেখা করুন, প্রকৃতির কাছাকাছি কোথাও ঘুরতে যান— খারাপ লাগা দূর করার জন্য যা করা দরকার তাই করুন।

৪। ঘর থেকে বের হোন। দূরে কোথাও যেতে হবে তা নয়। বাজার করা, শপিংয়ে যাওয়া বা একটু হাঁটার জন্য হলেও বের হোন। দিনের আলো, নরম রোদ, তাজা বাতাস গায়ে লাগলে, ব্যস্ত দিনের ক্লান্তি (Tiredness) দূর হয়। অল্প সময়ের জন্য হালকা ব্যায়ামও করতে পারেন। বেশি না, ১৫-৩০ মিনিট হাঁটাও মন ও শরীরের জন্য বেশ উপকারী।

৫। নেগেটিভ চিন্তা করা বাদ দিন। মাথায় কোনো পজিটিভ চিন্তা (Positive thinking) আসছে না? আপনার জীবনে কী কী পজিটিভ ঘটনা ঘটেছে, তার একটি লিস্ট করুন। দেখবেন, মন ভালো লাগছে। নিজেকে বলুন, আপনি সব সময় খারাপ ছিলেন না। আবারও ভালো সময় আসবে।

৬। নিজের প্রতি ধৈর্যশীল হোন। খারাপ কিছু ঘটলে নিজেকে দোষারোপ করতে থাকা বা সেটি নিয়ে বার বার ভাবা বন্ধ করুন। আত্মসমালোচনা যেন আপনার মধ্যে নেগেটিভিটি না আনে।

৭। মণ খারাপ থাকলে কোনো সিদ্ধান্ত (Decision) নেবেন না। মণ খারাপ থাকলে সাধারণত আমাদের আত্মবিশ্বাসও কমে যায়। এমন মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে খেয়াল করুন যৌক্তিক ও স্বাভাবিক চিন্তা করতে পারছেন কিনা।

৮। ভালো একটা ঘুম দিন। রাতে ভালো ঘুম না হলেও মণ খারাপ হতে পারে। অনেক সময় মনে হয়, কারণ ছাড়াই খারাপ লাগছে। আসলে সবকিছুর পেছনেই কারণ থাকে। ভালো ঘুম (Sleep) হলে, শরীর ও মন ফ্রেশ লাগতে পারে।

৯। যদি প্রায়ই এবং দীর্ঘ সময় ধরে মন খারাপ থাকে তাহলে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা হলে, কাউন্সেলিংও প্রয়োজন হতে পারে।

সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং আপনার যদি কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে শেয়ার করুন। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Check Also

হ্যাপি হরমোনের

হ্যাপি হরমোনের নিঃসরণ বাড়ায় যে ৭টি অভ্যাস

সেরোটোনিন, ডোপামিন, অক্সিটোসিন এবং এন্ডোরফিনের মতো ‘সুখী হরমোন’ আমাদের মানসিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। মস্তিষ্ক হ্যাপি ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *