Home / স্বাস্থ্য টিপস / প্রতিদিন ওটস খাওয়ার কিছু উপকারিতা জেনে নিন

প্রতিদিন ওটস খাওয়ার কিছু উপকারিতা জেনে নিন

সর্বদা সুষম খাদ্যগ্রহণ শরীরকে সুস্থ এবং রোগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। ফলমূল-সবুজ শাকসবজির মতো শস্যজাতীয় খাবারও অনেক পুষ্টিকর। ওটস একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। আমিষ, উপকারী শ্বেতসার এবং তন্তু বা ফাইবারজাতীয় পুষ্টি উপাদানে পরিপূর্ণ খাবার ওটস। ওটসে থাকা বেটা-গ্লুকন নামক উপাদান কোলেস্টেরল (Cholesterol) কমিয়ে হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।ওটস

প্রতিদিন ওটস খাওয়ার কিছু উপকারিতা জেনে নিন

সাধারণত সকালের নাস্তায় ওটস খাওয়া হওয়ার প্রচলন রয়েছে। তবে অন্যান্য আরও উপায়ে এই উপকারী খাদ্য খাওয়া যায়। যেমন অনেকেই স্মুদি বা মাফিন তৈরিতে ওট‘স ব্যবহার করা হয়। অনেকে খাদ্য তালিকাকে আরও সমৃদ্ধ করতে ওটসের আটা ব্যবহার করে। আবার মিষ্টিজাতীয় খাবারে মুচমুচে টপিং হিসেবে এবং সাজসজ্জার কাজেও ওটস ব্যবহার করা যেতে পারে। তাছাড়া ওট‘স বেশি ব্যয়বহুল খাদ্য নয় এবং একে দীর্ঘদিন সংরক্ষণও করা যায়।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, প্রতিদিন ওট‘স খেলে তার নানাবিধ উপকার পাওয়া যায়। যেমন-

১। হার্ট: ওটসে থাকা তন্তুজাতীয় উপাদান বিশেষ করে বিটা-গ্লুকান এলডিএল (খারাপ) কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

২। হজম: তন্তু বা ফাইবার দ্রুত হজমে (Digestion) সহায়তা করে। সেই কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো তন্ত্রের সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়। এছাড়া ওটস অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে।

৩। শক্তিবৃদ্ধি: ওটসে রয়েছে জটিল শর্করা অর্থাৎ, কার্বোহাইড্রেট (Carbohydrate)। এই উপাদান ধীরে ধীরে শক্তি মুক্ত করে সারাদেহে সরবরাহ করে। তাই ওট‘স সারা দিন ধরে শক্তি উৎপাদনকারী খাবার হিসেবে বিবেচিত হয়।

৪। রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ: ওটসে গ্লাইসেমিক উপাদান কম রয়েছে। তাই ওটস খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখা সহজ হয়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের রক্তে শর্করা বা চিনি নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি। তাই ডায়াবেটিস (Diabetes) রোগীদের জন্য ওট‘স উপকারী একটি খাবার হতে পারে।

৫। ওজন নিয়ন্ত্রণ: ওজন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ব্যায়াম করে শরীরের ক্যালরি (Calorie) কমানো যতটা জরুরি, ঠিক ততটাই জরুরি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ক্যালরি যতটা সম্ভব কমিয়ে আনা। ওটস একটি উচ্চ ফাইবার সামগ্রী সমৃদ্ধ খাবার হওয়ায় দীর্ঘসময় পেট ভরা রাখতে পারে। তাই ওজন (Weight) কমানো এবং নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ওটস একটি উপকারী খঅদ্য উপাদান।

সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং আপনার যদি কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে শেয়ার করুন। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Check Also

সফলতা

সফলতা অর্জনে বাদ দিতে হবে যে ৭টি অভ্যাস

আমরা সবাই জীবনে সফল হতে চাই। সফলতা (Success) পেতে হলে কোন কাজগুলো করবো আর কোনগুলো ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *